ইমানুল হক
ইমানুল হক এর জন্ম উনিশ শতকের ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে। মেধাবী এই কৃতি ছাত্র স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় পেয়েছেন ৬টি স্বর্ণপদক। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। অন্যপথে হাঁটা ঋজুচিন্তার সাহসী সমাজকর্মী। কবিতা নিয়ে লেখা শুরু। প্রথম পেশা সাংবাদিকতা। রাজনীতি ও সমাজবিশ্লেষণী কলাম লিখেছেন আনন্দবাজার, এই সময়, প্রতিদিন, বর্তমানসহ বিভিন্ন দৈনিকে। প্রেসিডেন্সি কলেজ, কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ, চন্দননগর সরকারি কলেজ আর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষার প্রাক্তন অধ্যাপক। কার্গিল যুদ্ধ, পরমাণু বিস্ফোরণ, গুজরাত গণহত্যা, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। গুজরাত গণহত্যার সময় ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে টানা ১৫ দিন নাটক-গান-নাচ-তথ্যচিত্র নিয়ে ১৪০০০ কিলোমিটার ঘুরে করেছেন সম্প্রীতি যাত্রা। বন্যাত্রাণ আর আয়লা ত্রাণে ত্রাণশিবির পরিচালনা করেছেন। আয়লা বিধ্বস্ত সুন্দরবনে তৈরি করেছেন রান্নাঘর আর স্থায়ী গ্রন্থাগার।
বাংলা ভাষায় সরকারি কাজ, শিক্ষা ও নামফলকের দাবিতে রাজপথা আন্দোলন করেছেন। গরিব মানুষের জমি কেড়ে নেওয়া, বস্তি আর হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করেছেন। নির্মাণ করেছেন তথ্যচিত্র। পাবলিক সার্ভিস কমিশন আর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বাধ্য করেছেন বাংলায় প্রশ্নপত্র তৈরি করতে।
লেখক শিল্পী সমাজ ও কর্মীদের সংগঠন ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। প্রায় গত দু দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গে একুশের শহিদ স্মরণে সারারাত বাংলা ভাষা উৎসব আর পয়লা বৈশাখে সারাদিন নববর্ষ উৎসবের প্রধান সংগঠক। কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা আয়োজনের সহযোগী। সততা, নিরপেক্ষতা আর দলীয় রাজনীতি না করার কারণে সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য মানুষ ইমানুল হক।