বেগম ফয়জুন নাহার শেলী ১৯৫৬ সালের ৩ মার্চ বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,বরিশাল মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বরিশাল মমতাজ মজিদুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর ১৯৮৫ সালে বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তিনি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বরিশালের লোকসাহিত্যের উপর কিছু দিন পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণা করলেও তা অসমাপ্ত রেখে রেডিও তেহরানের অনুবাদক ও ঘোষকের কাজ নিয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে চলে যান। সেখানে ১৯৮৭-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কাজ করার পর দেশে ফিরে পুনরায় বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে যোগ দেন। ২০১৬ সালে এই কলেজ থেকেই তিনি অবসরে যান।
এছাড়াও তিনি বরিশালের নারী ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন, দেশ গড়ি, জাতীয় কবিতা পরিষদরক্ত ঝুমুর খেলাঘর সহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ: বাংলার ত্রয়ী দিশারী নারী, কামিনী -রোকেয়া-সুফিয়া ২০১৪, প্রবাদ ধাঁধা উৎসবে বরিশাল (জয়তী, ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। বরিশালের মনীষী (সংকলিত, জয়তী ফেব্রুয়ারি ২০২৪)।
সম্পাদিত গ্রন্থ: উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি ঔপন্যাসিক কুসুম কুমারী রায়চৌধুরীর প্রথম উপন্যাস স্নেহলতা (২০২২ ফেব্রুয়ারি) ও বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ( বাকশিস) বরিশাল শাখার প্রকাশনা “শ্রদ্ধেয় স্মরণে”(২০২৩) পত্রিকা ।
এছাড়াও বরিশাল থেকে প্রকাশিত মাসিক আনন্দ লিখন, দৈনিক আজকের পরিবর্তন, গাইড বার্তা, মুক্তবুলি,পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত “বাকভারতী” সহ বিভিন্ন পত্রিকায় তার প্রবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হয়।