প্রকৃত কবিতা আত্মনির্মাণেরই আত্মজ্ঞান

খুব সুন্দর করে লিখেছেন। আপনার হাতের লেখাও চমৎকার। চরণান্তিক মিলও উপযুক্ত। কবিতায় প্রাণের আকুতি আছে। মানবিক আবেদন আছে। কল্যাণ কামনা আছে। তবুও আমি আপনার কবিতায় মন্তব্য করতে পারছি না। কেন পারছি না তা বারবার নিজেকে জিজ্ঞেস করেছি। নিজেকেই বলেছি: আমি কি কৃপণ হয়ে যাচ্ছি? আমি কি রিজার্ভ হয়ে যাচ্ছি? আমি কি অহংকারী হয়ে যাচ্ছি?

মিগুয়েল ডি সার্ভান্তেস। ছবি: সংগৃহীত।

বহুদিন আগে কবি সম্পর্কে মিগুয়েল ডি সার্ভান্তেস এর একটি লেখায় পড়েছিলাম:
“Modesty is a virtue not often found among poets, for almost every one of them thinks himself the greatest in the world.”
অর্থাৎ বিনয় এমন একটি গুণ যা প্রায়শই কবিদের মধ্যে পাওয়া যায় না, কারণ তাদের প্রায় প্রত্যেকেই নিজেকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে।
তাহলে এখানে কি আমার বিনয়ের অভাব ঘটছে? আমি কি নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করছি?

এসব কথা অনেকবার ভেবেছি। না আমি অহংকারী নই। বিনয়ের অভাবও নেই আমার মধ্যে। কিন্তু কবিতা যখন শিল্প, সেই শিল্পের পূর্ণতা খুঁজি সেই সৃষ্টির মধ্যে। যখন বারবার একই রকম লেখা অনেক কবির দ্বারা লেখা হতে থাকে, যখন একই উপমা, একই ব্যঞ্জনা, একই অভিমুখ, একই অর্থ ঘুরেফিরে আবর্তিত হতে থাকে—তখন সেইসব কবিতায় মন্তব্য করার থেকে অনেক দূরে থাকি। যারা কবিতা নিয়ে ভাবেন, পড়েন, কবিতার নতুনত্ব খোঁজেন, ব্যতিক্রমী শব্দের ব্যবহার বিচার করেন—সেইসব কবিতা কবিতাবিশ্বের যেকোনো ফর্মেই লেখা হোক না কেন— তাতে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেন না। আমিও পারি না। কিন্তু তা যখন না পাই—তখন অধিকাংশ কবিতাই হতাশ করে। আবার এমনও হয়: ব্যতিক্রমী কিছু লেখার চেষ্টা করে অনেকক্ষেত্রেই কবিরা শিব নির্মাণ করতে গিয়ে বানর নির্মাণ করেন। তখন তাদের বাহাদুরিকে সাবাস জানানোর মতো ভাষা থাকে না। প্রকৃত কবিতা প্রকৃত পাঠকের হৃদয়কে নাড়া দেবেই। কবিতা পাঠের অভিজ্ঞতা তাকে পথ দেখাবে। অর্থাৎ তাকে চিনতে সাহায্য করবে। কিন্তু প্রকৃত কবিতা পাঠক খুব কমই আছেন। একজন কবির কবিতা দীর্ঘদিন নিরীক্ষণ করার দরকার হয় না। পরপর কয়েকবার লক্ষ করলেই তার লেখার ধরন সহজেই বোঝা যায়। যতই সেই কবির মনে হোক, তিনি ব্যতিক্রমী লিখেছেন, তিনি অসম্ভব ভালো লিখেছেন, কিন্তু সহজে তিনি তার লেখার স্টাইল পরিবর্তন করতে পারেন না। তখন একজন পাঠক বারবার সেই কবির কবিতা নিরীক্ষণ করার উপযুক্ত মনে করেন না। কিন্তু যার কবিতা একবার যদি ভালো লাগে, অন্তত একবার যদি আকর্ষণ করে—তাহলেও কিছুটা টান থেকে যায় পাঠ করে দেখার। ভালো কবিতা সম্পর্কে জি কে চেস্টারটন সাবধান করে বলেছেন:

