নব্বই দশকের বাংলা কবিতাকে তৈমুর খান ভরিয়ে দিয়েছেন প্রাচুর্যে ও সম্পন্নতায়। তাঁকে নিয়ে দু একটি কথা যা বলা অত্যন্ত জরুরি।
একান্ত নিজস্ব অন্ধকারে যখন “সব মানুষগুলি গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে” সব মুখগুলি লুকিয়ে পড়েছে মানুষের মুখে সেই সময়েই “কোথায় পা রাখি” এই জিজ্ঞাসার আচ্ছন্নতা থেকে কবি তৈমুর খানের কবিতার যাত্রাপথ শুরু। তারও আগে রয়ে গেছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। সলতে পাকানোর প্রস্তুতিপর্ব। তৈমুর শৈশব থেকে জীবনকে যেভাবে দেখেছেন শ্রমে ঘামে দারিদ্রে লাঞ্ছনায় তাঁর কবিতা সেই জীবনের নিশ্ছিদ্র প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তিনি দেখেছেন মানুষের মুখে যান্ত্রিক হাসির প্রলেপ। রক্তলাঞ্ছিত এক সময়ের ভেতর তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন বেঁচে ওঠার সকালগুলি, জীবনের নগ্নবাস্তবতার অনৈসর্গিক ঘ্রাণ যাঁর হাতে ‘মায়াবী তরঙ্গে খেলা করছিল অসময়, বড়ো অসময় ‘এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিদিনকার রক্তক্ষরণগুলির উপর শুশ্রূষার প্রলেপ দিয়েছিল কবিতা। কিংবা হয়তো তাও নয় কবিতার প্রোটোপ্লাজমের ভেতর নিজস্ব মুক্তির পথ নির্মাণ করেছিলেন তিনি নিজেই চুপিসারে। তাঁর কবিতা তাই একটু একটু করে নিজেকে নিংড়ে তার নির্যাস থেকে পরিক্রমণ করেছে মহাজাগতিক পথ। কবিতার মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষরিত হয়েছে তাঁর চলাচল, জিজ্ঞাসা, দ্রোহ, ভালোবাসা এবং যৌনতার সৃজনভূমি। ব্রহ্মশিশিরে স্নান করে ‘একটি গাছের মতো সহস্র পাতায়’ লিখেছেন কবিতার পর কবিতা। ‘খা শূন্য আমাকে খা’ বললেও শূন্যতা তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি বরং তিনি তরঙ্গের লীলায় দেখেছেন মাধুর্যের বসতি।
‘একটা ঘুমন্ত সময়ে আমি অশ্বচক্র হয়ে ঘুরছি
তৃষ্ণা ঝুলে থাকা লাগামবিহীন ঠোঁট
উড়ন্ত জ্বালায় তপ্ত বায়ুভুক জীবনের রশ্মির মতো
মরিচীকা আমার অক্ষর
মুদ্রিত প্রাণকে ঝাউবনের ভাষায় বার বার
ফিরে পেতে চাই (পর্যটন / বৃষ্টিতরু)’
ব্যক্তিগত ক্ষরণ থেকে তাঁর কবিতার প্রতিকৃতি নির্মিত হলেও ব্যক্তিগত এবং নৈর্ব্যক্তিকের চিরাচরিত সীমান্ত তিনি অতিক্রম করেছেন সহজেই।চিন্তার আবদ্ধতা ডিঙিয়ে মুক্তদৃষ্টির সমতলে পরস্পরের সাথে মিলিত হয়েছেন। বস্তুর মধ্যেও তৈরি করেছেন প্রাণের স্পন্দন। শৈল্পিক মনস্তত্বের আশ্রয়ে তা শব্দশিল্পের উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে প্রতিবিম্বিত হয়েছে। কবিতা এত সহজ এবং সাবলীলভাবে প্রসূত হয়েছে যে অন্তর্বস্তু বা প্রকরণ নিয়ে তাঁকে আরোপিত কোন ভাবনা ভাবতে হয়নি। দৃশ্যমান জীবনের ভেতর থেকে উঠে এসেছে সারবস্তু। যেভাবে বেঁচে থাকা তার অপরিহার্যতাকে কায়েম করে নেয়।
‘এই বেঁচে থাকার মানে খুঁজতে খুঁজতে
সারাদিন শ্রমিক হয়ে যাই-
সমাজের মৃতদেহ থেকে পোকা ও পঙ্কিল
বেছে বেছে তুলে আনি কিছুটা সময়,
যে ঘর বানাই, যে নারীর কাছে সঙ্গম প্রার্থনা করি
নিরাপদ বিশ্বাসের সন্তান কামনায়
সেখানেও ঢুকে যায় শয়তান-’ ঈশ্বর
(বেঁচে থাকা / এই ভোর দগ্ধ জানালায়)
