নজর উল ইসলাম

কবিতা এবং কবিতাকেই আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছেন নয়ের দশকের কবি নজর উল ইসলাম। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর বসিরহাটের পশ্চিম বিবিপুর গ্রামে জন্ম। জীবনের সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন নজর উল কবিতার হাত ধরেই। তিনি নিরন্তর কবিতা চর্চার কবি হিসেবে সমুজ্জ্বল দু-বাংলায়। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি হল 'নদী এলেই তুমি এসে যাও', 'রাতপাখির দেহলি', 'আমিই সেই পথ', 'ও বৃষ্টির মেঘ', 'মুখ লুকনো হৃদযমুনা', 'মেঘপাখির আগুনলিপি' প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যের প্রাতিষ্ঠানিক ও অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিনে প্রবহমান তাঁর সৃজনশীল কাব্যকৃতির জন্য নজর উল ইসলাম পেয়েছেন চন্দ্রকেতুগড়, রিয়া ইন্ডিয়া এবং এখন বঙ্গদেশ সন্মাননা।

রঙবদলের অভিবাসন

আমার সোনামুখী সুমঙ্গলা তোমাকে বলি সূর্য তামাম রঙবদলের অভিবাসন, তুমি তাও হতে পার তো গভীর আবাদি অনুরণন বাজনায় সুখী অমরতা না কোন আবেশে নেতিয়ে স্থূলকায় কাশফুল বাতাস অভিমানী অন্তরার রাগঢাক সরিয়ে ভেতরে জাগিয়ে তোলে প্রমার আগুন প্রেরণা নিংড়ে ছবিশোভন উড়ান জানলা পালিত বংশ সন্ন্যাস কবেকার সুরঞ্জানা যেন কত বছর এভাবে মরে থাকবে জীবাশ্ম প্রণত কতদিন…

Read More

আশাবাদ

তুমি যতই বল আমি তালগাছ আমি কারুজল মনপাখি ছুঁতে জানি গভীর সন্তর্পণে ধস্ত-মনাহত কষা দাঁতে প্রতিদিন কষ্টের পৃথিবী থেকে বের হয় দিবানিশি মাল্য যে ফুল দুঃখ দেখেছে রেণু উড়েছে তার গা থেকে উচ্চতা শীর্ষ ছোঁয় একদিন নিচে নামে উড়ন্ত ঘুড়ি করাতের জীবনের কাছে নীল নীল যত অলেখা আদরে গলে যায় পাথরের অনুর্বর ভূমি আমাকে শোনাতে…

Read More

সুরালোক

মগজে পুষেছি উৎকন্ঠায় ডেকেছি ব্যাকুল একাকীত্বে মুহূর্তের হেলাফেলা অবয়ব সংগৃহীত সব অলেখা সর্বদা উচ্চারণে ভেতরে ভেতরে কথা হয় যাপন করি এ আকাশ ও আকাশ দুঃখবোধ পাখি হলে চলেই যেতাম তোমাদের ছাদে উসখুশ কোকিলের কন্ঠস্বর বাজিয়ে ভরাট কথাকার ভীরু এ সমাজ ভেঙে বিশেষত পরিপাটি সদৃশ্য অমর কাজলে সীমানা ভেঙে নিশ্চিত তছনছ অজস্রবার সবুজকে বলেছি মিলিয়ে দাও…

Read More

পাখির আরোগ্য

যদি মরাপাখি দেখতে চাও একদিন এসো পাশে বসে দেখে নিও সে রঙ, মৃত্যুজ্বালা ভাসা ভাসা শ্যাওলার কী অপার জীবন ছেঁড়া অস্থির আরক্ষা অসহায় নেভা আলো তোমার একটুখানি দেখা — পদ্যের রোদ্দুর সুষমা খিলখিলে ভেতর-তন্ত্র বাঁচে ভাঙন মন-গঙ্গা বিষে নীল দেহ নির্বিষে অভয় বোধ গাছ জোড়া জোছনার পেয়ালায় বসি যে প্রগাঢ় একা রাত্রি বন্ধনে যদিও যাব…

Read More

অঙ্কনগুলো

বিলাস বুঝিনি ছন্দবাস বুঝি কালশকুনের চোখ দেখে নতজানু হবে না মনপাড়া থেকে খুঁটে নেব আমার আরক্ত সুর অভিমুখ, ঘনিষ্ঠ হৃদয়বোধ পাখিরা আদর ভাঙে, গাছতলা সাজে সবুজ সুগম মন তো অনন্তে অনুক্ত আগুন উপরেখায় উপুড় প্রেমাত্মা ইশারা বুঝেছে অখন্ড অভিমানী বুকের জমিন জানে আলোর গা-কথা রূপান্তরিত নিবেদিত যত আদর্শ নির্ণয় লাজলজ্জা কোন উনুনে শুকাবো বিস্মৃতির নির্মিত…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!