প্ৰথম আত্মজীবনী লেখার জন্য বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মহিলা লেখকদের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে আছেন রাসসুন্দরী দেবী। তিনি জন্মেছিলেন ১৮০৯ সালে। অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার পাতাজিয়া গ্রামে। ১৮৬৮ সালে তাঁর যখন সাতষট্টি বছর বয়স, তখন ‘আমার জীবন’ নামে তাঁর আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ডটি প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের মধ্যে ছোট ছোট মোট ১৬টি রচনা রয়েছে। এবং সেই বই প্রকাশের একুশ বছর পরে তাঁর যখন অষ্টআশি বছর বয়স, তখন সেই আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে ১৫টি ছোট ছোট রচনা রয়েছে। এবং প্রত্যেকটিই শুরু হয়েছে উৎসর্গমূলক এক-একটি কবিতা দিয়ে।
আর তাঁর এই বই প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শুধু প্রথম বাঙালি হিসাবে নয়, প্রথম ভারতীয় নারী হিসাবে আত্মজীবনী লেখার গড়িমা অর্জন করেন তিনি। তিনিই ভারতের প্রথম মহিলা যিনি ভারতের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেছিলেন।
উনিশ শতকের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যেখানে নারীশিক্ষা প্রায় অসম্ভব ঘটনা ছিল, সেখানে নিজের চেষ্টায় বই পড়া শেখেন তিনি। তাঁর পৈতৃক বাড়িতে একজন মিশনারি মহিলা দ্বারা পরিচালিত পাঠশালা ছিল। সেখানে বাড়ির ছেলেরা পড়াশোনা করত। রাসসুন্দরী সেখানে কিছুক্ষণের জন্য যেতেন এবং আড়াল থেকে পড়া শুনে শুনে অক্ষরজ্ঞান লাভ করেছিলেন। সেই অক্ষরজ্ঞান লাভের পরে রান্নাঘরের মেঝেতে আঁক কাটতে কাটতে বর্ণ লেখাও রপ্ত করে ফেলেন। শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বাংলার উনিশ শতকের সমাজের ইতিহাসে রাসসুন্দরী দেবীর লেখা ‘আমার জীবন’ নামের প্রথম আত্মজীবনীটি এক নারীর লড়াই এবং শিক্ষিত হয়ে ওঠার পিছনের কাহিনি ধরা পড়েছে।
১৮০৯ সালে বাংলাদেশের পাবনা জেলার পোতাজিয়া গ্রামে রাসসুন্দরী দাসীর জন্ম হয়। তাঁর বাবা পদ্মলোচন রায়। মেয়ের যখন মাত্র ৪ বছর বয়স, তিনি মারা যান।এত ছোট বয়সে বাবার মৃত্যুর কারণে বাবার সঙ্গে তাঁর কোনও বন্ধনই গড়ে ওঠেনি। মা এবং একান্নবর্তী পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গেই বড় হয়েছেন তিনি।
প্রথাগত কোনও শিক্ষায় শিক্ষিত হননি রাসসুন্দরী দেবী। তৎকালীন সমাজে নারীর শিক্ষিত হওয়াটাই ছিল অপরাধের। মেয়েদের পাঠগ্রহণ বা পাঠশালায় বসতে দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হত না। কিন্তু তবু তাঁর পরিবারের মানুষের উদারতার কারণে মাত্র আট বছর বয়সে গ্রামের পাঠশালায় তাঁর প্রাথমিক পাঠ শুরু হয়। সেইকালে ওই বয়সে অন্যান্য মেয়েরা যখন রান্নাবাটি, পুতুলখেলায় মেতে থাকত, সেই সময় তাঁর অভিভাবকেরা রাসসুন্দরীকে পাঠশালায় পড়তে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে এক বিদেশি শিক্ষিকার পাশে বসে বাড়ির অন্য ছেলেদের সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন রাসসুন্দরী। ছেলেদের পড়া শুনে শুনেই বাংলা বর্ণমালা শিখে ফেলেন তিনি। এমনকী শুনে শুনেই অল্প-স্বল্প পার্সি ভাষাও রপ্ত করে ফেলেন। হঠাৎ একদিন বাহির-বাড়িতে আগুন লেগে সব ছারখার হয়ে যায়, পুড়ে যায় রাসসুন্দরীর স্বপ্নের পাঠশালাটিও। আগুন লাগার ভয়ে নদীর তীর পর্যন্ত দৌড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই তাঁর পড়াশোনার ইতি।