নব্বইয়ের শুরু থেকেই তৈমুরের কবিতার মোচড় এবং শব্দের কাছে আশ্রিত হওয়ার যে অভিপ্রায় লক্ষ্য করা গেছে তা থেকেই বোঝা যায় যে তৈমুর কবিতার জগতে প্রাণের প্রতিধ্বনি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। এ কথা আজ বলতে কোন রকম দ্বিধা নেই যে তাঁর কাজে এবং শিল্পে তিনি তা প্রতিষ্ঠিত করেছেন কোন রকম আপস ছাড়াই-
‘হাহাকার, তুই একটা মানুষ
তোর জন্য আমার বিকেলবেলা হারিয়ে ফেলি
কোথাও যাওয়া হয় না
আলপনাদের জানালার সামনে চোখ অন্ধ হয়ে আসে
হাহাকার, তোর জন্য রাত্রির খাবারটেবিলে মাথাগরম
হাহাকার, তোর জন্য সারারাত চোখের জলে ভেসে যায়
ভাবনার প্রসূতিসদন
(হাহাকারকে একটা চিঠি /বৃষ্টিতরু)’
এই হাহাকার তাঁকে কবিতা লেখায়। গ্রামের পাঠশালা থেকে কিশোরীমেঘ যখন বেরিয়ে পড়ে।যখন শীতকালের ধূপছায়ায় উড়তে থাকে মানুষের বিস্তীর্ণ ডানা।তখন ইচ্ছে অনুভব জ্যামিতিরেখা এবং তাঁর নিজস্ব ভূমণ্ডল কবিতার খাতার ভেতর এসে ঢুকে পড়ে। এভাবেই কবিতা আর জীবন মিলেমিশে এক অদ্ভুত আশ্লেষে বাঁধা পড়ে। কবি তৈমুর খানের ‘নির্বাচিত কবিতা’ পড়তে পড়তে এই ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে যায়।
যাকে আমি ভালোবাসতাম সে-ই আমাকে আকাশের ছাদ থেকে
ফেলে দিয়েছিল
পড়বার আগের মুহূর্তে আমার চোখদুটো উপড়ে দিয়েছিলাম
তাকে
পৃথিবীতে তাই অন্ধ ভিখিরি হয়ে বসে আছি
(অন্ধকথা/ খা শূন্য আমাকে খা)
কবিতাটি বারবার পড়েছি একসময় কতরকমের অন্ধকার আছে পৃথিবীতে তার অনুসন্ধান করেছি ‘মানুষের মস্তিষ্কের জীব অরণ্যের অন্ধকারে’। নিজের কবিতাগুলির উৎসমুখ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কবি তৈমুর খান নিজেই বলেছেন, “কবিতাগুলি আমার আত্মজীবনেরই নানা বাঁক, জীবনযাপনের প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে বেজে উঠেছে তারই টঙ্কার। আত্মদর্শন ও আত্মঅন্বেষণের ভেতর হাহাকার ও শূন্যতার এক অবিরাম রূপান্তর। প্রেম, ঈশ্বর, মানবিকতা ভাঙন ও দীর্ঘশ্বাসের নানা স্তর। একটা জীবনবোধের সংবেদনশীল শিল্পকর্ম মাত্র। কবিতার কাছে যেমন আত্মসমর্পণ তেমনি আশ্রিত হওয়ার ব্যাপারটিও যুগপৎ ভাবে ঘটেছে। শব্দই যখন অস্ত্র তখন উপশম খোঁজার ঔষধও। যতই নিষ্ঠুর পৃথিবীর কদর্য রূপ বেরিয়ে পড়েছে, কবিতা ততই সঙ্ঘবদ্ধ এক দৃঢ়তায় প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি কবিতাই সভ্যতাকে বাঁচাতে পারে। প্রাণের প্রতিধ্বনিকে জাগিয়ে তুলতে পারে।’’
নির্বাচিত কবিতা কবি তৈমুর খানের এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের তেরোটি কাব্যগ্রন্থের নির্যাস। সময়ের ক্রম অনুসারে যদি সাজানো যায় তাহলে কোথায় পা রাখি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং ২০১৬ সালের নভেম্বর অবধি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নির্বাচিত কবিতাগুলি নিয়েই এই গ্রন্থ। যে কাব্যপরিক্রমার ভেতর দিয়ে তৈমুর আজকের এই নির্বাচিত কবিতার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। যদি ফিরে তাকাই সেই সারণীর দিকে তাহলে দেখা যাবে কালানুক্রমিকভাবে তাঁর সৃষ্টিপথ এভাবে তৈরি হয়েছে
