নিছকই রোম্যান্স


যাবার বেলায় জল খাবার ছল করে
নওল কিশোরীর আঙ্গুলটা ছুঁয়ে দিল
সদ্য বেড়ে ওঠা এক কিশোর।
এ ছোঁয়ায় কী ছিল জানেনা সে বোকা মেয়ে
শুধু কেমন একটা বিদ্যুৎচমক
খেলে গেল ওর সর্বাঙ্গে।

তারপর কিশোরটি চলে গেল শিক্ষাঙ্গনে।
কখনো বা চিঠিপত্রের লেনদেন হয়
তবে তাতে ছিল না কোনো প্রেমের লেশ
ছিলশুধু সেই আঙ্গুল ছোঁয়া হালকা আবেশ।

একদিন ছেলেটি চলে গেল বিদেশে
রবীন্দ্রনাথের সাধারণ মেয়ের মত
চিঠিপত্র কখনো বা পায়
তাতে মেয়েদের নিয়ে খেলার গল্পই বেশি
যেমনটি লিখেছিল নরেশ মালতিকে
তবে সে ভাবে নি কখনো
কপাল ভেঙ্গেছে,হার হয়েছে তার।

মেয়েটি এবারে ভবসম্মিলনের
মিলন মেলায় মেতে ওঠে
জীবনের ৯৬টি পূর্ণমার সাথে
সে একা একা কথা কয়।
একসময় চিঠি আসাও বন্ধ হয়।
মেয়েটি মালতীর মত অসামান্যা
হয়ে উঠতে পারে না
আর দশটা মেয়ের মতই সাধারণ
তার নেই কোন রবীন্দ্রনাথ, নেই শরৎ বাবু
যে কলমের এক আঁচড়েই অসামান্যা হয়ে উঠবে।

এখন সে সদ্য বেড়ে ওঠা যুবতী
জীবন চলার পথে মেয়েটি
আবার ছোঁয়া পেল এক যুবকের
তবে দুষ্টুমিভরা হাতের ছোঁয়ায় নয়
নিয়তির অবসম্ভাবী পরিণতির আভাসে।
নৌযানে দুই সহপাঠীর গল্পের মাঝে
আরেক নৌযানের ধাক্কায় ওরা পরস্পরকে ছুঁলো
সেখানে ছিলনা কোন শিহরণ নিছকই বাঁচার তাগিদ
তবে সেই ছোঁয়াই তাদের মিলনের পথ বেঁধে দিল
এদের ভালবাসার নেই কোন খামতি
আছে অপার প্রশান্তি পারস্পরিক বিশ্বস্ততা।

জীবনের পড়ন্ত বেলায় সেই বৃদ্ধা
তার প্রথম পরশ পাওয়া
কিশোরটির দেখা পেতে চায়
একেই কি বলে
অসম্পূর্ণ মানুষের অতৃপ্ত আত্মা
নাকি এক ধরণের রোমান্টিকতা?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!