বারো বছর বয়সে খিড়কিঘাটে আসা মহিলাদের থেকে জানতে পারেন যে, তাঁর পরিবারের লোকেরা তাঁর বিয়ের আয়োজন করছেন। তৎকালীন বাংলায় মেয়েকে বিয়ের কথা জানানোর রীতি প্রচলিত ছিল না। ন’বছর বয়সে গৌরীদান আর তেরো বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়ার রীতি এবং অভ্যাসই সমাজে প্রচলিত ছিল।
বারো বছর বয়সেই রাসসুন্দরী দেবীর বিয়ে হয়। ফরিদপুর জেলার রামদিয়া গ্রামের সীতানাথ সরকারের সঙ্গে। শ্বশুরবাড়িতে এসে মা-হারা রাসসুন্দরী শাশুড়ি মাকেই নিজের মায়ের স্থান দেন এবং তাঁকেই নতুন মা হিসেবে মান্যতা দেন। শ্বশুরবাড়িতে আটজন দাসী থাকার কারণে সেভাবে প্রথম দু’বছর কোনও কাজই করতে হয়নি রাসসুন্দরীকে। মাটি দিয়ে বিড়াল, সাপ, কুকুর, শিয়াল ইত্যাদি বানিয়ে মজা করতে করতেই দিন অতিবাহিত করতেন তিনি। তখনকার প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বাধ্য হয়েই বুক অবধি ঘোমটা টেনে সব কাজ করতে হত তাঁকে। বাইরের লোক তো বটেই, এমনকী নিজের স্বামীর সামনেও ঘোমটা সরানো অপরাধ ছিল। কিন্তু বিয়ের প্রথম দু’বছর পরেই তাঁর শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েন আর তখন থেকেই গৃহদেবতার সেবা, ভোগ রান্না, অতিথি সৎকার, রান্না ইত্যাদি সব কাজই তাঁকে একা হাতে করতে হত। মাত্র চোদ্দো বছর বয়স থেকেই তাঁকে প্রায় প্রতিদিনই অনেক রাত অবধি কাজ করতে হত। তাঁর আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, এই বিবাহ নামক বিষয়টিকে তাঁর একটি খাঁচা বলেই মনে হত। বাল্যকালের স্বাধীনতার জীবন শেষ করে পালকি আর নৌকায় চড়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। আঠারো বছর বয়সে তাঁর প্রথম সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তেতাল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত রাসসুন্দরী দেবী মোট বারোটি সন্তানের জন্ম দেন। তার মধ্যে ৭ জন জন্মের কিছু দিনের মধ্যেই মারা যায়। এতগুলো সন্তান হওয়ায় এবং তিনি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কারণে অসংখ্য মৃত্যু তাঁকে চোখের সামনে দেখতে হয়েছে। তাঁর সাতটি সন্তানের মৃত্যু হয় চোখের সামনেই। হারিয়েছেন নাতি-নাতনিদেরও। এই সব প্রিয়জনদের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করা কতখানি দুঃসহ শোকের তা ফুটে উঠেছে তাঁর লেখনিতে। এ ছাড়াও তিনি তাঁর স্বামীকে হারান ১৮৬৮ সালে। এই বছরেই তাঁর আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়।
কেমন ছিল সে আত্মজীবনী? সে প্রসঙ্গে পরবর্তিকালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর বইটির ‘ঘটনাবলীর বিস্ময়কর ধারাবাহিকতা’ এবং অভিব্যক্তির ‘সহজ মাধুর্য্য’র প্রশংসা করেছেন। দীনেশচন্দ্র সেন বলেন, তাঁর গদ্য একটি ‘অতীত যুগের সহজ গদ্য রচনার সংক্ষিপ্তসার’। তাঁর লেখা ’আমার জীবন’ বইটি হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছিল।
