অচিন এক ফুলের অদ্ভুত রকমের গন্ধ ঘরের জানালা ভেদ করে আমার বেডরুমে ঢুকে পড়ে। এ গন্ধটা যেন মৃন্ময়ী দূর্বাঘাসের মতো; কেমন যেনো দুঃখ বাহারী ধূপের বেদনা মিশ্রিত হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো দ্রুত মিলিয়ে যায়। মুহূর্তেই যেন ঘোরের আবেশে আচ্ছন্ন হয়ে যাই। মনে হয়, যেন জানালার ওপাশেই এ ফুলের গাছটা দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু জানালার ওপাশে একটা তো একটা কাঁঠালিচাঁপার গাছ। বারমাসই এই গাছটা কাঁঠালিচাঁপা ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে দেয়।
যে ফুলের গন্ধ আমার নাকে এসে লাগছে, এটা কাঁঠালিচাপা নয়। তবে এই ফুলের নাম কি! ভাবতে ভাবতে কিছুতেই চেনাজানা ফুলের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পাই না। মনে মনে আমি এ অদ্ভুত ফুলের নাম দিয়েছি অরুন্ধতী ফুল। অরুন্ধতী ফুলের গন্ধ যখন আমার কাছে আসে তখন মনে হয়, চারপাশে মন খারাপ করা সন্ধ্যা নামছে। আর আমি তখন আশ্বিনের জীর্ণ মাঠ পেরিয়ে চলে যাই বিষণ্ণ সন্ধ্যায়। একটা হরিয়াল পাখি অনবরত ডেকে যায়। অসহ্য রকমের রোদের দহন বুকে নিয়ে অশোক বনের ছায়ারা দোল খায় সন্ধ্যার হাওয়ায়। পাতায় পাতায় দীর্ঘশ্বাসের হলুদ দুঃখ লেগে থাকে।
কী বিস্ময়! অরুন্ধতী ফুলের গন্ধের সাথে অনিরুদ্ধের এক অদ্ভুত সম্পর্ক আছে- আমি একথা ভেবে আশ্চর্য হই ভেতরে ভেতরে। কার্তিক মাসের সকালে নীরবে ফোটা শীম ফুলের গন্ধে আমি ডুবে যাই অকাতরে, ভীষণ ভাবে অনিরুদ্ধ আমাকে ভর করে থাকে। অথচ এখন কার্তিক মাসও নয়, শীম ফুলও ফোটেনি আশেপাশে। আমার বিনীত কষ্ট, অভিমান অপমান- সব পেচিয়ে থাকে কলাবতী ঝোপের ভেতর।
অনিরুদ্ধ চমৎকার একজন ফটোগ্রাফার। সময় পেলেই সে নদীর ছবি নৌকার ছবি আর বাচ্চাদের ছবি তুলতো। মনে পড়ে- একবার ভেজা কুয়াশায় চারিদিকে ঝাপসা প্রকৃতি, দুই/তিন হাত দুরের চিত্রটাও অস্পষ্ট, তবুও সে ছবি তুলবেই। একবার অনিরুদ্ধ খুব মনোযোগ দিয়ে একটা ধ্যানমগ্ন পানকৌড়ি আর বকের ছবি ফোকাসে আনার চেষ্টা করে।টেলিস্কোপ লেন্স থাকা সত্ত্বেও সেই ধ্যানমগ্ন পানকৌড়ি আর বকের ছবি স্পষ্ট হচ্ছে না। চারপাশে তখন ঘন কুয়াশা। খুব মন খারাপ করে অনিরুদ্ধ ছবিটি তুললো। তারপরও নরম সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডে বক আর পানকৌড়ির ছবিটি বেশ চমৎকার হলো। শ্রান্তিময় আনন্দের ঝলক ছলকে ওঠে অনুরুদ্ধের মুখে। আহ! কী প্রশান্তি! প্রফেশনাল নয় শখের বশেই ছবি তোলার শুরু তার, আজ সে একজন পাকা আলোকচিত্রী। আর চমৎকার করে গিটারও বাজাতে পারে সে।
ভাদ্র আসে আশ্বিন আসে, লাবণ্যবতী নদীর জলে আমি আর অনিরুদ্ধ ভেসে থাকি কোশা নৌকায়। জলের ভেতর দেখি- অলৌকিক বেদনা নিয়ে বৃক্ষের ছায়া ভিজে চুরমার। সেই নদীর জলের ঘ্রাণ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় আমাদের শরীর। প্রকৃতির নীরবতার মখমলি বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হই আমরা দুজন।
