প্রথমেই জানিয়ে রাখা যাক যে, বর্তমান সময়ে হিন্দু বাঙালির অন্তঃপুরে ব্যাপকভাবে প্রচলিত জামাইষষ্ঠী অনুষ্ঠানটিতে ধর্মীয় ভাবানুষঙ্গ খুবই কম রয়েছে। আর সেটাও যতটুকু রয়েছে, তাও আবার প্রাচীন ব্রাহ্মণ্যধর্মের উৎসঙ্গ সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। লোকসংস্কৃতিক গবেষকদের মতে, মানুষের আদিম অরণ্য জীবনের অধুনাবধি প্রসারিত রূপান্তরিত একটি মূর্তিতে প্রাচীনতর কৌমজীবনের প্রতিভাস এর মধ্যে প্রতিবিম্বিত হয়েছে বলে দেখা যায়। অতীত ও বর্তমানের প্রায় সকল গবেষকই জামাইষষ্ঠীকে আদিম মানুষের আরণ্যজীবনের রূপান্তরিত প্রতিভাস বলেছেন। তাঁরা তাঁদের এই বক্তব্যের সমর্থনে এই পার্বণের— অরণ্যষষ্ঠী —নামটিকে প্রথম ও প্রধান সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপিত করেছেন। এক অর্থে জামাইষষ্ঠীও একটি ব্রত এবং বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত থাকা বহু ব্রতের অনিবার্য আঙ্গিকস্বরূপ এই ব্রতের পিছনেও একটি নয়— রীতিমত দুটি লোককথা বা গল্প সেই সুদূর অতীত থেকে প্রচলিত রয়েছে বলে দেখা যায়।
হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত থাকা ব্রতগুলি সম্পর্কে যাঁরা অবগত রয়েছেন, তাঁরা প্রায় সকলেই জানেন যে— যেকোনো রকমের ষষ্ঠীপূজার সঙ্গেই বেড়ালের একটা গভীর ও নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সন্তানকামনা এবং সন্তানের মঙ্গলের আকাঙ্ক্ষার মধ্যেই দেবী ষষ্ঠীর পূজা-ব্রত ইত্যাদির পূর্ণায়ত রূপটি পাওয়া যায়। খুব সম্ভবতঃ বেড়ালের বহু সন্তান হয় বলে এবং এই জীবটি সচরাচর কোন অপঘাতে মারা পড়ে না বলে, সুদূর অতীত থেকেই বেড়ালকে সন্তানদায়িনী ও রক্ষাকারিণী দেবী ষষ্ঠীর বাহনরূপে গণ্য করা হয়েছিল। গবেষকদের মতে— দেবমূর্তির বিবর্তনতত্ত্ব অনুসারে অতীতে বেড়ালই যে এসব বিষয়ের আরাধ্য দেবতা ছিল, এবং পরবর্তীকালে নারীমূর্তিধারিণী মাতৃকাদেবী ষষ্ঠীর বাহন হিসেবে উক্ত জীবটির পদাবনতি ঘটেছিল— সেবিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। অর্থাৎ— অতীতের কোন একসময়য়ে বেড়াল একদিকে গোষ্ঠীগতভাবে একটি কুলপ্রতীকী পশু বা টোটেম ছিল, কিন্তু আদিম মানুষের মধ্যে উর্বরতাতান্ত্রিক ধর্মধারার বিকাশ ঘটবার পরে ধীরে-ধীরে এই জীবটির ক্রিয়াকাণ্ড সীমাবদ্ধ হযে গিয়ে মানুষের সন্তানকামনা ও রক্ষণের প্রতীকে এটির পরিণতি ঘটেছিল। তবে পরবর্তীসময়ে— বেড়ালকে আঘাত করতে নেই —এই নিষেধাত্মক সংস্কারের বা ট্যাবুর মাধ্যমে উক্ত জীবটির প্রাচীনতর টোটেমসুলভ মর্যাদার অনেকটাই রক্ষিত হয়েছিল বলে দেখা যায়। সুদূর অতীত থেকে অরণ্যষষ্ঠী ব্রত নিয়ে প্রচলিত থাকা গল্পের মধ্যেও সেই একই ট্যাবু-ভাবনার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা যায়।
