মৃত সভ্যতার ক্ষতস্থান থেকে কুড়িয়ে এনেছি নুড়ি পাথর,
গর্ভবতী মেঘ ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে বললো, আগুনকে পুষে রাখছো হাতের তালুতে?
মাটির ঘরের ভেতর উইপোকা বাসা
বেধেছে, শ্মশানের ছাই পোড়া গোঙানি শব্দ আমার শিরায় পাঁজরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
শিশির রাতের গন্ধে বৃষ্টি মানবীর ঘুঙুরের ছন্দে উল্লসিত হল প্রাণ।
জীর্ণ কাঠের চেয়ারে বসে দুলতে দুলতে নীরব ছায়াদের দেখি,
রক্তস্রোতের ভেতর খুঁজে বেড়াই একটি হেমন্তের গভীর অরণ্য,
স্বরলিপি, কবিতার অক্ষর আর জ্যোৎস্না মাখানো জীবন্ত বৃন্দাবন।