ভাবছি সবাই আমরা এখন ঠান্ডা ঘরে বসে –
মরছি ভেবে এই পৃথিবী শীতল হবে কিসে?
আমরা এখন অর্ধচেতন, কেউবা অচৈতন্য।
ভাবনা শুধু অন্তর্মুখি, কে ভাবে পরের জন্য?
ভোগ করবো আরাম আয়েশ, আকণ্ঠ সুখ চাই।
বিশ্ব যাক না রসাতলে, কুছ পরোয়া নাই।
গ্লোবাল-ওয়ার্মিং-এর ঠেলায় যদিও এখন সবাই ত্রস্ত,
আমরা কিন্তু ফ্রিজ, এসি আর ইন্টারনেটেই ব্যস্ত।
লক্ষ-কোটি অর্থ আনতে গড়বো কল-কারখানা।
বিষাক্ত গ্যাস হোক নির্গত- শুনছে কে কার মানা?
পেট্রোল-ডিজেল হোক না ধ্বংস ছুটুক আমার গাড়ি।
আমি তো এক ক্ষুদ্র মানুষ! আমি আর কী করতে পারি!!
কার্বন-ডাই-অক্সাইড,নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন ছাড়াও কিছু
গ্যাস হচ্ছে দায়ী। ছাড়ছে না এরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর পিছু।
এর ফলেতেই শিলাবৃষ্টি, তুষার ঝড় – এসব বাড়বে ঘন ঘন।
শুনবো এসব দু-কান দিয়ে, কিন্তু মনে দাগ কাটবে না কোন।
বায়ু মন্ডলের উষ্ণতা বাড়লে বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়বে।
তোমার আমার বাঁচার রসদ তারা এমনি করেই কাড়বে।
উষ্ণতার জন্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো দিচ্ছে হানা।
খরা, দাবানল তো হবেই হবে, কেন শুনবে বলো তারা মানা?
হিমবাহ গলছে দক্ষিণ মেরুতে, তাই বাড়ছে জলস্তর।
সুন্দরবনের সঙ্গে হারাবে কোটি-কোটি মানুষের ঘর।
সমস্যার পাহাড় মাথায় নিয়ে আমরা ঠান্ডা ঘরেতে বসে,
বুলি আওড়াবো লম্বা চওড়া আর সিদ্ধান্ত নেব কষে।
তোতা পাখিকে শিক্ষা দানই হবে আমাদের আসল ব্রত।
কিন্তু একবারও ভেবে দেখব না পাখিটা জীবিত না মৃত!
কপাল ভালো থাকলে পরে জুটে যেতেই পারে নোবেল।
ঠাণ্ডা ঘরেই খতম হবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং- এর খেল!