কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায় বাংলা উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে একটি স্বতন্ত্র ধারা সৃষ্টি করেছেন। তাঁর রচনায় নিম্নবর্গের মানুষের লড়াই ও জীবন সংগ্রাম প্রাধান্য পেয়েছে। যারা সমাজের মেরুদণ্ড কিন্তু তারা যে চিরকাল থেকে গেছে উপেক্ষিত, অবহেলিত এবং নিষ্পেষিত হয়েছে, শোষিত-নিপীড়িত হয়েছে সমাজের উচ্চবর্ণের চাইতে বেশি। তাই তাদের জীবনসংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধাবনত হয়ে দেবেশ রায় সৃষ্টিতে তাদের জীবনকেই মহৎ করে উপস্থাপন করেছেন এবং প্রাধান্য দিয়েছেন। বর্তমান প্রবন্ধে যোগেন মণ্ডলের জীবন নিয়ে রচিত দেবেশ রায়ের ‘বরিশালের যোগেন মণ্ডল’ উপন্যাস সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যোগেন মণ্ডলের বিক্ষুদ্ধময় সংগ্রামী জীবনের আখ্যানের উপর আলোকপাত করার প্রচেষ্টা করা হল।
‘বরিশালের যোগেন মণ্ডল’ উপন্যাসে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দেশভাগ তথা বাংলার অস্থির ঝঞ্ঝামুখর ইতিবৃত্তের এক জীবন্ত দলিল। এখানে বাংলার শাসনতন্ত্রে রাজনৈতিক চাপান-উতোর যেভাবে সমগ্র ভারতবর্ষে প্রভাবিত করেছে তাকে প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপন করে এক ভিন্নমাত্রায় সংযোজিত করা হয়েছে। মর্দিত ব্যক্তিসত্তা যে কীভাবে রাজনীতির শিকার তাও সুন্দরভাবে দেবেশ রায় এই উপন্যাসে ব্যক্ত করেছেন। অশ্বিনীকুমার ও যোগেন মণ্ডলের মধ্যে ছিল নিবিড় সম্পর্ক। অশ্বিনীকুমারের কাছ থেকে কিশোর যোগেন শিখেছিল যে কাজের হিসেব নেই, সে কাজের দরও নেই। ‘‘যোগেন শিখেছিল— নিজের সারাদিনের কাজের হিসেব কষতে। যোগেন শিখেছিল— আয়োজনে সময় খরচ না করে কাজটাতে ঢুকে পড়তে। ১৯১৯-এর দুর্যোগ ত্রাণের কাজ আর ১৯২১-এর প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্মিলনের জন্য অভ্যর্থনা সমিতির ভলান্টিয়ারের কাজ— এই দুইয়ের মধ্যে কোনো ফাঁক ছিল না।’’১ অর্থাৎ কমবয়স থেকেই যোগেন মণ্ডলের মধ্যে একটা স্বতন্ত্র দর্শন কাজ করত। এছাড়া তিনি ছিলেন একজন আদর্শ যুক্তিবাদী মানসিকতার ব্যক্তিত্ব। দেশভাগের যন্ত্রণা, রাজনৈতিক চাপান-উতোরে এবং প্রাক্ ভাঙনের বাংলা রাজনীতিতে যে বেনোজল ঢুকে পড়েছিল তা থেকে বাংলাকে ভালোবেসে শূদ্র সমাজকে এক উচ্চতর মর্যাদার আসনে স্থিত করতে চেয়েছিলেন। জাতপাতের হিসেব-নিকেষে শূদ্র-অশূদ্রের কূট চক্রান্তে যোগেন মণ্ডল বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন।
একাদশ অধ্যায়ে দেখতে পাই যোগেন মণ্ডলকে নিয়ে বন্দনা করা হচ্ছে। এখানে লেখক দেবেশ রায় যোগেন মণ্ডলকে এক মহান ব্যক্তিত্বের আসনে আসীন করেছেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের রাজনৈতিক অবস্থানে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থতায় ও সাম্প্রদায়িক স্বার্থকায়েমী স্বল্প শ্রেমিচেতনায় উদ্বুদ্ধ ব্যক্তিত্ব অধিকার লাভ করতে চায়। অন্যত্র লেখক যোগেন মণ্ডল সম্পর্কে লিখেছেন— ‘‘এর আগে কখনো তো কোনো নমশূদ্র কোনো কুলীন