বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় সংস্কৃতির কেন্দ্র থেকে বহুদূরে নিভৃতে বসে সাহিত্যচর্চা করে চলেছেন তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে।তাঁর হাত ছুঁয়ে আছে গ্রামজীবনের শাপলা শালুক এবং পলাশ পুটুসের বিস্তীর্ণ পরিসর। প্রান্তিক মানুষের কাঁধে হাত রেখেই উচ্চারিত হয়েছে তাঁর শব্দশপথ, তাই তাঁর কবিতায় অথবা গল্পে এই বৃহৎ সামাজিক মানুষের কথাই তিনি আমাদের শোনাতে চেয়েছেন। করতালিবিধ্বস্ত মৃত সময়ের শব্দকোষ নয় মাড়গালা ভাতের মতো ঝরঝরে ভাষায় ছুঁয়ে আছেন মানুষের অন্তর। কবিতার পাশাপাশি গল্পেও তিনি অনেক বেশি আত্মনিবেশী। ১৯৭২ সালের ৬ জানুয়ারি পুরুলিয়া জেলার শিয়ালডাঙা গ্রামে এক সাংস্কৃতিক আলোকপ্রাপ্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা- মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়, মা- গীতা গঙ্গোপাধ্যায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্সে এম এস সি। পেশায় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের অ্যাসিট্যান্ট কন্ট্রোলার। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ গ্রন্থ ইত্যাদি মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা কুড়িটি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে হাইফেন বসানো বারান্দা, অপেক্ষা খরচ করি, নিরুত্তর প্রশ্নের দ্রাঘিমা, প্রান্তিক জানালা ও অন্যান্য গল্প, এবং অস্পৃশ্য হাত, নিজস্ব সংবাদ, আক্রান্ত বৃষ্টিদিন, মেহগনি ছায়াঘর, এক দেশ দশ দিগন্ত প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। পেয়েছেন ত্রিবৃত্ত পুরস্কার, সৃজন সম্মান, মালীবুড়ো স্মারক সম্মান, কফিহাউস পুরস্কার,পূর্বাশা পুরস্কার, হরিপদ সাহিত্য মন্দির পুরস্কার, মন্দাক্রান্তা পুরস্কার ডলি মিদ্যা স্মৃতি পুরস্কার সহ অর্ধশতাধিক পুরস্কার এবং অগণিত পাঠক ও গুণীজনের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও পাঠমান্যতা।#

নব্বই দশকের ব্রহ্মশিশিরে স্নান করা কবি তৈমুর খান

নব্বই দশকের বাংলা কবিতাকে তৈমুর খান ভরিয়ে দিয়েছেন প্রাচুর্যে ও সম্পন্নতায়। তাঁকে নিয়ে দু একটি কথা যা বলা অত্যন্ত জরুরি। একান্ত নিজস্ব অন্ধকারে যখন “সব মানুষগুলি গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে” সব মুখগুলি লুকিয়ে পড়েছে মানুষের মুখে সেই সময়েই “কোথায় পা রাখি” এই জিজ্ঞাসার আচ্ছন্নতা থেকে কবি তৈমুর খানের কবিতার যাত্রাপথ শুরু। তারও আগে রয়ে গেছে…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!