জি কে চেস্টারটন।
ছবি: সংগৃহীত।

“What the world wants, what the world is waiting for, is not Modern Poetry or Classical Poetry or Neo-Classical Poetry — but Good Poetry. And the dreadful disreputable doubt, which stirs in my own sceptical mind, is doubt about whether it would really matter much what style a poet chose to write in, in any period, as long as he wrote Good poetry.”
অর্থাৎ পৃথিবী যা চায়, বিশ্ব যা অপেক্ষা করছে, তা আধুনিক কবিতা বা ধ্রুপদী কবিতা বা নিও-ক্লাসিক্যাল কবিতা নয়—বরং ভালো কবিতা। এবং ভয়ঙ্কর অসম্মানজনক সন্দেহ, যা আমার নিজের সংশয়বাদী মনের মধ্যে নাড়া দেয়, সন্দেহ হয় যে একজন কবি যতদিন ভালো কবিতা লিখেছেন, যে কোনো যুগে তিনি যে কোনো শৈলী লিখতে বেছে নিয়েছেন তা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হবে কিনা।

ভালো কবিতা বিষয়েও সংশয় আছে। যেকোনো ফর্মে লেখা হলেও তাকে ভালো কবিতা বলা যায় না। ভালো কবিতা কী সে বিষয়টিই আমরা ঠিক করতে পারি না । একেকটা যুগের কাছে, একেকটা সময়ের কাছে, একেকটা জাতীয় আবেগ বা দাবি থাকে—সেই আবেগ বা দাবিকে মান্যতা দিয়েই লেখা হয় কবিতা। কবিতার স্টাইলটি সেখানে বড় কথা নয়। আমরা যাদের কবিতাকে ভালো কবিতা বলতে পারি না—তারা কি যুগের দাবিকে বা সময়ের আবেগকে কবিতায় রূপায়িত করতে পেরেছেন? এই কথাটি প্রথম ভাবা দরকার। এই সময়ে বসে এই সময়ের দাবিকে যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি বিগত যুগের দাবিকে বা বিগত আবেগকে পুনর্রূপায়নে কবিতায় চালিত করা যায় না। কবিতা জীবন্ত সময় ও জীবন-দর্শনের উচ্চারণ। সেখানে কৃত্রিমতার আরোপ পাঠকের কাছে পছন্দের নাও হতে পারে।

যেসব কবিতায় মন্তব্য করা বা পাঠ করা থেকে বিরত থাকি—সেসব কবিতা অনেক পেছনের সময়ের অনুকার হয়ে ওঠে বলে। নতুনের যখন আছে প্রয়োজন, তখন প্রাচীনকে নতুনের উঠোনে আর কি দেখতে ভালো লাগে? কোনো প্রাচীনার সঙ্গে নবযুবকের বিবাহ সম্পন্ন হলেও ভালোবাসা সম্পূর্ণ হয় না। কবিতায় এই অন্তরায় থেকে যায়। আর সেই কারণেই সব কবিতা পাঠযোগ্যতাও অর্জন করতে পারে না। যখনই কৃত্রিমতার আশ্রয় নেন কবি—তখনই কবিতাও কৃত্রিম হয়ে পড়ে। প্রকৃত কবিতা আত্মজ্ঞানেরই পরিধি নির্মাণ করে এবং যা আত্ম বিস্তারেরই আশ্রয় হয়ে ওঠে। এই কারণেই সোরেন কিয়েরকেগার্ড বলেছেন:

সোরেন কিয়েরকেগার্ড।
ছবি: সংগৃহীত।

“What is a poet? An unhappy person who conceals profound anguish in his heart but whose lips are so formed that as sighs and cries pass over them they sound like beautiful music.”
অর্থাৎ কবি কাকে বলে? একজন অসুখী ব্যক্তি যে তার হৃদয়ে গভীর যন্ত্রণা লুকিয়ে রাখে কিন্তু যার ঠোঁট এমনভাবে গঠিত যে দীর্ঘশ্বাস এবং কান্না তাদের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তারা সুন্দর সঙ্গীতের মতো শোনায়।
এই পথ ধরেই লেখা হয়েছে ‘মেঘনাদবধ’ কাব্য। লেখা হয়েছে ‘পূরবী’ কাব্য। এমনকী লেখা হয়েছে ‘বনলতা সেন’, ‘সোনার মাছি খুন করেছি’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’, ‘সূর্যপোড়া ছাই’ ইত্যাদি আরও কত কত কাব্য।

শোকের কাব্য যখন শ্লোক হয়ে উঠেছে, তখন পি বি শেলির

পি বি শেলি। ছবি: সংগৃহীত।

“Our sweetest songs are those that tell of saddest thought.” কথাটিও সত্য হয়ে উঠেছে। চিরন্তন মানবীয় আবেগের কাছে কবিও তাই দায়বদ্ধ হয়ে উঠেছেন। মানবের মহাগীত হয়েছে মহাকাব্য। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবেগের প্রবাহ জোয়ার এনেছে।

কবিতায় জীবনকে উপলব্ধি করা যায় এবং জীবনের সত্যতাকে পরিস্ফুট করা যায়। জীবনের রহস্যময় বহুমুখী পর্যায় আছে। সব সময় তা প্রকাশ করাও কঠিন। কবিতা সেই ভাষা যা প্রকাশ এবং না প্রকাশের মাঝখানে থেকে যায়। এই কারণেই মেরি অলিভার বলেছেন:

মেরি অলিভার। ছবি: সংগৃহীত।

“Poetry isn’t a profession, it’s a way of life. It’s an empty basket; you put your life into it and make something out of that.”
অর্থাৎ কবিতা কোনো পেশা নয়, এটি জীবনযাপনের একটি উপায়। এটা একটা খালি ঝুড়ি; আপনি এটিতে আপনার জীবন রেখে দিন এবং এর থেকে কিছু তৈরি করুন।

কবিতাতে আমরা আমাদের জীবনই রাখতে এসেছি। আমাদের জীবনের ইতিহাস কে রাখবে? আমাদের সময়ের উচ্চারণ কে করবে? আমাদের বেঁচে থাকা, আমাদের মরে যাওয়ার মুহূর্তগুলি কার কাছে খোলসা করব? আমাদের অভিমান, আমাদের আরোগ্য, আমাদের সকাল, আমাদের অমাবস্যা-পূর্ণিমা, আমাদের বিচ্ছেদ-মিলন কার কাছে বলব? সবকিছুই কবিতা ধারণ করে। কবিতা ইতিহাসেরও বেশি কিছু। কবিতা দর্শন ও বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে উঠতে পারে। একদিকে আত্মরক্ষা, অন্যদিকে সংগ্রাম। একদিকে ভাষা, অন্যদিকে ভাব-ব্যঞ্জনা। একদিকে নীরবতার স্পেস, অন্যদিকে উচ্চকিত প্রতিরোধ। কবিতা এই সমূহ নির্মাণেই কবির আত্মআশ্রয়। তাই নিউজ ল্যান্ডের বিখ্যাত কবি ও নাট্যকার জেমস কে ব্যাক্সটার বলেছেন:

 

জেমস কে ব্যাক্সটার।
ছবি: সংগৃহীত।

“The poem is a plank laid over the lion’s den.”
অর্থাৎ কবিতাটি হল সিংহের খাদে বিছানো একটি তক্তা।
এমন কবিতা কখনো কি আমাদের চোখকে, মনকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে?