কায়েত, তার ওপর জিলা কংগ্রেসের সভাপতি, তার ওপর দশ পুরুষের জমিদারের বিরুদ্ধতা করেনি! মুসলমান কারো সঙ্গে ভোট করতে হলে জিলা কংগ্রেস বা দত্তবাবুর হয়ত ততটা লাগত না। কিন্তু একটা নমো, মেথর, তার এতটা সাহস হয় কী করে? … চিরকাল যাদের ‘নমো’ বলে ডাকা হয়, ‘চাড়াল’ বলে বর্ণনা করা হয় বা যাদের সঙ্গে হিন্দুরা খেতে বসে না বা যাদের ছোঁয়া কোনো খাবার খায় না’’২ তাদেরই প্রতিনিধি যোগেনকে ভোটে জিতিয়ে তাঁর নামে জয়ধ্বনি তোলে সাধারণ মানুষ। ভারতের ইতিহাসে বর্ণহিন্দুরা শূদ্রদের চিরকাল দমিয়ে এসেছে। এঁরা অপাংক্তেয়, অচ্ছুৎ। ভারতবর্ষের ইতিহাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও রাজনৈতিক ইতিহাসে তারা থেকে গেছে উপেক্ষিত। এবং এই দলিত সর্বহারা মানুষেরা চিরকাল বঞ্চিত রয়ে গেছে। স্বাধীনতা লাভের আগে বাংলাভাগ এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ত্রাণকার্যে শূদ্ররা বিশেষত যোগেন মণ্ডলের নেতৃত্বে নমঃশূদ্রেরা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল।
ভোটে জেতার পর যোগেন মণ্ডলকে নিয়ে বাংলার মানুষ বিশেষেত পূর্বাঞ্চলের মানুষ ছিল গর্বিত। তারা মনে করত যোগেন মণ্ডল তাদের নিজের মানুষ। ঘরের মানুষ। প্রকৃতপক্ষে ও ছিল তাই। এই কারণে তাঁর জয়ে গান বেঁধে ফেলে। তারা গান করে সমবেত কণ্ঠে—
‘‘জয় যোগেনো মণ্ডলো
জিইত্যা হইছে এম-এল-ও
হরির নামের আসরে কোনো বামন-শূদ্র নাই।
জগবন্ধু প্রভু জয়
যোগেনো মণ্ডলো জয়
ভোটের ব্যালটবাক্সে হিন্দু-শূদ্র নাই॥
জগবন্ধু প্রভু জয়
জয় জয় জয় হয় …’’৩
অবিভক্ত বাংলাতে যোগেন মণ্ডল ছিল এক অবিসংবাদী নেতা। ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল আর কলকাতার অস্পৃশ্যজাতের মানুষের সে ছিল বন্ধু। এমনকী যোগেন মণ্ডল রামবাগানের বেশ্যাদেরও প্রাণপ্রিয় মানুষ ছিলেন। হিন্দু-মুসলিম যারা দীর্ঘদিন পাশাপাশি বসবাস করছিল সমবেতভাবে তারা বিভক্ত হল— নরখাদকের দৌলতে, কিছু সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী আখের গোছানো মানুষের অসাধু কৃতকর্মের ফলে। শাসক ইংরেজ সরকারের প্রদেয় স্বাধীনতাতে এবং কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের রাজনৈতিক মতাদর্শে হিন্দু বিশেষত শূদ্রেরা এবং দরিদ্র সাধারণ মুসলিমরা সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল। তারই জীবন্ত দলিল দস্তাবেজ হল ‘বরিশালের যোগেন মণ্ডল’। লেখক দেবেশ রায় উপন্যাসটিতে অসংখ্য চরিত্রের ভিড়ে যোগেন মণ্ডলকে চিত্রিত করেছেন সুন্দরভাবে। চরিত্রের ব্যাপক ঘনঘটার মধ্যে কেন্দ্রীয় চরিত্রটি ভাস্বর হয়ে উঠেছে।
দেশভাগের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন সমসাময়িক অবস্থা কেমন ছিল তা জানা যায় INDIA WINS FREEDOM গ্রন্থ থেকে। সেখানে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন, “On 14 August 1947 Lord Mountbatten went to Karachi to inaugurate the Dominion of Pakistan. He returned the next day and at 12 midnight on 15 August, the Indian Dominion was born.