বাবার বন্ধুর ছেলে অনিরুদ্ধ। অনিরুদ্ধের সঙ্গে আমি সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম বাবার ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে। বাবার পছন্দের ছেলে ছিল সে, আমি না করলে বাবা কষ্ট পাবে। অনিরুদ্ধ তার বাবার বিজনেসের হাল ধরে। হুট করেই আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। তারপর বছর ঘুরতেই আমাদের আমাদের প্রথম কন্যা সন্তান ইসাবেলার আগমন।
রাত প্রায় আটটা বেজে গেছে। ইসাবেলা আজ সারাদিন হইচই করে ক্লান্তিতে একটু আগেভাগেই ঘুমিয়ে পড়েছে। মাত্র দুই বছর বয়স, অথচ মনেই হয় না। আধোস্পষ্ট স্বরেসুন্দর করে কথা বলে। এদিকে আমার রুমে বসে নরম আমেজের গজল শুনছি। যদিও আমার ক্লাসিক্যাল সেতারের সুর শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেকদিন ধরে নতুন কোন ক্লাসিক্যাল সুর শোনা হচ্ছে না। গজল আমাকে খুব কাছে টানে ক্লাসিক্যাল সেতারের সুরের মতোই। কিছুক্ষণ আগে জবা পিসি আমাকে এক মগ কফি দিয়ে গেলো। কিন্তু কফি খেতে ইচ্ছে করছে না। কফি ঠান্ডা জল হয়ে গেছে। আমি একটা গল্পের বই নিয়ে চোখ বুলাচ্ছি। পড়ার মনোযোগ নেই আমার। একের পর এক বইয়ের পাতা উল্টে দেখছি আর গজল শুনছি। অনিরুদ্ধকে চোখের গহীন থেকে সরাতে পাচ্ছি না। বাইরে পূর্নিমার আলোয় ভরে গেছে। মনে হচ্ছে আমি আর অনিরুদ্ধ জোছনার জলে ডুবে আছি।
বাবা আমাকে ডাকছে জবা পিসি এসে বলে গেলো। আমি প্রচন্ড ঘোর থেকে বের য়ে আসি। আমি জানি বাবা আমাকে কি বলবেন! অনেক দিন থেকেই একই কথা বলে যাচ্ছেন। আমি যেন আমার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলি।
আসলেই আমি অনিরুদ্ধের সাথে জড়িয়ে থাকা কোন স্মৃতি মনে করতে চাই না। আমি আমার মতো করে বাঁচতে চাই। আমার মতো করে থাকতে চাই। আমার জীবনের যা কিছু ঘটে গেছে, তার পেছনে তাকিয়ে নিজের ভেতরের দুঃখ বা কষ্টকে পুঁজি করে চলা অর্থহীন- তা আমি বুঝি। জীবনে যা কিছু ঘটে বা ঘটবে, তা কখনো জোর করে ঘটানো যায় না। কিংবা পেছনের ধুলোপড়া স্মৃতি জমিয়ে কাছে টেনে এনে মনকে এলোমেলো করে দেয়া নেহায়েত বোকামি। জীবন তার নিজস্ব গতিতে- আনন্দ বেদনা জড়িয়ে নিয়ে বয়ে চলবে জীবনের গল্প। একে তুচ্ছ ভাবা ঠিক না একদম।
পুরোনো স্মৃতির চাদর কখনও কখনও হৃদমন্দিরে বেদনার ক্ষরণ ঘটায়; কখনও বা আনন্দে প্রাণচাঞ্চল্য করে। কিন্তু বিষণ্ণ করে তুলে পেছনের ধুলোপড়া ঘটনা। অবচেতন মনে সেইসব দিন সামনে এনে দাঁড় করায়। আমি নিজেকে খুব দৃঢ় ভাবে নিয়ন্ত্রণ করি। একসঙ্গে থাকার মধ্যে যদি সম্মানটুকু না থাকে, প্রতিনিয়ত দূরত্ব বাড়তে থাকে, একসঙ্গে থেকেও যদি আলাদা থাকতে হয় তার চেয়ে দুজনেই আলাদা হয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো। সঙ্গে থাকা আর হৃদয়ে থাকা তো আর এক ব্যাপার নয়।
আমাকে কাল সকাল দশটায় এডভোকেট আরিফের সাথে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে। তিনি আমার বিষয়ে বিস্তারিত জানেন। সে সব দায়িত্ব নিয়েছে। অনিরুদ্ধের সাথে আমার বনিবনা হচ্ছে না অনেক দিন থেকেই। অনেক চেষ্টা করেছি একত্রে থাকার জন্য। ইসাবেলার কথা ভেবেই অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন ভাবেই আর একত্রে থাকা সম্ভব হচ্ছে না আমাদের। আমি বাবার একমাত্র মেয়ে, বাবার সাথে থাকছি প্রায় ছ মাসের মতো হবে। কয়েক মাস কেটে গেছে, অনিরুদ্ধ’র কোন টান দেখিনি আমাদের ওপর। আমাকে ছাড়াই সে রীতিমতো ভালোই আছে।এমনকি ইসাবেলার প্রতিও ওর কোন দায়িত্ববোধ কিংবা টান অনুভব করিনি। আমার ধারনা ছিলো, আমি দূরে থাকলে অনিরুদ্ধ হয়তো এক সময় আমাকে মিস করবে, টান অনুভব করবে কিন্তু আমার ধারণা ভুল।
