জল আগলে রাখা যায় না
তুমি নদী হতে চেয়ে ছিলে ঢেউ জমিয়ে রাখবে বলে
তীর ছুঁতে চাওনি কোনদিন ভেসে যাবে দূর
তুমি ফুটতে চাইলেও ফুল হতে চাওনি ঝরে যাবে বলে
ঝরা অভিমান চেয়ে মেঘ হয়ে ছিলে , আকাঙ্ক্ষা আর ভাঙা যন্ত্রণা
পেতে দিয়ে ছিলে বুক, আবির মঞ্চ, আহত পাখির আকাশ
অথচ জানো না ডানার শব্দ মানেই হাওয়ার প্রতিঘাত,
নীল রঙ মানে শুধু আকাশ নয়, হতে পারে পেনিলোপের নীল তারা
পরগাছারার মতো জড়িয়ে রাখলে কি কাছাকাছি!
রাত আঁকলেই যে চাঁদ উঠবে এমনটাও নয়
অথচ
কিছু ‘ না ‘খরচ করতে না-পারলে পাথর হয়ে ওঠে মন
তখন আর জল আগলে রাখা যায়না, আঘাত একটা অতিথি ঠিকানা
জানি
জল ধরে রাখতে পারবে না বলে
তুমি বৃষ্টি হতে চাওনি আর কোনদিন
আমি কান্না বাজাচ্ছিলাম
যে বিকেল তোমাকে কাছ থেকে দেখে ছিল
তোমার সরে যাওয়া ওড়না মাটিতে এলিয়ে পড়েছিল প্রজাপতি সুখে
ভেসে যাওয়া নামে তোমার পা স্রোত হয়ে ছিল মুহূর্তে, প্রেয়সী ধানসিঁড়ি
যে সন্ধে তোমাকে পাখির মতো ডেকে ছিল বাসায়
মাটির বারান্দায় যে আলতা তোমাকে ছুঁয়ে আরও গাঢ় হচ্ছিল
আমি তখন বাঁশির বুকে আমার কান্নাকে বাজাচ্ছিলাম
যে চাঁদ হিংসে করে তোমার কাছে আসতে চায় না
জোনাকিরা খুলে দিয়ে ছিল তাদের বুকের হল ঘর
জানলা দিয়ে ঢুক ছিল হু হু করে হাওয়া
যে হাওয়ায় একদিন ভেসে ছিল রাত
যে রাত শুধু তোমাকে দেখেছে অধিকারে
আর আমার চোখে লিখে দিয়েছে ‘অযোগ্য ‘পরিচয়
কাফি রাগের বিস্তার
তোমাকে পাওয়ার আগেই রঙ হারিয়েছি
হাতের আঙুলের টান ছেড়ে দূরত্বের দিকে পেতেছ হাত
যে হাতের রেখাতে ভেসেছে চাঁদ
প্রাকসন্ধায় একটি পুংক্তির মতো বেজেছি দুজনে, দ্রুত লয়ে
যে হাওয়া থামিয়ে শুনে ছিল আমাদের একান্ত মনকেমন
নিজেকে দেখেছি কিন্তু চিনিনি কতটা ভিতরে দাগ
সেই তুমি নিজেকে ভেঙে চুরে সাজিয়ে নিলে অন্যের চোখে
রীডগুলো বেসুরে রাত্রিকালীন কাফি রাগ
অথচ কথা ছিল কান্না এলে জমিয়ে রাখব
বুকের পাশে একটি ঘর বানাব যেখানে বিকেল হলে আসবে
বন্য হাওয়া আর ডানা মেলা প্রজাপতির গন্ধ
মেঘকে শোনাব অভিমণ্যুর অভিমান কথা
আয়নাকে জানিয়ে দেব আমাদের ভিতরে কুরুক্ষেত্র
অথচ সেই তুমি
যে শুধু ভালোবাসবে বলে চক্রব্যূহে ডেকে ছিলে