“সমস্ত দিন অন্ধকারে রৌদ্র ঢেলে অই
পশ্চিমে নীল হলদে মেঘে সূর্য এখন জ্যোতি
ম্লান হয়ে যায়; নদী অবোধ, তবু অনেক দ্যোতনা তার মর্মস্পর্শী ঠিক;
পাখিও ঠিক তেমন অবুঝ আন্তরিকতায়
এখন তারা শেষ সোনালী রোদের বিচ্ছুরণে
কিছুই তেমন বলে নাকো—শুধু বলেঃ ‘অধপতিত
মানবতা আজকে, তার আত্মবিচার তবু কি সচেতন?
আমরা সবাই পটভূমির ছবির মতো, আধেক বুঝেছি তার মন।”
– ‘সমস্ত দিন অন্ধকারে’/জীবনানন্দ দাশ
আজ শতাব্দী-সন্ধির অসময়ে চাই পুরনো রাত্রির মতো আঁধার কেটে যাবার অভীপ্সা; যে দিকচিহ্ন নতুন আলোর স্পষ্টতকার রূপায়নের। তাই আমাদের তাকিয়ে থাকা আলোর স্বচ্ছতার দিকে। চলছে এই অবসন্ন দেশে জাগ্রত মানুষের খোঁজ—সে কবির দর্শনকে কীভাবে জীবন পলাতকের অভিধা দিতে পারি! কলের চাকার মতো ঘুরে-ফিরে আসে ক্ষতি, মৃত্যু-ভয়, বিহ্বলতা; এসব এড়াতে দৃঢ়তার প্রয়োজন। প্রয়োজন গূঢ়তর উন্মেষের, জীবনের শুভ অর্থকে ধারণ করা। মানুষের সর্বস্বসাধন সর্বজনীন; একদিনের নয়, যুগ-যুগান্তরের। সেদিন বহুদূরে যেদিন মানুষের হৃদয়ের বিবর্ণতা দূরীভূত হবে। আমরা আশাবাদী—আমাদের জীবনের কল্যাণ হেমন্তের মতো, বসন্তের ন্যায় যৌবনময়। প্রেম-প্রেমব্যসনের দিন শেষ হলে, কোথাও আর মহান কিছু অবশিষ্ট থাকে না বলে, মেকী সফলতা কামনা করি না—পরস্পরের নিকট সফল হতে, লক্ষ্যহীন জীবনের মানে জানতে, জীবনেরই কাছে ব্যাহত হয়ে আক্ষরিক চেতনায় পরাভূত হবার নামান্তর। তাই বারবার অনির্বচনীয় সফলতার খোঁজ। খোঁজ নবীনতার, মানবিকতার সকাল। জীবনানন্দের কবিতার মতো হাঁক ছেড়ে বলিঃ জয় অস্তসূর্য , জয়, জয় অলখ অরুণোদয়, জয়!“
পৌঢ়তার দিকে পৃথিবীর, পৃথিবীর জ্ঞানের বয়স অগ্রসর হলেও যন্ত্রসভ্যতা ব্যক্তিচিন্তার স্বাধীনতা গ্রাস করতে চায়। সময় নিজ নিয়মের কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। সেই দুর্লঙ্ঘ সময়স্রোতে সাঁকো বাধার মানুষের অভাবে আমাদের শীর্ণ-বিমর্ষ হতে হয়। সবকিছু শেষ হলেও মরানদীর দাগ রয়ে যায়, রয়ে যায় আলোক-অগ্নির দীপ্তিবলয়। এসবই উপলব্ধির-অনুভূতির-আর্ত বোধমালার ব্যপ্তিতে হৃদয়ঙ্গম করবার।
