সমাজতাত্ত্বিক গণিত (Sociology Mathematics): ‘culture. It includes all the characteristics activities and interest of people.’ পৃথিবী বিখ্যাত নোবেলবিদ্ সাহিত্যিক T. S. Eliot -এর এই ভাষ্য থেকেই বোঝা যায় যে গণিত Culture বা Folk culture-এর বাইরে নয়। আর সমাজতাত্ত্বিক গণিত সম্পর্কেও সেই একই কথা সমানভাবে প্রযোজ্য। সমাজে মানুষ থাকবে, মানুষের ভাবনাচিন্তা থাকবে না, চিন্তা-চেতনা থাকবে না, নিয়ম-কানুন থাকবে না এটা কল্পনার বাইরে। সমাজের মানুষ প্রতিটি পদক্ষেপে সমস্ত কর্মকাণ্ডেই যেসব নিয়মকানুন মেনে চলে তা কিন্তু অত্যন্ত গণিত নির্ভর। একটু নিবিড় ভাবে চিন্তা করলেই তা আমরা অনুধাবন করতে পারি। এ প্রসঙ্গে একটি লোকগাণিতিক কবিতার উল্লেখ করা যেতে পারে। যেটি লেখা হয়েছে বুধবার বিকেলে ২৫শে জুন, ২০০৩ সালে। লেখক R. Topo WRESNIWIRO কবিতাটির নাম হলো ‘A numeracy poem’
Being a teacher is not so easy
Imagine yourself teaching Numeracy
You’d probably have realy difficult
It you don’t have a really good strategy
To explain whatever topics may be
In order for your students to see,
To understand the ‘What’s and the ‘why’s
Of any topics they might try.
Whether you call it numeracy,
Or Mathematics of ‘Mathemacy’
It’s still perceived not to be easy
Unlike one, two, three, or A, B, C
No matter how hard they try
We must not let them cry
Our students may have dylexis,
Maths-Phobia or dyscalculia.
No matter whatever it is
They can’t afford to give it a miss
If they think numeracy
Is not so easy, like, A, B, C,
It’s our duty, we must try
To understand them, what?
কবিতাটি ২০০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে ALM News Letter-এ প্রকাশ পায়। এছাড়া সমাজতাত্ত্বিক গণিত প্রসঙ্গে D. Struik তাঁর On the sociology of the Mathematics প্রবন্ধে Science and Society পত্রিকার একটি সংখ্যায় তার মতামত প্রকাশ করেন।
স্বয়ংসৃষ্ট গণিত (Self-Generated Mathematics): পৃথিবীর বিভিন্ন জনজাতি ও আদিবাসীদের মধ্যে নিজস্ব কিছু হিসাব নিকাশের পদ্ধতি রয়েছে। যেমন পেরুভিয়ো ভাষায় ‘কুইপাস’ (Quipus) বা ‘কিপাস’ (Kipes) নামের একটি গাণিতিক পদ্ধতির কথা জানা যায়। তারা দড়িতে গিঁট দিয়ে দিয়ে সমস্ত রকমের হিসাব রাখতেন। আবার বাংলাদেশের যশোর জেলার কিছু কিছু অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে, মালো সম্প্রদায়ের মধ্যে তারা বতরের হিসাব রাখতো এক মুঠো চাল তাদের চালের কলসী থেকে অন্য পাত্রে সরিয়ে রেখে। এই হিসাব করতো মূলত মেয়েরা কারণ তারা গতানুগতিক লেখাপড়া না জানলেও তাদের স্বামী, ভাই এবং পুরুষেরা মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে চলে গেলে ফিরে আসার জন্য যে অপেক্ষা করত সে সময়টাকে যে বতর বলা হয় তার হিসাব রাখার জন্য তারা ঐ চালের সাহায্যে পরিমাপটা ঠিক রাখত। এটা তাদের একদমই নিজস্ব সৃষ্ট গাণিতিক চেতনা বা ভাবনা। P. Cobb (1986) তার বিভিন্ন আলোচনাতেই Ethnomathematics-কেই এই স্বয়ংসৃষ্ট গণিতেরই এক রূপ বলে মনে করেছেন। তিনি তার বক্তব্যকে সুন্দরভাবে ব্যক্ত করেছেন Contexts, goals beliefs and learning mathematics প্রবন্ধে।
ব্যবহারিক গণিত (Practical Mathematics ): কামার, কুমোর, ছুতোর, জেলে কিংবা দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার সকল পেশায় যুক্ত রয়েছে যে সব মানুষজন তাদের সকলেই কিন্তু উচ্চিশিক্ষা লাভ করে আসে না বা থাকে না। অথচ তারা বাস্তব জীবনে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তাদের যে সব কর্মকাণ্ড করতে হয় তার মধ্যে থাকে অজস্র গাণিতিক চেতনার প্রকাশ। পরিমাণবোধ, মাত্রাবোধ, পরিমাপবোধ, সময়চেতনা সবকিছুই মিলিয়ে মিশিয়ে যে সমন্বয় সাধন করে তাদের প্রাত্যহিক জীবন অতিবাহিত হয় তাতে এক সমাজ বিবর্তনের ধারা মেনে ক্রমশ প্রগতির শিখরে উঠে আসার প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়। ঘরের মধ্যে মহিলারা তারা অনুপাতের অঙ্ক শেখে না, বিশেষ করে যারা গ্রামীণ জনজীবনের মধ্যে মানুষ হয়ে ওঠে। এমন কি শহরতলী বা শহরেও যারা রান্নাবান্নার কাজে নিযুক্ত তারা রান্নার সময়ে তরকারি রান্না করার সময়ে কতগ্রাম ডালে কতটা ফোড়ন দেবে, মাছের ঝোলে কতখানি মশলা দেবে, মাংসের ঝোলে পরিমাণ মত মশলা ও জল কতটা দেবে তা কিন্তু তারা খাতা কলম নিয়ে হিসেব কষে দেন না। এই গাণিতিক চেতনা মহিলাদের মানসজাত। আবার নিরক্ষর দক্ষ শিল্পী রঙ তৈরির সময় কতটা জল বা তেলে কোন রঙ কতটা মেশাবে তাও হিসাব কষে দেয় না। তা তার নিজস্ব ভাবনা-চিন্তার স্তর থেকে বহির্ভূত; যা প্রায়োগিক দক্ষতার নিদর্শন। প্রতিমা নির্মাণের সময় অঙ্গ স্থাপন, চোখ দুটি সমান্তরাল ভাবে স্থাপন করার কাজ শিল্পী অতি নিখুঁত ভাবে করে থাকে। এইকাজও তার সহজাত। এই সমস্ত কাজকে ব্যবহারিক গণিতের আওতায় ফেলা হচ্ছে।#