তাঁর ছেলে ও মেয়েদের নাম যথাক্রমে বিপিনবিহারী, পুলিনবিহারী, রামসুন্দরী, প্যারীলাল, রাধানাথ, দ্বারকানাথ, চন্দ্রনাথ, কিশোরীলাল, প্রতাপচন্দ্ৰ শ্যামসুন্দরী এবং মুকুন্দলাল। তাঁর ছেলে কিশোরীলাল সরকার কলকাতা হাইকোর্টের একজন খ্যাতনামা আইনজীবী ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বইয়েরও লেখক ছিলেন তিনি।
এর আগে তেইশ বছর বয়সে তাঁর একটি পুত্রসন্তান হলেও গর্ভাবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। সন্তানাদির দেখাশোনার পাশাপাশি সর্বক্ষণ তাঁর মনের মধ্যে বই পড়ার এক অদম্য বাসনা উছলে উঠত। লেখাপড়া শেখার জন্য রাসসুন্দরীর যে আগ্রহ, যে প্রবল ইচ্ছা, তা সেকালে নারীদের মধ্যে খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু সাংসারিক দায়-দায়িত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও পড়তেন একের পর এক বই। সারাদিনের কাজের শেষে তাঁর স্বামীর কাছে এসে নতমুখে দাঁড়িয়ে থাকতেন রাসসুন্দরী। বেশিরভাগ দিনই অনেক রাতে কাছারিবাড়ি থেকে কাজ সেরে ফিরতেন তাঁর স্বামী। আর রাসসুন্দরী তাঁর অপেক্ষায় থেকে থেকে শেষে আর খেতেনই না। কিন্তু সংসারের কেউই সে খবর রাখতেন না।
রামদিয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে তাঁর স্বামীর ‘জয়হরি’ নামে একটি ঘোড়া ছিল। বাড়ির চাকরেরা রাসসুন্দরীর বড় ছেলেকে সেই ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে ঘুরিয়ে বেড়াতেন। কিন্তু লজ্জাশীলা রাসসুন্দরী বাইরের উঠোনে সেই ঘোড়ার সামনে যেতে লজ্জা পেতেন। এমনকী সেই জয়হরি নামের ঘোড়া বাইরের উঠোনে ছড়িয়ে রাখা ধান খেতে দেখলেও তাকে বিরত করতে যেতে সংকোচবোধ করতেন তিনি। তাঁর মনে সব সময়ই একটা ভয় কাজ করত, স্বামীর প্রিয় ঘোড়াকে তিনি কীভাবে বিরত করতে পারেন!
বিয়ের পরে তাঁর মনে হয়েছিল, বিদ্যাহীন জীবন আসলে পশুর মতো। আর তাই বই পড়ার আগ্রহে বাড়িতে থাকা চৈতন্যভাগবতের পুঁথি সংগ্রহ করেন তিনি, তাও নিজে সেটি সংগ্রহ করার বদলে ভয়ে ভয়ে বড় ছেলে বিপিনবিহারীকে দিয়ে সেই পুঁথি নিয়ে আসেন তিনি। সেই চৈতন্যভাগবতের একটি পাতা খুলে রান্নাঘরের এককোণে লুকিয়ে রাখেন আর একই সঙ্গে সেখানে লুকিয়ে রাখেন বড় ছেলের লেখা তালপাতা। সংসারের কাজ সেরে অবসর পেলেই সেই চৈতন্যভাগবতের পুঁথি নিয়ে বসে পড়তেন তিনি। শ্বশুরবাড়িতে তাঁর তিন ননদ রাসসুন্দরীর পড়ার আগ্রহের কথা জেনে বেশ সাহায্য করেছিলেন তাঁকে। ক্রমে পড়তে শিখলেন তিনি। কিন্তু লেখা শেখার জন্য যে কলম, দোয়াত, পাতার দরকার সেগুলো জোগাড় করার কোনও উপায় ছিল না তাঁর। শাশুড়ির মৃত্যুর পরে সাংসারিক দায়-দায়িত্ব যেমন বেড়েছিল তাঁর, তেমনি সকলের কাছে তিনি বাড়ির কর্তা ঠাকুরানি হয়ে উঠেছিলেন। শুধুই চৈতন্যভাগবত নয়, ধীরে ধীরে আঠারো পর্বের চৈতন্যচরিতামৃত, জৈমিনিভারত, গোবিন্দলীলামৃত, বিদগ্ধমাধব, প্রেমভক্তিচন্দ্রিকা, বাল্মীকি-পুরাণ সমস্ত বইই পড়ে ফেললেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে যে বাল্মীকি-পুরাণ ছিল তাতে শুধু আদিকাণ্ড ছিল, সাতটি কাণ্ড ছিল না। ফলে আদিকাণ্ড পডে তিনি এতটাই মোহিত হয়ে পড়েন যে, বাকিগুলো পড়ার জন্য তিনি প্রবল আগ্রহী হয়ে উঠেন। তাঁর ছেলে দ্বারকানাথ কলেজ থেকে বাড়িতে এলে তিনি তাঁকে বাকি খণ্ডগুলো আনার কথা জানালেন তিনি। মায়ের আগ্রহ দেখে তাঁর ছেলে সেই বাল্মীকি-পুরাণ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।