“উস আওরাত কো পেহেলে ইধার লেকে আও!”
মেজর ইয়াকুব খোশ মেজাজে তার দরাজ গলায় হাঁক ছাড়লেন। আজকে গ্রামে গিয়ে দারুণ সুন্দরী এক বাঙালি মেয়েকে ধরে এনেছে মিলিটারি বাহিনী,তাকে নিয়ে কে আগে ফুর্তি করবে সেটার হিসাব চলছে। মেজর ইয়াকুব কথা বলার পরে আর কথা বলা চলে না,মেয়েটাকে আগে সেই খাবে! অগত্যা গজরাতে গজরাতে সুন্দরীকে ইয়াকুবের হাতে তুলে দিয়ে আসলো ইউসুফ আর কাফি।এই বুইড়া ইয়াকুবের এত খিদে আসে কোত্থেকে কে জানে!
আরও পড়ুন: যুদ্ধ ফেরত
ইয়াকুবের পৈশাচিক অত্যাচার শেষে বছর ষোলোর শারমিন অর্ধচেতন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গত কয়েক ঘণ্টা পশুর মতো অমানুষিক চিৎকার করে ওর মনে হয়েছিল বুঝি আর কখনো চিৎকার করতে পারবে না।
যোনিতে বেয়োনেটের খোঁচা খেয়ে সেই ভুল ভাঙলো। ইউসুফ এতক্ষণে বাগে পেয়েছে ওকে। মেয়েটার ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে ইউসুফের কাম একেবারে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, একের পর এক পাগলের মত শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে আঘাত করে যাচ্ছে ইউসুফ। শারমিনের রক্ত হিম করা চিৎকার এখন পরিণত হয়েছে অক্ষম গোঙানিতে।
ঈশ্বর এতক্ষণ নিষ্ঠুরের মতো সেই সব আর্তচিৎকার শুনে শেষে এই গোঙানির বেলায় এসে একটুখানি সদয় হলো। অতি তৃপ্তিকর ধর্ষণ শেষে ইউসুফ খ্যাক খ্যাক করে হাসতে হাসতে বলল, “ইস আওরাত তো খাতাম!” তারপর লাথি মেরে লাশটাকে বারান্দায় পাঠালো।
আরও পড়ুন: মা
বাংলাদেশের বর্ষা খুব ভয়াবহ। একবার বৃষ্টি ধরলে আর ছাড়ে না সহজে। আজ রাতেও খুব ঝড় জল হচ্ছে। ইউসুফ বারান্দায় বের হয়েছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে। শারমিনের দেহ টা তখন ওখানেই পড়ে আছে, অন্ধকারে পায়ে লাগতেই আবার লাথি কষিয়ে লাশের উপর থুতু ছিটালো ইউসুফ। লাশ মাড়িয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ওর চোখ আটকে গেল লাশের হাতে। মেহেদী পরা ফর্সা হাতটা ঠিক ইয়াসমিন এর মত। ইউসুফের খুব আদরের ছোট বোন ইয়াসমিনের মতো!
সকালবেলায় শারমিনের লাশের পাশে আরেকটা লাশ আবিষ্কৃত হলো! ইউসুফ কোনো কারণে নিজের মাথায় নিজেই গুলি করেছে! এই আত্মহত্যার খবর শুনে ইয়াকুব হ্যা হ্যা করে হেসে বলে উঠলেন, “ডারপোক কাহিকা!”#