বিবর্ণ অভিযোজন: পর্ব ৪

উপন্যাসিক মুসা আলি’র ‘বিবর্ণ অভিযোজন’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এই উপন্যাসে শিক্ষকের পিতৃত্ব একজন ছাত্রের জীবনকে কত বেশি উদ্বেলিত করে তুলতে পারে, সেই অনুভূতির বিস্তার ঘটেছে এ উপন্যাসের পাতায় পাতায়, পরতে পরতে। পড়তে পড়তে আপনি আপনার প্রিয় শিক্ষককে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন।

।। চতুর্থ পর্ব।।

সম্পাদক সাগর গুম হয়ে বসে নিজের ভাবনায় বেশ কিছু সময় ডুবে থাকলেন। শিক্ষকতা ছেড়ে দেওয়ার পরে তানুস্যার এত বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে কাকে কীভাবে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়, সেই বোধটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন। বিতন্ডা শুনে বিজয় সামন্ত যে কিছুটা বিরূপ ধারণা করতে পারেন, তা নিয়ে সম্পাদক সাগরের মধ্যে কোনো সংশয় থাকল না। বিজয়বাবুর মন থেকে তা দূর করা কতখানি জরুরী, সেই চিন্তা মাথার ভিতরে চরকির মতো ঘুরছে, গাবলুকে উদ্দেশ্য করে বললেন, শুভদিনকে ডেকে নিয়ে আয়, বিজয়বাবুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই।
গাবলু শুনল এবং তৎক্ষণাৎ বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল, সম্পাদক সাগর বিজয় সামন্তকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করলেন, তানুস্যারের ব্যাপারটা অন্য ভাবে নেবেন না, অনেক করে বুঝিয়ে বলার পরেও নিজের ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, এত করে বোঝানোর পরে কেন যে আমার কথা কানে তুললেন না, তা নিয়ে আজও প্রশ্ন জাগে মনে, একজন শিক্ষকের পক্ষে এত একগুঁয়েমি দেখানো কী ভালো? কিন্তু স্কুলের শিক্ষা পরিচালনা তো একজনের জন্যে থেমে থাকতে পারে না। বাধ্য হয়ে আপনাকে নিয়োগ করতে হয়েছে। কোনো পদ শূন্য রাখা মানে ছাত্র-ছাত্রীদের অপূরণীয় ক্ষতি, তাতে সম্পাদকের দূরদর্শিতার অভাবও ধরা পড়ে। বোধ হয় আপনাকে নিয়োগের খবর তানুস্যার যে কোনো সূত্র থেকে জেনে ফেলেছেন, তাই এত অসহনীয় মনোভাব দেখাতে এতটুকু কিন্তু করলেন না। তানুস্যার চলে যাবার পরে ভিতরে ভিতরে খুব দুঃখ পেয়েছি। যশস্বী শিক্ষক ছিলেন। এখন ভাবছি, আপনাকে বিকল্প হিসেবে পেয়ে ভালোই হয়েছে। শীতের পরে যেমন বসন্ত আসে, আমার মনে হচ্ছে, আপনার উপস্থিতিতে নতুন করে বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রকৃতির রাজ্যে পরিবর্তনের মতো মানুষের হাতে গড়া পরিবেশে নতুন নতুন রূপান্তর অবসম্ভাবী।
বুঝতে পারছি, আমাকে নিয়ে আপনি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। একটুকু বলতে পারি, যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে। তবে আমার একটা ছোট্ট শর্ত আছে, যা সম্পাদক হিসেবে আপনি অনায়াসে সম্পন্ন করতে পারেন।
বলুন বলুন, একদম মন খুলে বলুন। সংকোচ থাকলে জানব, সম্পাদক হিসেবে আমি আপনার মনের কাছাকাছি যেতে পারিনি।
একেবারে ছোট্ট শর্ত। যথাসম্ভব দ্রুত আমার চাকরিকে পার্মানেন্ট করে দিতে হবে।
এ নিয়ে এতটুকু ভাববেন না, এটাও তো আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। অন্তত তা সম্পন্ন করে তানুস্যারকে দেখিয়ে দিতে পারব। সামনের মাসে পাঁচ তারিখে পরিচালন সমিতির সভা। প্রসঙ্গটা আমি নিজেই প্লেস করব। তারপর যেতে হবে ডি আই অফিসে। নিজেই গিয়ে করিয়ে নিয়ে আসব।
লিজা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করল, সঙ্গে শুভদিন আর গাবলু।
সম্পাদক সাগরের নতুন তৎপরতা শুরু হল,— বিজয়বাবু, আমার গিন্নী লিজা, একমাত্র ছেলে শুভদিন, এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। ওকে বড়ো করে তোলার জন্যে আপনাকে সব দায়িত্ব নিতে হবে। পূর্ণ বিশ্বাসের মধ্যে থাকতে পারেন। বিশেষ করে আপনার ছেলেকে বড়ো করে তোলার জন্যে চেষ্টার এতটুকু ত্রুটি করব না।