কোথায় পা রাখি, বৃষ্টিতরু, খা শূন্য আমাকে খা, কাঞ্চিদেশ, আয়নার ভেতর তু যন্ত্রণা, বিষাদের লেখা কবিতা, কপোতাক্ষ, একটি সাপ আর কুয়াশার সংলাপ, তবু অভিমান, জ্বরের তাঁবুর নীচে বসন্তের ডাকঘর, তরুণাস্থি, তরঙ্গের লীলায় দেখি মাধুর্যের বসতি, বর্ধমানের খবর, প্রত্নচরিত, দশমীর চাঁদ, অন্যপত্র, এই ভোর দগ্ধ জানালায়, সহযাত্রী, বৃত্তের ভেতরে জল, আন্তর্জাতিক পাঠশালা, নির্বাচিত কবিতা, আবিষ্কার।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য গদ্যগ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে কবির ভাঁড়ারের চাবি, মুক্তির দশক নব্বইয়ের কবি ও কবিতা, আত্মসংগ্রহ এবং আত্মক্ষরণ।
কবি তৈমুর খানের কবিতার সাথে আমার পরিচয় নব্বই দশকের মধ্যভাগে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে একটা নেশায় মতো হয়ে গিয়েছিল। অনাস্বাদিত আচ্ছন্নতার আবরণে কবিতাগুলো জড়িয়ে রাখত তখন। এক ঘোর লাগা অনুভব। তখন তো অনেক কবিতা পড়তাম। কেমন হয় আজকের সময়ের কবিতা। কেমন হয় চিরকালীন কবিতার অনুচিন্তা এসব জানার জন্য। কবিতা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই কবি তৈমুর খানের কবিতাগুলি পড়তাম তখন। তৈমুরদা আমারই সময়কালের কবি কিন্তু তখন তো তাঁকে চিনতাম না। কবিতার ভেতর ফুটে উঠত একটি মানুষের অবয়ব। অনেকেই বেদনার কথা লেখেন, শূন্যতার কথা লেখেন বিষাদ লেখেন, দারিদ্র লেখেন। সেসব লেখাকে ঠিক কবিতার মতো মনে হয় না। ব্যর্থ স্বপ্নের আস্ফালনচিহ্ন হয়ে থমকে থাকে দূরে। তৈমুরের কবিতা পড়তে পড়তে মনে হত ‘একান্ত কান্নার কাছে কিছুক্ষণ বসি’ আর ‘সারাদিন সারারাত রাস্তা খুঁড়ি আমি নীরবে চেঁচাই‘ বিষাদের লেখা কবিতায় জীবনযাপন বলতে গিয়ে তৈমুর এভাবে নিজেকে উজাড় করেছেন–
একান্ত কান্নার কাছে কিছুক্ষণ বসি
সব মেঘে বৃষ্টি নেই কেউ কেউ জানে
কোনো কোনো বৃষ্টিপাতে মেঘও হয়না
একান্ত কান্নার কাছে নির্ঝর আগুন
প্রতিদিন বেঁচে থাকা রপ্ত করি এই বেঁচে থাকা।
(জীবনযাপন)
তৈমুরের কবিতা নিয়মিত পড়ার অধিকার থেকে একথা বলা যায় শব্দব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁর চয়নদক্ষতা অসামান্য এবং নিজেকে সম্পুর্ণ উজাড় করার ক্ষেত্রে তিনি অকৃপণ। কবিতা লেখার সূচনালগ্ন থেকেই আমি সমকালীন যে কজন কবির কবিতার সাথে নৈকট্য এবং যোগসূত্র অনুভব করেছিলাম তৈমুর তাঁদের অন্যতম। তাঁর কিছু কবিতার ভেতর গ্রামীণ মাটিপথ, নিকনো উঠো, ছিপ ফেলে মাছ ধরা, নদীস্নান, নৌকার উত্তাপ, সাপের দো-ফলা জিভ, আমলকী বনের হাওয়া যে ভাষায় চিত্রিত হয়েছে তা যেন আমারই গ্রাম, আমারই মাটির চারপাশ। কবিতার অন্তরে যে অনুভব আকুতি উচ্চারিত তা নিবিড় ভাবে ছুঁয়ে যায় আমাদের অন্তর্নিহিত মন আমরা যারা গ্রাম থেকে দারিদ্র থেকে শ্যাওলাধরা এক জীবনের ভেতর থেকে হামাগুড়ি দিতে দিতে এসে দাঁড়িয়েছি কোথাও। তৈমুরের কবিতা আমাদের জীবন ও সময়ের কবিতা হয়েও ব্যক্তি ও সময়ের গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বব্যপ্ত হয়ে যায়। যা একই সাথে ব্যক্তিগত এবং উত্তরব্যক্তিক।
(১)
আমলকী বনের হাওয়ায়
উজ্জীবিত হয়ে দেখি
সকাল হয়েছে আমাদের
স্বর্গের পাখিরা উড়ে আসছে
দেখতে দেখতে রেললাইনের ধারে
দাঁড়িয়ে গেছি
কোনদিকে যাব?