রাত গভীর হচ্ছে কিন্তু ঘুমআসছে না। ক্রমাগত ল্যান্ডফোনে রিং বেজে চলেছে। ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে আমি রিসিভার তুললাম। ওপার থেকে-
– হ্যালো শুভ রাত্রি। কেমন আছেন প্রফেসর সিনথিয়া? এতো রাতে বিরক্ত করার জন্য য়ামি দুঃখিত।
– ভালো আছি মিস্টার আরিফ। কালতো আসছি আপনার চেম্বারে। সব কিছু রেডি করেছেন তো। কাল আমি ও অনিরুদ্ধ দুজনেই ডিভোর্স পেপারে সাইন করবো। সব পেপারস রেডি করেছেন তো।
– আর একটু ভেবে দেখুন সিনথিয়া। এতো বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে, আপনাদের একটি কন্যা সন্তান আছে তার কথা ভাবুন। আমি অনিরুদ্ধর সাথে কথা বলেছি সে সময় মতো চলে আসবে আমার কাছে।তারপরও ভাবুন বিষয়টি।
– আমি অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতিদিন আমরা একটু একটু করে একে অপর থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। এ সম্পর্ক আর ঠিক হবার নয়। শুভ রাত্রি।
ফোন রেখে দিয়ে বিছানায় চলে গেলাম।
আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে শাওয়ার নিলাম। রাতে ভালো করে ঘুম হয়নি। প্রচুর জল ঢেলে স্নান করলাম। এখন বেশ ঝরঝরে লাগছে। ইসাবেলা এখনও বিছানায় কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুমুচ্ছে। কাল রাতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া বরফ শীতল। ইসাবেলাকে দেখভাল করার জন্য জবা পিসি আছে। ইসাবেলাকে পরম মমতায় আগলে রাখে পিসি। আর বাবাও এখন রিটায়ার্ড। ইসাবেলাকে নিয়ে বাবারও সময় কাটে।
আমি ফ্রেস হয়ে কিচেনে ঢুকলাম। জবাপিসি এখনো ঘুম থেকে ওঠেননি। বাবা অনেক ভোরে উঠে এসরাজ বাজাচ্ছে। বাবার এটা অনেক দিনের নেশা। খুব ভোরে উঠে নিজেই বড় ক্রিস্টালের মগে ব্লাক কফি বানিয়ে খাবে। তারপর রেওয়াজ করবে, এসরাজ বাজাবে। আমিও চমৎকার এসরাজ বাজাতে পারি।
আমি মালটোভা আর ঘন দুধ মিশিয়ে কফি বানালাম। চমৎকার একটা গন্ধ আসছে কফির। আমি কফির মগ নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে। দ্রুত কফি শেষ করে রেডি হলাম। বাইরে কিছু কাজ আছে সেগুলো শেষ করে এডভোকেট আরিফ সাহেবের চেম্বারে যাবো। আজ আমি আর অনিরুদ্ধ ডিভোর্স পেপারে সাইন করবো। আমার সাথে অনিরুদ্ধের সব লেনদেন শেষ হবে আজকে।
বাবার সাথে দেখা না করেই আমি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম বের। শ্রাবণের আকাশ অথচ মেঘের কোন আনাগোনা নেই। আকাশ ঘন নীল, যেন অপরাজিতা্র রঙে সেজেছে আকাশ। বেশ ঝরঝরে লাগছে। আমি রিকশা না নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলাম। আমার হাঁটতেই ভালো লাগছে। খোলা আকাশ ঝলমল করছে। মনে হচ্ছে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি অযুত অযুত বছর। হঠাৎ করে আমার মনে হলো দিলু রোডে যাই। দিলুরোডে আমার প্রিয় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ইসমতারার বাসা।অনেক দিন ইসমতারার কাছে যাওয়া হয় না। অনেক বছর ওর সঙ্গে যোগাযোগও নেই। ইসমতারা কি এখনো দিলু রোডে থাকে? আমি জানি না।
