রথীন কর

বিশিষ্ট কবি প্রাবন্ধিক রথীন কর পেশাগত জীবন শুরু করেন অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে। পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান আডমিনিস্ট্রেটিট সার্ভিসের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 'কলম্বো প্লান' বৃত্তি নিয়ে ইংলান্ডের বার্মিঙহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুকাল অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ। রথীন করের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' সহ এ পর্যন্ত তাঁর ১৪টি কাব্যগ্রন্থ ও দুটি প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। যাপিত জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ মননশীল এই কবি নিজেকে উন্নীত করেছেন গভীর উপলব্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে। তার কবিতায় মেধাজারিত উচ্চারণে ধ্বনিত হয় প্রেমের অতীন্দ্রিয় অনুভূতি, বিরহ ও বিষাদযন্ত্রণা, এই অপুষ্পক সময়ের পাতাঝরা বেদনা এবং স্বদেশ ও সমাজ চেতনা। আবেগের আতিশয্য চিৎকৃত উপস্থাপনা বর্জিত সেসব কথা। শব্দবন্ধের স্বকীয়তা, ছন্দনৈপুণ্য, বিষয়বিভিন্নতা এবং হৃদয়স্পর্শী আন্তরিকতায় উজ্জ্বল তার কবিতার মনন ও শরীর। তার প্রবন্ধের অবয়ব বিশ্লেষণ ভিত্তিক ও তথ্যবহুল নিবিড় অনুশীলন ও পর্যবেক্ষণসম্পৃক্ত। রথীন কর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের ও রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় অভিষিক্ত হয়েছেন।

ঢোঁড়াই চরিত মানস: এক প্রান্তিক জীবনের বলিষ্ঠ দলিল

জিরানিয়া। রামচরিত মানসে এর নাম ‘জীর্ণারণ্য’। তাৎমাটুলির লোকেরা একেই বলে ‘টোন’। ভারি সাহার (বড় শহর)। সেখানে কলস্টর (Collector) থাকেন। পাকা রাস্তার মাইল চারেক দূরে শহরতলি তাৎমাটুলি। পশ্চিমে বকরাহাট্টার মাঠ তারপর ধাঙড়টুলি। দক্ষিণ ঘেঁষে মহানদী ‘কারীকোশী’- লোকে বলে মরণাধার। মাঠের বুক চিরে গিয়েছে কোশী-শিলিগুড়ি রোড।স্থানীয় ভাষায় ‘পাক্কি’। তাৎমারা বোধ হয় জাতে তাঁতি। দ্বারভাঙা জেলার রোশরা গ্রাম…

Read More

মহাকালের রথে

সাদা বেনারসির জোড় কপালে চন্দন রেখা পাট করা চাদর গোড়ের মালা. শুভ্র বেশ শুভ্র কেশ মানিয়েছে বেশ ঘুমিয়ে রয়েছেন চিরচঞ্চল আশির তরুণ অক্লান্ত বাউল। ‘দরজা খুলুন খুলে দিন দরজা আমরা দেখতে চাই’ উন্মাদ উদ্রাব পরুষ কন্ঠে জনগর্জনে ডুবে যায় মন্দ্র পবিত্র যন্ত্রণা কপিল গুহার অন্ধকারে হারিয়ে যায় নান্দনিক মনন আমাদের ক্ষীয়মাণ মানসে সুন্দরের গান বিকৃত…

Read More

দুই নারীঃ কপিলা ও হিমি

আইরিস নাট্যকার জন মিলিংটন সিঞ্জের ‘রাডারস টু দ্য সী‘ (১৯০৪ ) নামের এক প্রখ্যাত একাঙ্কিকায় পশ্চিম আয়ারল্যাণ্ডের আরান দ্বীপপুঞ্জের এক ধীবর পরিবারের বিষাদমথিত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। মিখাইল শলোখভের চার খণ্ডে বিধৃত ‘য়্যাণ্ড কোয়ায়েট ফ্লোজ দ্য ডন‘ (১৯১৮-১৯৪০) নদীবলয়িত জীবনভিত্তিক এক মহৎ উপন্যাস। বাংলা কথাসাহিত্যে নদীপ্রসঙ্গ বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন প্রেক্ষিতে চিত্রায়িত হয়েছে। কিন্তু ১৯৩৬ সালের পূর্বেকার…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!