সুসময় তো অমেয়—অনাবিল। পৃথিবীতে উৎকণ্ঠিত মানুষের ভিড়, শিখতে হয়ঃ‘আলোর ভেতর দিয়ে হেঁটে চলে যাবার কৌশল’। প্রেমের শুদ্ধতা, মানুষের হৃদয়ালোক ঘনীভূত অন্ধকারকে, মানুষের শৃঙ্খল তথা নিস্ফলতা থেকে মুক্তির প্রমিতি ও সমবায়। কেননা, মানুষের ইচ্ছার-সাধ-সত্যতার শেষ কিছু আছে কি? আশামালা শান্ত ঘুমের অবগাহনে যেন আত্মসমাহিত। এই তন্দ্রা-ঘোর একা পেরিয়ে মোমের উপাদেয় আলোক এখনো মানুষের চোখের পেছনে অন্ধকারে ঝলসে ওঠে। তারা সব জ্যোতির মতন। আসলে এসবই মানুষের চেতনার ক্রমমুক্তির পরিভাষা; প্রত্যাশা আমাদের যাপিত দিনরাত্রি হোক উজ্জ্বল শান্তির মত। আর আমাদের দৃষ্টিপাতের স্পষ্টতা প্রয়োজন।
কী পরিণাময় জীবনানন্দের অগ্রন্থিত কবিতা এই লাইন:”মানুষ সত্য, তবু সত্য মানুষের চেয়েও গভীর’। যদিও প্রাণের সূর্যের অবস্থান সম্বন্ধে আমরা সন্দিহান; হৃদয়সূর্য আলোহীন। তবু মৃত-জীবন্মৃতের সামঞ্জস্য জানতে, মানুষের শুভ-শুভতর, স্থির-স্থিরতর ভাবনালোকের পথে এগোতে হবে। সে শুভ-স্থিরতর বিষয়কে নির্দেশ করতে সত্য ও সভ্যতা অন্ধকারচ্ছন্ন কুয়াশাবৃত মনে হলেও আমাদের উদ্দেশ্য লক্ষ্যহীন যাত্রা নয়—আরো দূরাভিমুখের অভিসন্ধানে সময়সিদ্ধ জীবনকে শুদ্ধ সত্যের দিকে ধাবিত করতে পারবো মনে হয়।
তবুও মানুষ নিরুত্তেজ—চারদিকে বহতা জীবনকে স্বাভাবিক নিয়ম বলে মেনে চলার মেরুদণ্ডহীনতা…
আজকের সময় তাই মতাপতনের বার্তাবহ। মানুষের আলোকসামান্য গন্তব্যের দিকে যাত্রা অন্ধকারের পথে ধুঁকে ধুঁকে ধ্বংস, যুগক্ষয়, আশা ও আশাভঙ্গের বেদনায় ধাবমান। জীবনানন্দ সেসব দেখেছেন গভীরভাবে, অনুভব করেছেন, আর লিখেছেন একান্তে। এসবের মাঝে মিশ্রিত বোধ বা অনুভবে কোনো কোনো সময়বলয়ে কুয়াশার প্রাচীর ভেঙে ভাস্কর কিছু আলোরেখা দেখা যায়। পুনশ্চঃ সেই পুরনো গল্প; দিগন্তে দিগন্তহীনতার সম্প্রসারণ। তাই তো জীবনপথের চেতনায় সময় তার কবিতায় ‘দেবী’র অভিধা পায়। এবং, বস্তুতপক্ষে কবির ধারণা মানব ইতিহাসের এ অন্ধকার জলের ন্যায়। যেসব প্রাণবীজের জন্ম হয়েই মানুষের, সভ্যতার, সমাজের জন্য ক্রীয়াহীন-পঙ্গু—তারা কত হারিয়ে গেল কত কত অন্ধ অন্ধ রক্তস্রোতজলে। এদের হৃদয় গোলকধাঁধার ছকে বন্দী। আজকের অবস্থানকে আগামীর সময়শায়কে উজ্জ্বল করে তুলতে, সব মানবিক বিন্যাস যুগোপযোগী হতে হয়। ভুলের পর ভুল, গ্লানির পর গ্লানির