অরণ্যষষ্ঠী ব্রতের একটি প্রাচীন কাহিনীতে পাওয়া যায় যে— কোন এক গৃহস্থ বাড়ির ছোটবধূ লোভে পড়ে মাছ-দুধ ইত্যাদি সবকিছু লুকিয়ে খেয়ে ফেলে, সেই বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকা একটি কালো বেড়ালের নামে দোষারোপ করত। সেই মিথ্যা অভিযোগের শোধ নেওয়ার জন্যে সেই বেড়ালটি যতবারই ছোটবউয়ের কোলে সন্তান আসত, ততবারই রাত্রিবেলা সেইসব সন্তানকে লুকিয়ে চুরি করে গভীর বনের মধ্যে দেবী ষষ্ঠীর বটতলার থানে রেখে দিয়ে আসত। এভাবে ছোটবধূর ছ’-ছ’টি সন্তান খোয়া যাওয়ার পরে সবাই তাঁকেই রাক্ষসী বলতে শুরু করেছিলেন। অবশেষে সপ্তমবারের বেলায় সেই বেড়ালটি আবার যখন তাঁর সদ্যজাত সন্তানকে চুরি করে পালাচ্ছিল, তখন হঠাৎই তাঁর ঘুম ভেঙে যাওয়ায় তিনি বেড়ালটিকে লক্ষ্য করে নিজের হাতের কাঁকন ছুঁড়ে মেরেছিলেন, এবং সেই আঘাতে বেড়ালের গায়ে ক্ষত হয়ে রক্ত পড়তে শুরু করেছিল। এরপরে বেড়ালের গায়ের ক্ষত থেকে পড়া রক্তের দাগ ধরে সেই বধূটি বোনের মধ্যে সেই বটতলার থানে গিয়ে পৌঁছেছিলেন। তারপরে সেখানে দেবী ষষ্ঠীর আদেশে তিনি সেই বেড়ালটির পায়ে ধরে নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইলে দেবী তাঁর উপরে দয়াপরবশ হয়ে তাঁকে তাঁর সাতটি সন্তান ফেরৎ দিয়েছিলেন, এবং বধূটি নিজের সব সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। এরপরে তাঁর মুখ থেকে সবাই দেবী ষষ্ঠী এবং তাঁর বাহনের কথা শুনে উৎসাহী হয়ে, ষষ্ঠীদেবীর পুজো ও বেড়ালের আদর যত্ন করতে শুরু করেছিলেন। দেখতে দেখতে দেবী ষষ্ঠীর আশীর্বাদে তাঁরা সকলেই পুত্রকন্যা লাভ করেছিলেন। ক্রমে তাঁরা বড় হয়ে তাঁদেরও বিবাহ হয়েছিল, এবং যে তিথিতে অতীতের বধূটি নিজের সন্তানকে খোঁজার জন্য বনের মধ্যে গিয়েছিলেন, সেই তিথিতেই তাঁরা প্রতি বছর নিজেদের ছেলে এবং জামাইদের আপ্যায়ন করে আম-কাঁঠালের বাটা সাজিয়ে খেতে দিতে শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই এই পার্বণের নাম হয়েছিল— অরণ্যষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠী।
এই গল্পের আদি-কাঠামো থেকে পরিষ্কার বুঝতে পারা যায় যে, অতীতের কোন অরণ্যচারিনী দেবীই হলেন এই কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দু। কাহিনীতে বেড়ালের পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার যে কথা পাওয়া যায়, সেটা থেকে বোঝা যায় যে— উক্ত জীবটিও অতীতে এই দেবীর উপাসকদের কাছে দেবতাকল্প ছিল। এছাড়া বটের ডাল মাটির চাপড়ার মধ্যে পুঁতে ঘট বসানোর যে রেওয়াজ সমস্ত ষষ্ঠীপুজোর মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়, সেটিও দেবীর আদিকালের আরণ্য-উৎসের স্মৃতিবাহী। এসব ছাড়াও বাঁশের পাতা সাজানো, আম-কাঁঠাল এবং অন্যান্য ফলমূল একটা বাটায় সাজিয়ে খেতে দেওয়া— এসবই একই উপলক্ষজাত বলে গবেষকরা মনে করে থাকেন। তাছাড়া এই একই ব্রতের পূর্ববঙ্গীয় লোকাচারে তালপাতার পাখা দিয়ে ছেলে-মেয়ে-জামাইদের হাওয়া করবার যে রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে, সেটাও মূলতঃ অতীতকালের আরণ্য-সমাজের রীতির অনুবর্তন বলে গবেষকরা মনে করে থাকেন। তাঁদের মতে এটি বনের ধারের তাল গাছের পাতার স্নিগ্ধ ব্যজনের প্রতিকল্প। এগুলি ছাড়াও এই একই ব্রতের ক্ষেত্রে বাটার সঙ্গে ছোট-ছোট তালপাতার পাখা এবং তালপাতার কাঠি দিয়ে তৈরি ধনুক-বাণ সাজিয়ে দেওয়ার যে প্রথা এখনো কোথাও কোথাও যে দেখা যায়— সেটার পিছনেও সম্ভবতঃ ঐ একই কারণ রয়েছে। দেবী ষষ্ঠির পুজোয় ব্যবহৃত— ‘আইলাম গো অরণে, মা ষষ্ঠীর বরণে’ —ছড়াতেও এই একই কথার প্রমাণ পাওয়া যায়।
