সামিয়া মহসীন এর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বাংলাদেশের বগুড়া শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপরে দীর্ঘদিন একটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত ও সাহিত্যের আবহে বড় হওয়া সামিয়ার পারিবারিক পটভূমি ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ – পিতামহ সা’দত আলী আখন্দ ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কবি সুফিয়া কামালের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে “তের নম্বরে পাঁচ বছর” এবং “অন্যদিন অন্যজীবন” বিশেষভাবে উল্লেখ্য। বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ পিতা মুস্তাফা নুরউল মহসীন করাচী রেডিও এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালে রংপুর বেতারের নিয়মিত উচ্চাঙ্গ শিল্পী ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নুরউল ইসলাম এবং ভাষা সৈনিক এম আর আখতার মুকুল।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মঞ্চনাটকের প্রতি আগ্রহ জন্ম নেওয়ার পর প্রথিতযশা থিয়েটার স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিয়মিতভাবে নাটকে অভিনয় করছেন। অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে – চিঠি, এখনও ক্রীতদাস, মেহেরজান আরেকবার, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, মুক্তধারা, কুহক জাল, পোহালে শর্বরী ইত্যাদি।
তিনি “জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নুরউল ইসলাম নিবেদিত শাখা” ও “ক তে কথামালা” নামক দুটি সাহিত্যমূলক অনলাইন পেজের কর্ণধার।