পাহাড় ডিঙিয়ে মানুষের সময়পথ অনিবার্য গমনরত দুর্নিবার সত্য সূরেযের মর্মমূলে; একথা আর বলার অপেক্ষাহীন। অনেক শূন্যতার অনুশীলনের পর প্রাণের েসূরযসাহস জাগে, জীবনের ডাকে-জয়গানে। তখন আর আমরা ভাবি নাঃ “আলোও নিজে কেমন যেন অন্ধকারের মতো।” এমনতর বহু সম্ভাবনার পেছনে মানুষের বহু রীতি-মঙ্গলনীতির ক্ষয় হয়েছে; তারপরও মানুষ ঘোর তন্দ্রালীন—বুঝে পারেনি এইসব সাংকেতিক সমষ্টি। সেদিনকার তো বটেই, আজকের মানব হৃদয় চরম সংবাদ নিয়ে আসে আমাদের মানসাঙ্কে হৃদয়ের তন্ত্রীতে। সত্যের এতখানি স্খলন! তবুও মানুষের বোধোদয় হয় না। তার চেতনাকে জাগরুক রাখা কবিতার অন্যতম নির্দেশনা হতে পারে।
অনেক…দূর যেয়ে মানুষের এই ভ্রমণের শেষ—কিন্তু পরিণতি নয়। যেমন: ‘মনবিহঙ্গম’ কবিতায় পাই জীবনানন্দের আরেকটি স্বগত উক্তিঃ “জীবন তবুও এক শান্ত বিপ্লবী’…। বিক্ষোভে স্তব্ধ; এক সময় সূ সূর্যপুরুষ হয়ে, খুলে ফেলে সময়ের অন্ধকার গ্রন্থিমালা—এভাবেই সূচনার অস্পষ্ট গ্লানির আওয়াজ শোনা যায়। অন্যত্রও চিন্তার মিলনঃ “সময় নিজেই তবু সবচেয়ে গভীর বিপ্লবী”।
নেপথ্যসুরে কেউ কেউ টেনে ধরতে চায় পশ্চাপরতায়; যার কণ্ঠ কেবলই হতাশার-বিমনস্কতার। প্রত্যাশার প্রাচুযই আমাদের দীনতা প্রকাশ করে বৈকি! এভাবেই সফলতা নক্ষত্রের উজ্জ্বল রাতের উপমা পেয়ে যায় একজন কবির কাছে, পাণ্ডূলিপির পাতায়। কেননা জীবন জীবনানন্দের কাছে একজন কবি’র কাছে মৃতোপম নয়—আশ্রয়দয়িতা; তার মুখশ্রীকে মন্দিরই মনে হয় কল্পনার গাঢ় অভিনিবিশে। জীবনের অবিস্মরণীয়তা—সত্যতার খোঁজ ক্লাসিকতার দিকে ঝোঁকে। এখানে ব্যক্তিক অনুষঙ্গ ব্যতীত কিছু ধ্রুপদী বিষয়ে স্বভাব কবির খাতায় লিখিত হয়। সময়ের আপন গতিতেই ইতিহাসযান চলমান; আত্মদীপ্ত। আমরা আদিম যুগ থেকে সভ্যতা শুরু করেছি—আজ আধুনিক আদিম যুগ! আধুনিক যুগের আদিমতা বিষাদ, জরা, বিভ্রান্তিপূর্ণ।
জৈবনিক পীড়ন তো নিয়ম-নিগড়ে বন্দী; অনিবার্য, নিয়তি ধার্য। হিংসা-দ্বেষ-গ্লানি-রক্তের অনর্গল কলরোল; এই দুরন্ত সময়ের কাছে ক্রমায়ত নীরব। সময়সেতুপথে কবে আসবে নিষ্পেষিত দলিত মানবতার প্রশান্তি? মানুষ চায় এই মহাজিজ্ঞাসার উত্তরণ। তখন এমন প্রশ্নে বিদ্ধ হওয়া অযৌক্তিক নয়ঃ জীবনের ধার