উঠে দাঁড়িয়ে বিজয়বাবু বললেন, ঘড়িতে দশটা বাজতে চলল, আজকের প্রথম জয়েনিং। আবার দেখা হবে, অনেক কথা হবে দু’জনের।
সাগরের ঠোটে মিষ্টি হাসি, তানুস্যারকে হারানোর সব রসদ যেন পেয়ে গিয়েছেন। বিজয়স্যারের কথার চটকে অতিব মুগ্ধ না হয়ে পারলেন না। তিনি যে তানুস্যারের উপযুক্ত বিকল্প হয়ে উঠতে পারবেন, তা নিয়ে সম্পাদকের মধ্যে আর কোনো কিন্তু থাকল না।
গাবলুকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় সামন্ত ধীর পায়ে হেঁটে চললেন। লিজা কণ্ঠস্বরে কাঠিন্য এনে সাগরকে উদ্দেশ্য করে বলল, কাজটা ভালো করলে না তুমি। নিজের ছেলের অপরাধ ঢাকতে তানুস্যারকে বলির পাঁঠা হতে হবে কেন? এটা কী কোনো সিদ্ধান্ত হল? অগণিত অভিভাবককে বোকা ভাবতে চাচ্ছ? তারা তোমার এ সিদ্ধান্ত কী অর্থে গ্রহণ করবে, তা একবারও ভেবে দেখেছ ? তানুস্যারের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতির দিকটাকে নিয়ে ভাববে না? পঠন-পাঠনে ভাটার টান শুরু হলে সব দায় সম্পাদকের উপর এসে পড়বে। এত কঠোর বাস্তবকে কীভাবে উপেক্ষা করতে পারছ?
সম্পাদক সাগর অতিশয় ঘোড়েল মানুষ, ইতিমধ্যে রাজনীতিতে হাত পাকিয়ে ফেলেছেন। ব্যবসা সূত্রে কঠোর বাস্তবতা চেনায় অতিশয় ধুরন্দর মানুষ। ভালো করে বোঝেন, কীভাবে তিলকে তাল করে তুলতে হয়। থেমে থেমে বলতে শুরু করলেন, তানুস্যার যে একজন প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক ছিলেন, সেই প্রশংসা আমি তোমার কাছে বার বার করেছি। তোমার ইচ্ছাতেই শুভদিনকে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তানুস্যারকে ছেলের প্রাইভেট টিউশন টিচার হিসেবে মেনে নিয়েছি। তুমি রোজ শুভদিনকে সঙ্গে নিয়ে তানুস্যারের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছ, আবার নিজেই ছেলেকে ফিরিয়ে এনেছ। এ নিয়ে আমি কী কোনো প্রশ্ন তুলেছি? এখন সেই সুযোগ নেই বলেই কী অন্য দুর্বলতা থেকে তানুস্যারের পক্ষে এভাবে ওকালতি করছ?
প্রতি আক্রমণ করে লিজাকে থামানো ছাড়া দাপুটে সম্পাদক সাগরের সামনে দ্বিতীয় পথ খোলা ছিল না। কিন্তু এসব কথা হজম করে নেওয়া লিজার পক্ষে একদম সহজ হল না। লোকটা সুযোগ বুঝে যে এমনি বাঁকা পথে চলতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা লিজার কম ছিল না। তাই চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, শুভদিনকে জোর করে পাস করিয়ে দেওয়ার জন্যে তুমি তানুস্যারের উপর চাপ তৈরি করো নি? তা ঢাকতে বাজে কথার বাজনা বাজানোর কী আছে? এ ঘটনায় পদত্যাগ করা ছাড়া তানুস্যারের সামনে দ্বিতীয় পথ খোলা ছিল কী? এসব তোমার কুকীর্তি নয়? তা ঢাকতে গিয়ে জোর করে নিজের স্ত্রীর বিশেষ দুর্বলতাকে সামনে টেনে আনতে এতটুকু লজ্জা করছে না ? বাঁকা পথে হেঁটে কী লাভ পাও শুনি?
সম্পাদক সাগর লৌহমানুষ, সহজে হারতে শেখেন নি। শাসনের স্বরে বললেন, জানি তো, এখনও তুমি তানুস্যারকে ভুলতে পারোনি। তোমার স্বামী বিদ্যালয়ের সম্পাদক, তার সম্মান রক্ষা করা তোমার কাছে কোনো ব্যাপার নয়। তানুস্যার মনের কোন্ রোগে পদত্যাগ করলেন, তা জানার পরেও তোমার মাথা ব্যথার শেষ নেই। এটা মাথা ব্যথার নামে মনের অসহনীয় যন্ত্রণার প্রকাশ নয় কী? সব বুঝেও না বোঝার ভান করে বেশ তো বকবক করছ। একটা কথা জেনে রাখো লিজা, বিজয় সামন্তকে নিয়োগ করে আমি কোনো ভুল করিনি। সময় বলে দেবে, আমার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক হয়েছে।
লিজা আগে থেকেই জানত, সাগরের কুটবুদ্ধি কত বেশি এঁকেবেঁকে চলে। তার উপরে চাপ তৈরি করতে কত বাহানা তৈরি করতে পারে, তাও জানা ছিল লিজার। মনের তলানিতে একটাই দুঃখ গড়িয়ে গড়িয়ে এদিক ওদিক করতে লাগল। তানুস্যারের মতো একজন যোগ্য শিক্ষককে এখন থেকে খবরের কাগজ ফেরি করে দিন অতিবাহিত করতে হবে। ভাটার জল যেমন ঘুরে ফিরে জোয়ারের সময় হলে অত্যন্ত স্ফীত হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনি অনেক পুরনো স্মৃতি খড়কুটো হয়ে লিজার মানসিক জোয়ারের জলে ভাসতে ভাসতে এগিয়ে চলল।

