পূর্ণ শশী
বর্ষার দামোদর ভীষন খরস্রোতা
ঈশ্বর সাঁতার কাটে তেজী একরোখা।
ভগবতী জননী জীবনের ধ্রুবতারা
মানব প্রেমে হৃদয়ে জাগে ঝর্ণাধারা।
ভাষা বিজ্ঞানী- তিনি যে মহান
“বর্ণপরিচয়” তার অমূল্য দান
বাংলা অক্ষরমালার বর্ণচছটায়
সরল শিশুমনে মুগ্ধতা জাগায়।
যতিচিহ্নের সুকঠিন শাসন পথে
বাংলাভাষা এগিয়ে চলে বিজয় রথে
গল্প, প্রবন্ধ, অনুবাদ আর তর্ক-বিতর্ক
বাংলাভাষা হয়ে ওঠে প্রজ্বলিত অর্ক।
নারীদের জীবনে জ্বালালেন আলো
বিধবাবিবাহ মোছে সমাজের কালো
শিক্ষায় পেলো তারা নিজস্ব অধিকার
দুর্গম জীবনপথে এলো নব প্রতিকার।
অন্ধ আতুর দীন দরিদ্র সবাই আপন
সবার জন্যে কাঁদে অতল সাগরের মন
দয়া করুণায় মূর্ত তিনি অসীম সাহসী
বিদ্যায় জ্ঞানে সেবায় বাগ্মী পূর্ণশশী।
ঈশ্বর
কালবৈশাখী এল
উড়ে যায় সাদা থান
উড়ে যায় নির্জলা একাদশীর বিধান।
পরাশর সংহিতার বাণী মন্ত্রে
বর্ণালী উচ্ছল অরুণ এয়োতি চিহ্ন।
জীর্ণ সংস্কার পদানত
নির্ভীক দৃঢ়চেতা দরিদ্র ব্রাহ্মণ
এগিয়ে চলেন অমিত অগ্নিতেজে।
এক নতুন ভোরে জেগে উঠেছিল
রাধা পাপিয়া দেবলা বিরজা
আরো শত শত নিরুদ্ধ নারীহৃদয়
“কন্যাপেবং পালনীয়া শিক্ষণীয়াতিযত্নতঃ”
এক নব যৌতুক দিয়ে যান তিনি…