মাগো প্রতিবছর শরতের এই চারটি দিনে
তুমি আসো আমাদের ভীষণ কাছাকাছি,
খুশির মঙ্গল শঙ্খ বেজে ওঠে দশদিকে।
শরত সাজিয়ে রাখে পদ্মের কলি
তোমার ওই রক্তিম চরণের প্রান্তে।
মহালয়ার তর্পণের মন্ত্রে বেজে ওঠে আগমনী
দশমীর শেষ লগ্নে চলে যাও কৈলাস ভূমি।
মাগো তোমারই তো প্রতিরূপ
আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে–
তবু কেন এই দুর্গারা
চির অবহেলা অনাদরে মরে?
লালসার অগ্নিতাপে শব হয়ে কেউ
পড়ে থাকে ধানক্ষেতের পাশে।
কেউ বা জটিল গোলোক ধাঁধায় পাক খেয়ে
ভেসে যায় কুটিলতার গ্রাসে।
অবিরাম চলে রক্তপাত শ্বাপদের বিষাক্ত থাবায়
পণ্যের দাবানলে,
জীবনের ওঠাপড়া, জীবনের যন্ত্রণা
নীল হয়ে মিশে যায় সাগরের জলে।
নারী খোঁজে মুক্তি, খোঁজে সম্মান
পুরুষের ছক কাটা পাশার দানে!
নিভে যায় আশার মোমবাতি অবিশ্রান্ত বর্ষণে।
একটু শান্তি একটু আলো
মাগো তুমি কি দেবে না একটা উদ্যত
কালসর্প এদের দুর্বল বিপন্ন হাতে?
অসুর নিধনে এরা কি হবে না চণ্ডী
শরতের স্বচ্ছ্ব স্বর্ণালী প্রাতে?