মিশ্র সংস্কৃতির গ্রাম। নানা ধর্মীয় মানুষের সমন্বয়ে তা গড়ে উঠেছে। সন্ধের শুরুতে কাঁসর ঘন্টার শব্দ ধ্বনিত হল বেশ কিছু বাড়িতে। আজানের মধুর ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ল কানে কানে। লিজা সাগরকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ল। কদিন মনের খিদেয় ভুগতে ভুগতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাকে আজ তানুস্যারের সঙ্গে দেখা করতেই হবে। সাগরের উসকে দেওয়া বাঁকা উক্তিটা তার মধ্যে কাঁটা হয়ে বিধে ছিল। আগেও লিজা বহুবার একই কথা ভেবেছে। কেবলমাত্র টাকার জোরে, আর কূটকৌশল সামনে এনে সাগর যে তাকে তানুস্যারের জীবন থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছিল, তা নিয়ে লিজার মধ্যে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল না। লোকটাকে সে ভালো করেই চেনে।
তারপর থেকে সাগরের সংসারে তাকে কলুর বলদের মতো থেকে যেতে হয়েছে। সংসারযাত্রা শুরু হলে অধিকাংশ বাঙালি মেয়ে পিছন ফিরে তাকাতে চায় না। লিজার ক্ষেত্রে সেটাই সব চেয়ে বেশি করে প্রযোজ্য। এ সব যে সাগর জানে না, তা নয়। তবুও রাজনীতির প্রধানতম সূত্র কূটনীতিকে সংসারের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতে তার খুব ভালো লাগে। লিজাকে চাপে ফেলে রাখার জন্যে অভিনব কূটকৌশল। নিজে অপরাধী হলে কখনো কখনো মানুষ ইচ্ছে করে তা ঢেকে রাখার জন্যে মিথ্যে কূটসূত্র অন্যের উপর চাপিয়ে রাখতে চায়। সাগর সেই সূত্র থেকে আজও বের হতে পারে নি। এর ফলে লিজা ভিতরে ভিতরে কতখানি গ্লানি অনুভব করতে পারে, তা নিয়েও সাগরের মধ্যে কোনো মাথাব্যথা ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যবসায়ী, মনটাকেও সেই অনুসঙ্গে একটানা ঢুকিয়ে রাখতে পেরেছে বলেই সাগর সময় সময় বেশ উৎফুল্ল হয়ে উঠতে পারতেন।
লিজা গ্রামের সরু রাস্তা ধরে হেঁটে চলল সামনে। মাত্র কয়েক মিনিটের পথ। গিয়ে দেখল, তানুস্যার খুব মনোযোগ দিয়ে একটা মেয়েকে পড়াচ্ছেন। লিজাকে দেখে তানুস্যার চমকে না উঠে পারলেন না। অস্ফুটে একটাই জিজ্ঞাসা, অসময়ে এখানে এলে কেন?
আসতে নেই বুঝি?
সে কথা বলিনি আমি।
তাহলে অসময়ে বললে কেন?
না মানে সাংসারিক মানুষ। সন্ধের সময় কাজের শেষ থাকে না, তবুও আসতে পেরেছ। সেই অর্থে ‘অসময়’ বলতে চেয়েছি।
আমি তোমার কী এমন ক্ষতি করেছি যে এভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছ ?