(স্টেশন/দশমীর চাঁদ)
(২)
একটা নদীর কাছে নিজের বিষণ্ণ জল
বয়ে যেতে দেখি –
জল কোন জলে ধোবে নিজ দেহ?
চারপাশে বিষণ্ণ আস্তাবল
ঘোড়াগুলি জাবর কাটে বিষণ্ণ ছায়ায়
(বকের মতন/একটা সাপ আর কুয়াশার সংলাপ)
(৩)
পলাশ রঙের মাঠ পাশেই
সেখানে শস্যখেতে শস্য ওঠে
মানুষেরা বাঁচে
স্বপ্ন হয়ে গাছে – গাছে প্রতি বাঁচা বাজে
আর হলুদ ক্রিয়ার বিবর্ণ ফুল
বাঁশবন, ঘরবাড়ি, জল-স্থল
মায়াময় চরাচর কেঁপে ওঠে ঝড়ে
এমন প্রশ্নের ভেতর কে বাজায় সহজ সুন্দর বাঁশি?
(প্রত্নচরিত)
(৪)
ভালোবাসার ঘর ভেঙে গেলে
একটা নিস্তব্ধ গাছতলাও খুঁজে পাওয়া যায় না
তাড়াতাড়ি বিকেল হয়ে যায় (দুর্ভর জীবন/বৃত্তের ভেতরে জল)
(৫)
আমার হাতের তালুর উপর ব্যর্থ এক মানুষ শুয়ে আছে
তার হৃদয়ের মোমের আলোয় পুড়ে যায় আয়ুরেখা।
(উদ্বাস্তু / অগ্রন্থিত কবিতা )
(৬)
মেঘের বাছুর এসে গা চেটে দেয়
নরম সূর্যের দিন।
আমরা সব পালক ভিজিয়ে
বসে থাকি জ্ঞানপাপী পাখি
(নৈসর্গিক/জ্বরের তাঁবুর নীচে বসন্তের ডাকঘর)
(৭)
গাছ থেকে খসে পড়ে গাছের জীবন
সূর্যরঙে উষ্ণতাবর্জিত ছাইগুলো
কী না কী চেয়ে থাকা মুগ্ধতাপ্রতিম
পাথুরে চোখের দৃষ্টি পায় ছদ্ম পরিভাষা
(একা এবং দারুণ একাকী/বৃষ্টিতরু)
(৮)
দূর পৃথিবীর নির্জন ঘরে মাটির প্রদীপ জ্বেলে
মেয়েটির কথা আমি ভাবি, তার অন্ধকার চুলের গন্ধে
পৃথিবী ভরে গেলে আমিও ছুটি চাই
প্রদীপ নিভিয়ে আমি একা , আরও একা হতে চাই
(দূর পৃথিবীর নির্জন ঘরে/এই ভোর দগ্ধ জানালায়)
উপরের কবিতাগুলি গভীর ভাবে উপলব্ধি করলে জীবন ঘনিষ্ঠ শিল্পদৃষ্টির পাশাপাশি এক নিস্তব্ধ গাছতলা খুঁজে পাই আমরা। যেখানে কেউ সহজ সুন্দর বাঁশি বাজায় আর সেই সুর আমাদের মর্মদেশ স্পর্শ করে। কিংবা তৈমুর যখন বলেন ‘মেঘের বাছুর এসে পা চেটে যায়’ তখন সেই স্পর্শের আবেশটুকুও ছুঁয়ে যায় আমাকে। এখানেই তৈমুরের কবিতার প্রাণ ও উদ্দীপনা। তাঁর কবিতা জীবনের হার্দিক উচ্চারণ যা উপলব্ধির প্রতীতিজাত গাঢ় অনুভূতির স্তর এবং বর্ণময় সম্বিতের বার্তা অতিক্রম করে আমাদের মেধাবী বাতানুকূল নীলিমায় অনন্ত জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়ে যায়।#