বাবা গত হয়েছেন বহুদিন হলো। হঠাৎ মায়ের যখন সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়, ডাক্তার জবাব দেন। সপ্তাহখানেক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চাঁদা তুলে দেওয়া হয় নার্সিংহোমের ফিস। ছয় ছেলের মধ্যে পাঁচ ছেলে চাকুরিজীবি। তাও আবার সরকারি চাকরি। ছোটছেলে শুধু বেকার। ছোট্ট একটা পানের গুমটি আছে তার। কোনোরকমে সংসার চলে।
মাকে নার্সিংহোম থেকে ঘরে আনার আগেই মায়ের জিনিসপত্রের ভাগ-বাঁটোয়ারা শুরু হয়ে যায়।
বড়দি বলে – কি রে ছোটকু তুই মায়ের কিছু জিনিস নিবি না? ওই স্মৃতিচিহ্ন আর কি!
সোনা-রূপো-পিতল-কাঁসার সমস্ত জিনিসপত্র যখন ভাগ-বাঁটোয়ারা হয় তখন ছোটছেলে বলে- আমার জন্য মায়ের লাঠিটা রাখিস কিন্তু।
সবাই বলে – বোকা কোথাকার, লাঠি দিয়ে কি করবি? সাপ মারবি নাকি?
ছোটকু বলে – সে তোরা বুঝবি না। মা যেমন ছোটবেলায় হাত ধরে চলতে শেখান, ঠিক সেইরকম বুড়ো বয়সেও মায়ের হাতটা আমি এই লাঠির মধ্যে দিয়েই পাব।