কিন্তু সে বইয়ের লেখার হরফ এত ছোট ছিল যে, রাসসুন্দরী বই হাতে পেয়েও তা পড়তে পারলেন না। তাঁর ছেলে কিশোরীলাল তাঁকে চিঠির উত্তর দেওয়া শেখাতে লেখার সব সরঞ্জাম কিনে অভ্যাস করতে বলেন। একদিন সীতানাথ সরকার অর্থাৎ রাসসুন্দরীর স্বামীর টাইফয়েট জ্বর হলে রাসসুন্দরী তাঁকে ছেলে দ্বারকানাথের কাছে কাঁঠালপোতায় নিয়ে যান। কাঁঠালপোতায় থাকাকালীনই কিছু অক্ষর নিজে হাতে লেখা শেখেন রাসসুন্দরী দেবী। ১৮৬৮ সালে মাঘী শিবচতুর্দশীর দিন রাসসুন্দরী দেবীর স্বামী সীতানাথ সরকারের মৃত্যু হলে বৈধব্য যন্ত্রণা গ্রাস করে তাঁকে।
ইতিমধ্যে তাঁর তিন ছেলে ও ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। শোনা যায়, রাসসুন্দরীর শ্বশুরবাড়িতে অর্থাৎ রামদিয়া গ্রামে বিখ্যাত সমাজসংস্কারক আনন্দমোহন বসু আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন একবার। বাড়িতে মদনগোপালের মূর্তি স্থাপিত ছিল, নিত্যদিন তাঁর পূজায় নিমগ্ন থাকতেন রাসসুন্দরী।
তাঁর জীবনের সমস্ত কথাই জানা যায় তাঁর আত্মজীবনী থেকে। ‘আমার জীবন’ নামে সেই আত্মজীবনী দু’টি খণ্ডে প্রকাশ করেছিলেন রাসসুন্দরী দেবী নিজেই। ঠাকুর পরিবারের জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সাহিত্য- সমালোচক দীনেশচন্দ্র সেন রাসসুন্দরীর আত্মজীবনীর প্রস্তাবনা রচনা করেছিলেন। রাসসুন্দরীই ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম আত্মজীবনীকার। তাঁর ‘আমার জীবন’ বইয়ের প্রথম খণ্ডে মোট ষোলোটি অধ্যায় আছে যেগুলির প্রতিটির শুরুতে একটি করে কবিতা রচনা করেছেন রাসসুন্দরী দেবী। ওই বইতেই তিনি জীবনের ধ্রুবতারা হিসেবে বারবারই পরমেশ্বর, দীননাথ প্রমুখের কথা বলেছেন যা তাঁর আধ্যাত্মিক মনের পরিচয় দেয়। পরবর্তিকালে তাঁর নাতনি সরলাবালা সরকার ‘আমার ঠাকুরমা’ নামে একটি স্মৃতিচারণামূলক লেখা লিখেছিলেন রাসসুন্দরী দেবীকে কেন্দ্র করে। সেই লেখা থেকেও তাঁর সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারা যায়। যদিও ১৮৯৯ সালে রাসসুন্দরী দেবীর মৃত্যুর পরে স্বনামধন্য থেকে উঠতি অজস্র কবি-লেখকরা তাঁদের আত্মজীবনী লিখেছেন, কিন্তু সেগুলির মধ্যে ছিল মূলত তাঁদের বাল্য স্মৃতি। রাসসুন্দরী দেবীর মতো পূর্ণাঙ্গ জীবনী কেউ লেখেননি। তার থেকেও বড় কথা, উনিশ শতকের আগে বাংলা ভাষায় কোনও আত্মজীবনীই লেখা হয়নি।
আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে বাল্যস্মৃতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এমন কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক এবং তাঁদের জীবনীগ্রন্থের নাম হল— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ’জীবনস্মৃতি ও ছেলেবেলা’, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়র ’বাল্যস্মৃতি’, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরর ’আমার বাল্যকথা’, গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন এর ’বাল্যজীবন’, মন্মথনাথ মজুমদার এর ’আদর্শ ছাত্রজীবন’। এ ছাড়া অনেক পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনীতেও মূলত বাল্যস্মৃতিই ধরা পড়েছে।♣