জামাইষষ্ঠী নিয়ে অন্য যে ব্রতকথাটি অতীত থেকে প্রচলিত রয়েছে, সেটির মধ্যে অতীতের অগ্রসর সমাজের ভাবনা প্রতিবিম্বিত হয়েছে বলে দেখা যায়। এই কাহিনী অনুসারে স্বামীর বাণিজ্য-প্রবাসকালে শ্বশুরবাড়িতে অবহেলিতা পুত্রহীনা এক নারীর দেবী ষষ্ঠীর মহিমায় সম্ভানলাভ হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীসময়ে সেই সন্তানের স্ত্রী দেবীর জন্য উৎসর্গকৃত বাটা আগে গ্রহণ করবার ফলে শাপগ্রস্তা হয়েছিলেন, এবং তাঁর ছয় পুত্রই জন্মের পরে মারা গিয়েছিলেন। তখন সেই হতভাগিনী নারী নিজের আত্মীয়স্বজনের হাতে লাঞ্ছিতা হয়ে আবার সন্তান-সম্ভবা অবস্থায় বনে গিয়ে বাস করতে শুরু করেছিলেন। সেখানে এক বিদ্যাধর তাঁর সপ্তম সন্তানরূপে জন্ম নেওয়ার পরে বিদ্যাধরীরা তাঁকে তাঁর নিদ্রিতা মা’কে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন। তখন সেই শিশু-বিদ্যাধর শাস্ত্রবচন উদ্ধৃত করে নিজের মা’কে ছেড়ে যাওয়ার অনৌচিত্য বুঝিয়ে বললে বিদ্যাধারীরা তাঁর উপরে ক্রুদ্ধ হয়ে সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। অতঃপর কাঠুবিয়াদের সাহায্যে সেই মা ও ছেলে বাডিতে ফিরে এসেছিলেন, এবং তাঁদের বাড়ির লোকেদের বিভিন্ন অদ্ভুত শর্ত পূরণ করার পরে সেই ছেলেটি বা বিদ্যাধর স্বস্থানে ফিরতে যেতে চাইলে তাঁর মা তাঁকে সেকাজ করা থেকে নিরস্ত করেছিলেন। এরপরে তিনি দেবী ষষ্ঠীর পুজো করেছিলেন, এবং দেবীর মাহাত্ম্যে সেই বিদ্যাধর নীরোগ ও দীর্ঘায়ু হয়ে নিজের মায়ের কাছেই থেকে গিয়েছিলেন।
দেবী ষষ্ঠীকে নিয়ে প্রচলিত প্রথম গল্পটির তুলনায় এই গল্পটি নিঃসন্দেহে খাপছাড়া এবং অগোছালো বলেই মনে হয়। গবেষকদের মতে— এই কাহিনীতে শাস্ত্রবচন ইত্যাদির দোহাই দেওয়া এবং একজন মৃতবৎসা নারীকে তাঁর পরিবারের অন্যদের পরিহার করা ইত্যাদি ব্যাপার— অনেক উন্নত, বা আরো ভালো করে বললে জটিল সামাজিক মনস্তত্ত্বের পরিচায়ক। তবে প্রথম গল্পটির থেকে দ্বিতীয় গল্পটির সামাজিক পরিবেশ যে অনেক বেশি অপ্রাচীন, সেকথার হদিশ— গল্পের মধ্যে থাকা বাণিজ্যযাত্রার উল্লেখের মধ্যেই পাওয়া যায়। লোকসংস্কৃতির গবেষকদের কাছে তাই প্রথম গল্পটির গুরুত্বই বেশি বলে দেখা যায়। কিন্তু এই ব্রত উপলক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক যেসব প্রশ্নগুলো উঠে আসে, সেগুলোও কিন্তু লক্ষ্যণীয়। প্রশ্নগুলো এরকম—
ছেলে-মেয়ের জন্ম এবং নিরাপত্তা বিধানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ষষ্ঠীর পুজো উপলক্ষ্যে জামাইয়ের ভূমিকাটি ঠিক কি?
