আপন সুখে তুমি চলে গেছ পূর্ণিমার দিকে
আমার অন্ধকারে নিঃশীল বসে থাকা
অলস মনোহর জল আমার চোখের জলের কাছে ফিকে
আমি জানি এ পৃথিবী শূণ্যের বিরোধী
তবু কেন যেন ছুঁড়ে দেয় মধ্যরাত
ঢেউয়ের ছলনাও প্রস্তুত দিগন্ত অবধি
কাদের যেন হাতে গড়া ছিল একাল ওকাল জোড়া ব্রীজ
খোলাস্রোতে আজ তারা মিলিয়ে যায়
পরিহাসময় সকাল আসে, নিঃস্ব দেহ জল ভেঙে যায়
নিজের চোখের দিকে চাই
দেখি জ্বলজ্বল করছে আত্মপতনের বীজ
খুঁজে ফিরেছে হারানো শরীর খুঁজে ফিরেছে ঋণ
অবনত দিন, নিজের অথর্ব দেহকে টেনে নিয়ে যাই
ধিক্কারের সাথে রাত্রিবেলা
আমার মুখে সে আগুন রাখে
তার কি সত্যই আছে মৃত্যুশোকে অধিকার
নাকি কোনো অস্থির কন্ঠ অস্থিরতার খেলা।