নোবেল চুরি রহস্য

নোবেল চুরির তদন্তে নেমে সিবিআই,
রহস্যের কোন কিনারা করতে না পেরে,
হাল ছেড়ে দিয়ে, হাত গুটিয়ে নিয়েছে।’
– তথ্যসূত্র (নিউজ এজেন্সী)

একদিন রবি স্বর্গের বাগানে (Eden Garden) বেড়াতে বেড়াতে, একটি পারিজাত ফুলের গাছ দেখে, সেদিকে এগিয়ে গেলেন। দূর থেকে দেখলেন কী সুন্দর ভরে আছে গাছটা ফুলে। গাছের কাছে গিয়ে দেখল গাছের নীচে কয়েকটি টাটকা ফুল পড়ে আছে। উপরে তাকিয়ে দেখলেন অসংখ্য পারিজাত ফুটে আছে গাছ আলো করে। দেখে মন ভরে গেল তাঁর।
নীচ থেকে একটি ফুল তুলে নিলেন তিনি, নতুন বৌঠানের জন্য। বৌঠানের খোঁপায় দারুণ মানাবে এটা। এই ভেবে- সে ফুলটা হাতে তুলে নিয়ে আরও সামনে এগিয়ে গেলেন।
এমন সময় নিত্য গীত বাদ্যের শব্দ কানে এলো তার। ফুলটি হাতে নিয়ে সে আনমনে সেদিকে হাঁটতে থাকল। হাঁটতে হাঁটতে তিনি ভাবছিলেন, নতুন বৌঠানের কথা।
অমরাবতীর (ইন্দ্রপুরী) ভিতরে তখন নৃত্য গীত বাদ্য হচ্ছিল। সেখানে ঢুকতে গিয়ে প্রহরীর বাঁধা পেলেন তিনি। প্রহরী জানাল, রম্ভা মেনকার নাচ দেখতে, গান শুনতে বিশিষ্ট জনেরাই পারেন। সবাই সে সুযোগ পায় না।
রবি বলল, আমিও তো একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, নোবেল প্রাইজ পাওয়া মানুষ।
প্রহরী বলল, কোথায়? দেখি সেটা?
রবি বললোর, সে তো আছে মর্তে।
প্রহরী বলল, তবে নিয়ে আসুন সেখান থেকে।
তার কথা মতো রবি একা মর্তে এসে হাজির হলেন। শান্তিনিকেতনে এসে দেখে, প্রথমটায় একেবারেই চিনতে পারেনি তিনি, এতটাই বদলে গেছে জায়গাটা। কি ছিল,আর কী হয়েছে বর্তমানে?
সে যাই হোক, বিশ্বভারতী থেকে সে তার নোবেল পুরুস্কারটি নিয়ে স্বর্গে ফিরে গেলেন।
ততক্ষণে ইন্দ্রপুরীতে নাচ গানের আসর ভেঙে গেছে। রবি তা দেখে মনে মনে কিছুটা মুষড়ে পড়লেও, ভেঙে পড়লেন না, কারণ সেটা তার স্বভাব বিরুদ্ধ।
তারপর অনেকদিন কেটে গেছে, নোবেল পুরুস্কারটি আজও ফিরিয়ে দিয়ে যেতে পারেনি তিনি বিশ্বভারতীতে, কবে যে দিতে আসতে পারবেন, তাও তার ঠিক জানা নেই। তাই আজও বিশ্বভারতী নোবেল শূন্য।#

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!