ফকিরের দাড়ি থেকে ঝরে পড়ছিল ঐতিহ্য,
চুলে প্রবাহিত হচ্ছিল প্রাচীন বিদ্রোহের ইতিহাস,
চোখে ফোটে শান্ত পাখিদের নিরব গান,
কেউ কাছে গেলে সে শুধু হাসতো,
যেন মহাকাশ থেকে ফেরা এক ভুলোমনা পরবাসী।
হঠাৎ এলো একদল সাদা পোশাক পরা মানুষ,
হাতে কাঁচি, চোখে কড়া শাসনের ঝড়।
তারা কেটে ফেলল ফকিরের দাড়ি-মাথার চুলের জট,
আর জটের ভেতর লুকনো বুনো ওষধি লতাগুচ্ছ।
ফকির আকাশের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বললো:
“আল্লাহ, তুই দেখিস!
ওরা আমার শরীর থেকে কেড়ে নিয়েছে ফুলের সুবাস।”
পাশের দোকানের দরজা হঠাৎ খুলে গেলো,
বেরিয়ে এলো এক বিশালাকৃতির আয়না।
আয়নায় দেখা গেলো— আমরাও সবাই ফকির,
আমাদের দাড়ি কাটছে অদৃশ্য হাতগুলো,
আমাদের স্বাধীনতাও এক এক করে কেটে বিক্রি হচ্ছে নিলামে।
চুপ থাকলে হারাবে রঙধনুর রং, ভাস্কর্য, সঙ্গীত, মুক্তকণ্ঠ;
এসেছে সময়– পঞ্চইন্দ্রিয় খুলে জেগে ওঠো হৃদয়!