উত্তাল
আমার সামনে পৃথিবী বোকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
হাঙরের জীবন রক্তাক্ত করা গান
ঢেউ হয়ে আসে উপকূলের দিকে;
বীজ ও বপনের একটি মাত্র কৌশল হুবহু জেনেও
তোমরা কেন সমুদ্রের কাছে এসে
কিছুই চাইতে পারোনি?
আশ্রম
ঘুম ও জেগে থাকার যে কোনো দূরত্বে
কেউই জেগে নেই;
যদি থেকে থাকো কেউ
তোমাকে কেন দেখি না আমি!
তুমি বোধহয় নিচু হয়ে খুঁড়ছ—
নিজের সুড়ঙ্গের আরও গভীরতা;
আমি খুঁড়তে পারি না
আমার হাত অবশ হয়ে আছে;
অকেজো হওয়ার আগে
শুধু একবার ঘুড়ি উড়িয়েছি
এবং বুঝেছি
আনন্দ পেলে
মাটি থেকে লাফিয়ে আকাশ ছোঁয়া যায়।
আগ্রহ
সামনের ছুটিতে তোমাকে পাহাড় দেখাব
তুমি চূড়ায় উঠে আমাকে ফেলে দিও পাতালে
আমরা নিকট….
দূরত্ব গিলেছি প্রেমে;
আমরা দূর থেকে দেখব—
দূর কী করে বিধ্বস্ত নিকট!
কাঁপব…
উৎসব সহজ হবে আরও
ঘড়ি
এত চিহ্ন
এত জল
পৃথিবীতে সূর্যের বাগানে কাঁটা
কাঁটায় ঝুলে থাকি—আমি ও সূর্য পৌনঃপুনিক!
রঙের ভেতর গোল হয়ে ঘুরে
তোমাকেও এত ফ্যাকাসে লাগে কেন, ঘড়ি?
দোলনা
চোখে চোখ—বৃষ্টি হয়
হাতে হাত—ছায়া দোলে
জিভে জিভ—ময়ূর-দোলা;
এসব চিত্রকল্পে মুগ্ধ হয়েছি
কেননা বোধিচিত্রে আঁকা হচ্ছে
এক গুনগুন অবিরাম খাঁ খাঁ করা শূন্য;
ভবিষ্যৎকালের শীতার্ত যুবকের প্রতি রেখে যাচ্ছি
রঙখেকো এই উল্লাসিনীর মুখমণ্ডলের প্রকট কিছু ছবি….