সকাল দশটায় আমি এডভোকেট আরিফ সাহেবের চেম্বারে ঢুকলাম। আমার আগেই অনিরুদ্ধ এসে বসে আছে গেস্ট রুমে। অনিরুদ্ধকে দেখে মনে হচ্ছে বিধ্বস্ত। মনে হচ্ছে ও অনেক রাত ঘুমাইনি। অনিরুদ্ধকে অচেনার মতো লাগছে। আমাদের মধ্যে কোন কথা নেই। মনে হচ্ছে আমরা কেউ কাউকে চিনি না। আমাদের কোনদিন দেখা হয়নি। হঠাৎ বুকের ভেতর প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম। অনিরুদ্ধ আমাকে বলল- সিনথিয়া তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো। আজকের দিনের পর থেকে আমরা পুরোপুরি আলাদা। আমাদের আর দেখা হবে না, কথা হবে না।
বললাম, আমি তুমি প্রায় ছমাস থেকে আলাদা। আমাদের দেখা নেই কথা নেই। এ আর নতুন কি?
– সিনথিয়া আমি আসলে অনেক ভুল করেছি তোমাকে যথেষ্ট সময় দেইনি। অকারণে তোমার সাথে বাজে ব্যবহার করেছি। আমরা কি আমাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারি না। আগের মতো একত্রে থাকতে পারি তো তাইনা।
আমি অনেকটা রাগ দুঃখ কষ্ট আর জেদের বশেই বললাম, আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা পাল্টানোর জন্য নয়।
কিছুক্ষণ পর এডভোকেট আরিফ আসলো। সব ফর্মালিটিস রেডি। আমি আর অনিরুদ্ধ মুখোমুখি বসে আছি। আরিফ পেপারস এগিয়ে দিলো।আমি সাইন করলাম, অনিরুদ্ধও সাইন করলো। আমি যখন সাইন করছিলাম তখন মনে হয়েছিল অনিরুদ্ধ আমাকে সাইন করতে দিবে না। সে চিৎকার করে উঠবে, বলবে সিনথিয়া তুমি ডিভোর্স পেপারে সাইন করো না প্লিজ। কিন্তু অনিরুদ্ধ তা করেনি।
আমি বের হলাম এডভোকেট আরিফ সাহেবের চেম্বার থেকে। আমার পেছনে পেছনে অনিরুদ্ধ আসলো। শ্রাবণের আকাশে থমথমে অন্ধকার মেঘ জমে আছে। মনে হয় ঝমঝম করে বৃষ্টি নামবে এখুনি। সত্যি সত্যি মুহুর্তেই ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো। আমি রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি আর তুমুল বৃষ্টিতে ভিজছি। অনিরুদ্ধ দৌড়ে এসে বলল, চলো তোমাকে পৌঁছে দেই। তুমি কি ভিজে ভিজে বাসায় যাবে? তোমার কিছু হলে ইসাবেলা ভালো থাকবে না। আর ইসাবেলাকে আমি সপ্তাহে দুদিন আমার কাছে রাখবো সিনথিয়া।
কী অবলীলায় বলে যাচ্ছে অনিরুদ্ধ! কিন্তু আমার ইচ্ছে করছে না, আমি ওর পাশে বসে যাই। কিংবা অনিরুদ্ধ আমাকে বাসায় ড্রপ করে দিক। আমি বৃষ্টিতে ভিজছি তুমুল সে বৃষ্টি। আমার বুকের ভেতর এক ধরনের দিলরুবা পাথরের কষ্ট তোলপাড় শুরু করলো। আজ আমি একা এবং ভীষণ একা। তবুও অনেক ভালো আছি। হঠাৎ অনিরুদ্ধ আমার হাত ধরে বলল, তুমি কী পাগল হয়ে গেলে সিনথিয়া। এতো বৃষ্টিতে ভিজলে তোমার টনসিল সমস্যা হবে। জানো সিনথিয়া আমি রোজ স্বপ্নে তোমাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজি।
অনিরুদ্ধ গাড়িতে মৃদু ভলিউমে গান বাজছে- মদিনাবাসী প্রেমে হাত ধরো মম…