যদি পারে, তবে আমরা কবিতার পাঠক হতে পারিনি। তবে আমরা সত্যিকারেরই অহংকারী, অবিবেচক, স্বার্থপর এবং অবশ্যই স্বৈরাচারী। কবিতাও কী রকম মর্মান্তিক হয়ে উঠতে পারে তার কয়েকটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে পারি:

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন
চৈত্রমাস,
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার
সর্বনাশ।’
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

 

জীবনানন্দ দাশ। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘সুরঞ্জনা,
তোমার হৃদয় আজ ঘাস
বাতাসের ওপারে বাতাস-
আকাশের ওপারে আকাশ।’
– জীবনানন্দ দাশ

 

 

 

আল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘পৃথিবীর সবকটা সাদা কবুতর
ইহুদী মেয়েরা রেঁধে পাঠিয়েছে
মার্কিন জাহাজে’ 
– আল মাহমুদ

 

 

 

নির্মলেন্দু গুণ। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।’
– নির্মলেন্দু গুন

 

 

 

শহীদ কাদরী। ছবি: সংগৃহীত।

‘ভয় নেই
আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনী
গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে
মার্চপাস্ট করে চলে যাবে
এবং স্যালুট করবে
কেবল তোমাকে প্রিয়তমা।
তোমাকেঅভিবাদনপ্রিয়তমা’
– শহীদ কাদরী

 

আবুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর আমিও ভবঘুরেদের প্রধান ছিলাম।
জোৎস্নায় ফেরা জাগুয়ারা চাঁদ দাঁতে ফালা
ফালা করেছে আমারও প্রেমিক হৃদয়!’
– আবুল হাসান

 

 

হেলাল হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,
খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে
বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর’
-হেলাল হাফিজ

 

 

 

হুমায়ুন আজাদ। ছবি: সংগৃহীত।

‘আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো
ছোট ঘাসফুলের জন্যে
একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো চৈত্রের বাতাসে
উড়ে যাওয়া একটি পাঁপড়ির জন্যে
একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে
…………
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে
খুব ছোট দুঃখের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে
একটি ছোটো দীর্ঘশ্বাসের জন্যে
একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।’
– হুমায়ুন আজাদ

শক্তি চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘অবনী বাড়ি আছো?
দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া
কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছো?
অবনী বাড়ি আছো?’
– শক্তি চট্টোপাধ্যায়

 

 

পূর্ণেন্দু পত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

‘যে কোন একটা ফুলের নাম বল
-দুঃখ ।
-যে কোন একটা নদীর নাম বল
-বেদনা ।
-যে কোন একটা গাছের নাম বল
-দীর্ঘশ্বাস ।
-যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল
-অশ্রু ।
-এবার আমি তোমার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি।’

– পুর্ণেন্দু পত্রী

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত।

‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।’
-রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

 

 

রফিক আজাদ। ছবি: সংগৃহীত।

 

দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবো: গাছপালা,নদীনালা
গ্রামগঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী
আমার ক্ষুধার কাছেই কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা তা না হলে মানচিত্র খাব
-রফিক আজাদ

 

 

শামসুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত।

 

‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে,হে স্বাধীনতা,
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?’
– শামসুর রাহমান

 

কবিতাগুলো আমাদের সময়েরই অন্তর্বর্তী আমাদের জীবনের মর্মরধ্বনিকে সর্বময় ব্যাপ্তি দান করেছে। একটা সময়ের উচ্চারণ থেকে তা মহাসময়ের স্রোতে পৌঁছে দিয়েছে। একটা ব্যক্তি হৃদয়ের আবেগকে চিরন্তন মানবীয় আবেগের পর্যায় দান করেছে। তাই কবিতার নাম না মনে রাখলেও অবলীলায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা উচ্চারিত হয়ে চলে।♦

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!