তোমার কাছে
একমুঠো বিশুদ্ধ বাতাস চেয়েছি।
তুমি বলেছিলে – “এ আর এমন কি!”
তুমি আমায় কথা দিয়েছিলে।
সেই আল্হাদে
ফুলের উপত্যকা থেকে পাহাড়ি পথ,
জলপ্রপাত থেকে নদীর স্রোত;
এক এক করে ছুঁয়ে যাচ্ছিলাম –
পবিত্র স্বর্গকে!
অথচ চৌকাঠে পা দিতেই –
একরাশ কালো ধোঁয়ার কুণ্ড
ধেঁয়ে আসছে,
আমাকে গ্রাস করবে বলে।
স্নানঘর, শয়নকক্ষ আর দেবালয়
যেখানে আমি প্রানভরে শ্বাস নিই,
খুশিতে উদ্বেলিত হয়ে উঠি;
সেখানেই আমার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে –
বিষাক্ত পরিবেশে।
এসব ছেড়ে আমি পালিয়ে বেড়াই
দূরে আরো দূরে কোথাও,
অনেক পথ অতিক্রম করে –
অবশেষে পৃথিবীর শেষ সীমান্তে পৌঁছাই;
জল শুধু জল অনন্ত জলরাশি
সমুদ্রের তীরে অজস্র ঢেউয়ের সাথে
সেখানেও কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া এসে
আমাকে ক্রমশ গিলে খাচ্ছে।
একরাশ কালো ধোঁয়া হুড়মুড়িয়ে
ফুসফুসের ভেতর ঢুকে পড়ছে,
আর আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে।
এই অসহ্য দূষণ থেকে মুক্তি চাই!
মৃত্যু!
মৃত্যু কি মুক্তির আরেক নাম?