কী আদপেই ক্ষয়ে যায়, নাকি কৃতি? কবি নিসীম মানুষ—তিনি রাতে নিরিবিলি নক্ষত্রপুঞ্জে পথচারী হন। এবং তিনি জানেন, জীবন অবাধ-অগাধ। যদিও বর্তমান ক্ষয়ে-বিরুদ্ধতায় ব্যথিত অতীতের রূপ পায়; তবু তারার মত হৃদয়ের শুভ্রতা ও আলোর হাতছানি দেখি; একদিন যে ব্যথা যে সময় সত্য ছিল তা আজ অন্ধকারের অগোচরে। আজ মেরুদণ্ডহীন মানুষের প্রাণ আহত মাছির মত—এই বাণিজ্যবায়ুর সময়ে কবি বরাবর অপর মানুষ হয়েই থেকে যান হৃদয়ের সব হতাশাকে বিসর্জন দিতে। যদিও “জীবনের সব স্বাধ অগাধ মৃত্যুর ঢেউয়ে ঘেরা”—তাই ভাবেন, কবে মুক্তি মিলবে মানবের অন্তর্গত অবসাদ হতে, মুক্তির অধীরতা জানাবে অসীম সঙ্কেত। অস্থিরতা-অবিশ্বাসের ঘন্টারোল আর মানি না। সত্যসূর্যের সাথী হয়ে একাকী থাকার যে গুপ্ত জীবনের নিভৃতি—কবি তার চারপাশে এরকম একটি কাঁচের দেয়াল তৈরী করে নেন নিজ লেখালেখির আবহে। কবির প্রাণে ইন্দ্রধনুর মতো বুদবুদ; অন্ধকারের অচল অভ্যাসের বাইরে জীবন নির্মিতির আকাঙ্ক্ষা আমাদের যুগ-যুগাতিকালের—মানবেতিহাসের সেই থেকে আজ অবধি। কবির এইসব রুগ্ন রোমান্টিকতা, অমেয় ফূর্তি জীবনের আলোকযাত্রার সাক্ষ্য দেয়, সাক্ষ্য দেয় জৈবনিক আশা-প্রত্যাশার গাণিতিক বিশালতার। রাত্রির ক্লান্তিকর অবরোধ ভেঙে এ যাত্রা সুদূরে প্রলম্বিত। আর এই সফলতায় যুগের নিকট অগণ্য হৃদয় ত্যাগ স্বীকার করে নিতে হয়। ইতিহাসের গভীর ইশারা বোঝার মতো মানুষ সব যুগেই কম। সেইসব উর্বর মেধা ও মনোবীজধারী ব্যক্তিমানুষরাই অনুমান করতে সক্ষম যুগসংক্রান্তির-দূরদর্শিতার। কৃতিহীন মানুষের অবহেলা দৃষ্টির দূরে সরে গেছে পরিত্যক্ত নুড়ির মতন। এখানে পথে ভরতি অসুস্থ চিন্তা; তাকে এড়াতে মানুষের দরকার সরল দাবীর বিশুদ্ধতা। অক্লান্ত নিজের চিন্তার বিনির্মাণের মধ্যেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তির; আজকের আধুনিক পৃথিবীতেও এই ধারণাই অনিবার্য ।