জামাইকে পুত্রতুল্য ধরে নিয়েই এই ব্রত পালিত হয় এমন মনে করা চললেও, সেক্ষেত্রে কন্যার সাথে তুলনীয়া পুত্রবধূরা এই ব্রতের আওতার বাইরে থাকেন কেন? সুদূর অতীত থেকে শাশুড়ী ও বধূর মধ্যে প্রচলিত থাকা চিরাচরিত অপ্রণয়ই কি এর পিছনে প্রধান কারণ? নাহলে আধুনিক প্রজন্মের আগমনের উৎসে জামাতা এবং পুত্রবধূ— উভয়ের ভূমিকাই তো সমতুল্য!
গবেষকদের মতে, এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আদিম মানুষের কৌম জীবনের বিস্মৃত উৎসের মধ্যেই সন্ধান চালাতে হবে। জামাইরা তখন অন্য কোম থেকেই নির্বাচিত হতেন এবং মানব সভ্যতার প্রথমদিকে বিবাহ ব্যাপারটা মূলতঃ হরণমূলক ছিল, প্রাচীন শাস্ত্রে যেটাকে রাক্ষস বিবাহ বলা হত। বলাই বাহুল্য যে, বিবাহের জন্য নারী হরণ করবার ব্যাপারটা তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিনা লড়াইতে শেষ হত না। বিবাহ উপলক্ষে জামাইকে ধাঁধা জিজ্ঞেস করা, জামাই-ঠকানো ইত্যাদি আজও সেসবের অনুষঙ্গরূপে মানুষের স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে। আজও গ্রাম বাংলার অনেক জায়গায় জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে দই নিলামে তোলবার সূত্র ধরে কাদা খেলবার রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে। কিছুকাল আগেও যে জামাইরা দইয়ের নিলামে ডাক দিতে দিতে শেষপর্যন্ত হাল ছেড়ে দিতেন, তাঁদের গায়ে কাদা মাখিয়ে রঙ্গ করা হত; এবং গ্রামের যে জামাইটি শেষপর্যন্ত সবথেকে বেশি দর দিয়ে ওই নিলামে ওঠা দই কিনতে সমর্থ হতেন— তাঁকে হুল্লোড় করা হত। তখন মূলতঃ শ্যালিকা, শ্যালক এবং অনুরূপ সম্পর্কীয়ারাই জামাইষষ্ঠীর এই দই-কর্দম খেলায় যোগ দিতেন। গবেষকদের মতে, এটা একদিক থেকে নারী পুরুষের আদিম ঐতিহ্যবাহী অবাধ মিলনোৎসবের একধরণের ছাড়পত্র দেওয়ার সূচক বলে যেমন গণ্য হতে পারে, অন্যদিকে তেমনি এতে— কাদা মাখিয়ে জামাইদের লাঞ্ছিত করা অথবা দইয়ের কল্পনাতীত দাম হেঁকে তাঁদের বিড়ম্বিত করবার প্রচেষ্টার অন্তরালে সুদূর অতীতের নারী হরণকালীন দ্বন্দ্বের মানসিকতার অবশেষই প্রত্যক্ষ করা যায়। আগে যেসব জায়গায় এইধরণের উৎসব প্রচলিত ছিল, সেখানে এসবের পরেই জামাতাদের আপ্যায়নের পর্ব শুরু হত।
বর্তমানে অধিকাংশ জায়গাতেই আদিম মানুষের কৌমজীবনের রাক্ষস বিবাহকালের লড়াইয়ের সংস্কৃতিটি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলে দেখা যায়। কিন্তু এর পরের অংশটুকু, অর্থাৎ— বিবাহ সপন্ন হয়ে যাওয়ার পরে জামাইকে স্বীকার করে নেওয়ার বাস্তববুদ্ধির পথ ধরেই অরণ্যষষ্ঠীর উদ্যানে জামাইয়ের আবির্ভাব ঘটেছে। বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত থাকা অন্যান্য ষষ্ঠীর ব্রতগুলি মূলতঃ সন্তানদের কেন্দ্র করে আবর্তিত হলেও, অন্তুতঃ একটি ষষ্ঠীব্রতে জামাইকে মুখ্য জায়গা দিয়ে আদিম কৌম সমাজের প্রতিহিংসাপরায়ণ মন থেকে সভ্যতার পথে অগ্রগমনের পরিচয়ই সুপরিস্ফুট হয়ে উঠেছে বলে দেখা যায়। আর এটাই হল বাঙালি হিন্দুর গৃহে প্রচলিত থাকা জামাইষষ্ঠীর মূল সংস্কৃতি।#