মা
মা, আবছা হয়ে ভাসে তোমার মুখ।
ভোরের কাকলি তে, যেদিন উঠি জেগে।
পুবন হাওয়ায় ফুলের সুবাসে তোমার গন্ধ আসে।
কানে বাজে ভৈরবী, আশাবরীর বাহার,
তানপুরাতে পাই যেন তোমারই ঝঙ্কার।
দুপুর বেলা কে যেন ডাকে ভাত জুড়িয়ে যায়।
স্নানের ভেজা চুলের গন্ধ তোমার সুবাস বায়।
গ্রীষ্মকালে বিকেল হলেই পাউডার আর সাবানফুলের গন্ধে।
গুনগুন গানে কান পড়ে রয় কলের জলের ছন্দে।
সন্ধ্যে হলেই পড়ার তারা রাগরাগিনীর ভাঁজে,
আজও শুনি সুরের আলাপ রান্নাঘরে সাঁঝে।
পড়ার শেষে তোমার কাছে গল্প শোনার আড়ে,
তোমার কোলে পরম সুখে থাকি ঘুমের ঘোরে।
রাত যে কাটে হাতে ধরে তোমার আঁচল খানি,
অসুখ হলে বেশী করে তোমায় পাব জানি।
আজও পেতে চাই তোমার হাতের চুলটানা, কানমলা।
তিরস্কারেও থাকত তোমার গলায় মধু ঢালা।
আজও আমি সে দিনগুলো ফিরে পেতে চাই।
তোমার হাসি, তোমার গন্ধে দুঃখ ভুলে যাই।
খোঁজ রাখিনি কবে তোমার জন্মদিন হয়,
নিজের দিনে পায়েস, কেক এ কোন কমতি নয়।
ফিরিয়ে দাও সেই স্বপ্ন মাখা সোনালী দিনগুলো,
তোমার সোনা আজও কাঁদে,
ফাঁকি দিয়ে গেলে চলে,
সুযোগ দাও শুধরে নেবার ভুল-ত্রুটিগুলো।