The country was free, but before the people could fully enjoy the sense of liberation and victory, they woke up to find that a great tragedy had accompanied freedom. We also realized that we would have to face a long and difficult journey before we could relax and enjoy the fruits of liberty.”৪
ইংরেজ শাসকবর্গ ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভেঙে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টি করল। এই বিভাজনে গান্ধীর নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস ও জিন্নার মুসলিম লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। সূক্ষ্ম বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষ হয়তো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে না। তবে সকলেই যে উদাসীন তাও জোর দিয়ে বলা যায় না। বর্তমান উপন্যাসে আমরা তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেখতে পাই। প্রহ্লাদ দত্ত, দীনু চক্রবর্তী, সীতাংশু রায়চৌধুরী, অমিয় রায়চৌধুরী, সরল দত্ত প্রমুখ চরিত্রের ভিড়ে যোগেন মণ্ডল একটি ব্যতিক্রমী চরিত্র। এবং শূদ্র সমাজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যোগেন মণ্ডল নমঃশূদ্র সমাজের প্রতিনিধি হয়েও উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছে নানা কারণে। কারণগুলির মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রতিবাদীসত্তা ও সাম্যবাদী মানবিক— অর্থাৎ দ্বান্দ্বিকতার রেশে শেষ পর্যন্ত একটি মহান চরিত্রে উন্নীত হয়েছেন।
সমাজের সাধারণ মানুষদের মধ্যেও রাজনৈতিক ভাবনা উপ্ত থাকে তাই দেশে দেশে আন্দোলন, বিদ্রোহ ও বিপ্লব সংঘটিত হয়। সমাজের পটপরিবর্তনে তাই সাধারণ মানুষ তথা দেশের বাগরিকদের অবদান অনস্বীকার্য। এখানে স্মরণীয় যে, “Congress leaders had not accepted it out of sheer anger and resentment and others out of a sense of despire, Men when they are swayed by indignation or fear cannot judge objectively. How could the advocates of partition who acted under the strees to passion see the implications of what they were doing?”৫ এটা যে একটি রাজনৈতিক চুক্তি তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এবং এই দ্বিখণ্ডীকরণের মধ্যে কিছু অর্থগৃন্ধু মানুষের মধ্যে অভিসন্ধি নিশ্চিতভাবে নিহিত ছিল তা স্পষ্ট। ছিল ক্ষমতা দখলের কায়েমী স্বার্থচরিতার্থতাই একমাত্র কাম্য। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনপাতে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের মুনাফা লাভই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল। দেশভাগের ইতিবৃত্তের কথা ধরা পড়েছে ‘বরিশালের যোগেন মণ্ডল’ উপন্যাসটিতে। যোগেন মণ্ডল উপন্যাসটিতে একটি জেহাদী শূদ্র চরিত্র। যে কিনা সমকালের ঊর্ধ্বে উঠে একটি মানবিক সত্তা হিসাবে বিকশিত হতে পেরেছে। ‘যা জিগাইবেন তা সত্যি তো? প্রশ্ন আপন বিবেকের কাছে। যার উত্তর পাঠককে নিজেই বার করতে হয়। হাজার বছরের অভিশপ্ত জাত-পাতের, অস্পৃশ্যতার ছোঁয়াচে রোগের শিকার যোগেন মণ্ডল। তাই ‘‘হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী জন্মান্তর, বর্ণভেদ, চতুর্বর্ণ, ব্রাহ্মণ-অব্রাহ্মণ, শূদ্র-অশূদ্র, স্পৃশ্যতা-অস্প-শ্যতা— এই উপাদানগুলি দিয়ে নিশ্ছিদ্র। ব্রাহ্মণ-সহপাঠী তাকে অপমান করলে স্কুলে মণ্ডল তাকে পালটা আক্রমণ করেছে, বা কলেজে নমঃশূদ্র ছাত্ররা মণ্ডপে উঠে সরস্বতীকে অঞ্জলি দিতে পারবে না— এই ব্যবস্থার পালটা পুজো মণ্ডপ সংগঠিত করেছে, বা বরিশালের কালীবাড়িতে এক কথক ঠাকুরের নমঃশূদ্রদের সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করলে যোগেন বিক্ষোভ করেছে—’’৬ যোগেন মণ্ডল প্রথমে সংস্কারের বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল। ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার অভিজ্ঞতায় যে সংস্কারমুক্ত এক মহামানবে পরিণত হয়। শ্রেণিচেতনা তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে, অস্থিমজ্জায় মিশে যায় বৈজ্ঞানিক নির্মোহ, নির্বেদী নিষ্কলুষ মানবীয় সত্তা তখন সে হয়ে ওঠে নায়ক চরিত্র।
কিন্তু জীবনসায়াহ্নে উপনীত হয়ে তাঁর মোহভঙ্গ হয়। সে মানুষের সাথে মিশে জানতে পারে নিজের পরিচয়। যোগেন মণ্ডল নমঃশূদ্র। এবং সে একজন নির্ভেজাল শূদ্র; জন্ম থেকেই শূদ্র। এটাই তাঁর একমাত্র পরিচয়। কাহিনির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সে উপলব্ধি করে হাজার মানুষের ভিড়ে সে একা। তাই সে জীবনের উনশেষ পর্বে পৌঁচে চরম সত্য জানতে পারে। তারই রক্তের আত্মীয়। রাজনীতির শরিক তাকে আক্রমণ করে। কোণঠাসা করে দেয় তখন সে স্বদেশভূমির মায়া ত্যাগ করে। উজানতলির উদ্দেশে পাড়ি দেয় ভাঁটির দেশ ছেড়ে।
শেষ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই যোগেন মণ্ডলের অন্তিম উপলব্ধি। যা পাঠক তথা সচেতন মানুষ মাত্রকেই বিবেকের রাজ্যে জোরে ধাক্কা দেয়। জীবনের উপান্তে এসে যোগেন মণ্ডল পাড়ি দেয় পাকিস্তানে মুসলমানদের কাছে; তাদের মাঝে জাতপাতের শিকার হয়ে নিভৃতি নিশ্বাস নিতে; সান্তির অন্বেষণে, জীবনের প্রয়োজনে, বাঁচার তাগিদে। যোগেন মণ্ডল বলতে থাকে— ‘‘আমার মৃত্যু কবে থেকে এত গুরুত্বের হল? আমাদের মারতেও তো আমাদের স্পর্শ করতে হয় না, আমি এতদূর পর্যন্ত অস্পৃশ্য শূদ্র। আমাকে মারতে এত আয়োজন কার? আমাকে বাঁচাতে এত আয়োজন কার? আমাকে কে মারবে?… আমাকে খুন করতে পারে বর্ণহিন্দুরা। আমি শূদ্র। আমি তাদের উচ্চতা অস্বীকার করতে আমার জন্মের নীচতা স্বীকার করেছি। আমি শূদ্র। আমি হিন্দু নই। শূদ্রের এই স্বাধিকার আমি ব্যবহার করেছি। শূদ্র হিন্দু নয়। সে স্বতন্ত্র। তাকে হিন্দু বলতে পারে— গান্ধিজি থেকে সেনসাস। শ-খানেক বছর হয়নি এখনো, আমাদের পূর্বপুরুষদের কেউ কেউ পৈতা পরে, টিকি রেখে আর তিলক কেটে বামুন হতে চেয়েছিল। চাইলেই কি আর বামুন হওয়া যায়? বামুন হয়ে জন্মাতে হয়। তেমনি গান্ধিজি আর সেনসাস চাইলেই কি শূদ্র হয়ে যায় হিন্দু? শূদ্র হয়ে জন্মাতে হয়। একমাত্র তাহলেই পাওয়া যায় শূদ্রের এই স্বাধীনতা। আমি স্বাধীন শূদ্র।’’৭
যোগেন মণ্ডল শূদ্র হয়ে পরিচয় দিয়েছেন নিজেকে। সেই পরিচয় ধার করা নয়। তাই এই পরিচয় গর্বের। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত পরিচয় কর্মেও প্রয়োগ করো তিনি হয়ে উঠেছেন মহান। উপন্যাসেও দেবেশ রায় কথাকার হিসাবে সার্থকভাবে যোগেন মণ্ডলকে যথার্থ মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। তাই মহাকাব্যিক উপন্যাসটিতে যোগেন মণ্ডল মহানায়ক হয়ে উঠেছে একথা মেনে নিতে কোনো অসুবিধা হয় না।
তথ্যসূত্র:
১। দেবেশ রায়, বরিশালের যোগেন মণ্ডল, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, এপ্রিল ২০১০, পৃ. ৪৬
২। তদেব, পৃ. ৬৪-৬৫
৩। Maulana Abul Kalam Azad, India, Wins Freedom, Orient …, Calcutta, 1st Pub. January, 1959, pp. 206.
৪। Ibid. p. 207.
৫। দেবেশ রায়, বরিশালের যোগেন মণ্ডল, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, এপ্রিল ২০১০, পৃ. ৮৮
৬। তদেব, পৃ. ১০৫৯