এ প্রসঙ্গ আসছে কেন?
ভালো শিক্ষকের সুনাম ধরে রাখতে গিয়ে একটা পচাগলা অতীত মনে রেখে শুভদিনকে এভাবে ক্ষতি করে দিতে পারলে ?
খুলে বললে ক্ষতির প্রসঙ্গটা বুঝতে পারতুম।
বেশ তো না বোঝার ভান করতে শিখেছ।
মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে চেয়ো না লিজা।
আমাকে নাম ধরে ডাকার অধিকার তোমার আছে নাকি? ভুলে যেও না, আমি এখন অন্যের স্ত্রী।
এ ভুলের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
তোমাকে কি আমি ক্ষমা করতে পারি?
সেই যন্ত্রণা থেকে আমাকে মুক্তি দাও।
কোনোদিন মুক্তি পাবে না তুমি। আমার অভিশাপে সারা জীবন বন্দী হতে থাকতে হবে।
এভাবে বলো না লিজা, হাতজোড় করে তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। অন্তত আমার মেয়ে ফিজার মুখ চেয়ে অভিশাপ থেকে সরে থাকতে বলছি।
তোমার মেয়ে? বেশ তো ছলাকলা করে কথা বলতে শিখেছ। জীবনের একটা কলঙ্কিত অধ্যায়কে ঢাকতে আর কত ছলনা করবে শুনি?
মিথ্যে বলছি নে লিজা, ফিজা আমার মেয়ে।
এভাবেই অধঃপতিত হতে পারো তা আমার জানা ছিল না। কথা বলতেও ঘৃণাবোধ করছি। একজন জঘন্য প্রতারককে সামনে থেকে দেখতে হচ্ছে আমাকে।
তানুস্যার আর নিজেকে সহ্য সীমার মধ্যে বেঁধে রাখতে পারলেন না। চাপা স্বরে বলতে শুরু করলেন, অতীত কাহিনি কী অন্য কথা বলে না লিজা? তারপরেও বেশ তো কুভাষা প্রয়োগে উদ্যত হয়ে কথা বলতে পারছ। এই যে তুমি সম্মোধন করে কথা বলছ, এটা কোনো দুর্বলতা নয় ? অন্যকে জোর করে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কী মুক্তি পেতে চাচ্ছ তুমি?
লিজা আর কথা বলতে পারল না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে অতীত স্মৃতি রোমন্থনে ডুবে যেতে বাধ্য হল। মনের মানুষের জন্যে যেটুকু ত্যাগ লাগে, নিজেই সে সেটুকু দিতে পারেনি।
তানুস্যার আড়চোখে একবার লিজাকে দেখে নিলেন। এই সেই মেয়ে যে আবেগে আপ্লুত হয়ে ঠিক সময়ে বিপরীত কাজটা করে বসেছিল। কালবৈশাখি ঝড়ের পরে প্রকৃতি ভীষণ শান্ত হয়ে যায়। তানুস্যার নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে নিয়ে প্রমাণ করে দিলেন যে প্রকৃতির কোলে বসে তিনিও পারেন যথা সময়ে শান্ত হয়ে যেতে। ঝড়ের প্লাবন সেই কবে জীবন থেকে শেষ হয়ে গেছে।

চলবে…

আরও পড়ুন: ধারাবাহিক উপন্যাস: বিবর্ণ অভিযোজন তৃতীয় পর্ব

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!