সভ্যতা রঙের স্নান
কামদীপ্ত শরীর মাখছে সভ্যতার রঙ
বেজে ওঠে বিষন্ন নুপুর
শুনি ফণিমনসার ঝোপে মোরগের ডাক
অবিন্যস্ত ঘুমের ভিতর পৌষালী ঘ্রাণ
উৎসব হেতু লাগামহীন উল্লাস
বেহায়া পৃথিবী গোপনাঙ্গে আঁকে ভগবানের ট্যাটু
সম্মিলিত উষ্ণতায় স্নান সারে সভ্য মানুষ
স্নানসঙ্গমে উতলা সঙ্গি মোক্ষলাভের পড়ে কবজ
দিগম্বর সভ্যতার প্লাবনে মেতে উঠছি সবাই
হৃদমাঝারে রাখবো গানে মাতোয়ারা সংস্কৃতির উঠোন
কামনার আগুনে ঝলসে যায় প্রজাপতি
প্রত্যয়
বিষন্ন সময়ের ডায়েরিতে লেখা দিন যাপনের বিরহ গাথা
ধূসর পৃথিবী
রঙিন চশমায় দেখি আশাবাদের পরলৌকিক দীর্ঘশ্বাস
সীমাহীন মুহূর্ত নিষিক্ত হয় সম্ভবের অ্যালবামে
হৃদয়ের শূন্যতায় ছড়িয়ে পড়ে করুন হাহাকার
পথের বাঁকে গুঁজে দিলাম ঠিকানাহীন ছায়া
পর্যটন ভাবনা খুঁজতে থাকে ভাষা
ইচ্ছেরা গুমরে মরে
পাওয়া না পাওয়ার আয়োজনে বিচলিত হয় উশৃঙ্খল শহর
বেজে উঠে নিঃসঙ্গ প্রেমের বাঁশি
এভাবেই স্বপ্নেরা মরে যায় রোজ
কবরডাঙ্গায় কারা যেন টাঙিয়ে দিয়েছে জীবনের বিজ্ঞাপন
ধ্রষ্ট পৃথিবীর মিথ্যাবাদী উচ্চারণ কিনে নেয় প্রেম
জীবনের কিনারায় দাঁড়িয়ে কবর ডাঙ্গার মঞ্চে ছোট শিশুরা গাইছে
“সোনা রোদের গান
আমার সবুজ পাতার গান”—
অন্তর্দহন
প্রতিদিন আমাদের কাপুরুষ বারান্দায় সূর্য আসে
অন্তর্দহনে পুড়ে মায়াবী আকাশ
পোড়া কপালে সুখেরা ঘোমটা টেনে বসে
জীবিকার ধূলো মাখা শরীর
ঘামেরা মরা নদীতে স্নান সারে
বেদনারা ঘুঘু চলা মাঠে প্রহর গোনে
স্বপ্নের বারান্দায় রোজ কবর খুঁড়ি
মায়াবী আকাশে চাঁদ খেলা করে
বিপন্ন রাত বৃহন্নলার পাশে ঘুমোয়
প্রজন্মের ক্ষুধা নিয়ে নিঃশ্বাস হাবুডুবু খায়
নিঃসঙ্গ দুপুরে লাঞ্ছনা অভিমান করে
ক্ষতবিক্ষত মন অস্থিরতার উত্তরাধিকার সাজায়