কবিতা কি “জীবনের গভীর জয় প্রকাশ করবার জন্য?” মানুষ স্বপ্নদয়িতঃ তাই তো সে চায় আজকের জীবনের টুকরো টুকরো সাধের ব্যর্থতা ও অন্ধকারকে এড়িয়ে যেতে। কিন্তু তিনি হৃদয় খুঁড়ে বেদনাকে জাগরিত করতে ভালোবাসেন। পৃথিবী যখন কোটি কোটি শূয়োরে কোলাহলে-আর্তনাদে মাতোয়ারা কবি তখন হৃদয়ের অবিরল অন্ধকারে সূরযকে বিসর্জন দিয়ে ঘুমোতে চেয়েছেন। তিনি চেয়েছেন অন্ধকারের স্তনের-যোনির ভেতর অনন্ত মৃত্যুর মতো শুয়ে থাকতে। সময় মানুষকে স্থির-স্থিরতর হতে দেয় না—দূর কালের শব্দ শতাব্দীর তীরে এসে ঝরে পড়ে। আমরা ঐ সুরলহরীর শ্রোতা! এই বোধ কি শাশ্বত নয়? গূঢ় অনিবারর্যতা প্রকাশ করে না? আসলে আমাদের চেতনার প্রত্যাবর্তনের জন্য হৃদয়কে আঘাত করা দরকার—উপলব্ধি, চিন্তা ও কল্পনার সারাৎসারে। মানুষের সামর্থ্য-সীমাবদ্ধতা-জটিলতা মেনে, পাথরের মতো নীরব না-থেকে হৃদয়চাপা প্রতিভাকে আবিষ্কারে মন্থনশীল রাখতে হবে। একদিন পৃথিবীর সব আলো নিভে গেলে সব মানুষের মৃত্যু হলেও মানুষের ইতিহাস বেঁচে থাকবে মানুষের স্বপ্ন বেঁচে থাকবে—আর সেইসব স্বপ্নের অংশিদার হয়ে জীবনানন্দ প্রকৃত সময়ের দ্বিতীয়াবর্তে বেঁচে থাকবার প্রয়াস ব্যক্তি করেছেন। কেননা, ইতিহাস যখন পর্দার আড়ালে, নেপথ্যে, তখন নিঃস্তব্ধতা হৃদয়কে সুগভীর নীরব হতে বলে। হতে বলে নীরব থেকে আরো নীরবতর।
আমরা বরাবরই আশাবাদী। ভাবি, হয়তো ভিন্ন-ভিন্নতর সময়ের জ্যামিতিক রেখা; আলোকবিন্দু…। উত্তর প্রজন্মেও কিছু মেরুদণ্ডহীন, শঠ মানুষের জয়জয়কার থাকবে; তবুও আমাদের স্বপ্ন বহমান থাকবে তা ছাড়া কোনো ব্যতিক্রম নেই। সময়কে তো কীটই মনে আমাদের কাছে কবি’র মতো। কেননা সত্যের কাছে, স্বনিষ্ঠতার কাছে আমাদের অনেক ঋণ। পাখিদের উড়ন্ত মহিমা কবি’কে গভীর চিন্তাবিলাসী করেঃ “এক ভিড় হরিয়াল পাখি / উড়ে গেলে মনে হয়, দুই পায়ে হেঁটে / কতদূর যেতে পারে মানুষ একাকী।” মানুষের মনের লঘুতার এমন পরাজয় আমরা মানতে পারি না। কারণ এই জীবনানন্দই অনুভব করেছেন মানুষের হৃদয়ের উজ্জ্বলতা; সকল বিভা নষ্টতার গ্রাসে সর্বস্ব কলুষিত হতে পারে না। সময় ও ইতিহাসের স্বভাবগতি। মানুষের কাজ, উদ্যম, সফলতার জয়। জীবন শুধু যৌবন, কামনা, ভোগবাদের নয়—তা আমরা স্পষ্ট জানি। তবু নির্দেশনাহীনতায় অবিবেচক অনেক লোক একত্রিত হয়েও অরব একাকী। জীবনমঞ্চে সাময়িক টানাপোড়েন বিবেককেই সর্বজ্ঞ ভেবে নিতে হয়; সজীবতাহীন মানুষকে জাগাতে এইই আশাজাগানিয়া টিকাভাষ্য।
“একদিন এ জীবন সত্য ছিল/শিশিরের মতো স্বচ্ছতম”—পুনশ্চ সত্য হোক জীবন; জীবন হোক।