লিখছি, মানুষের কথাই তো লিখছি
কবিতা হয়নি তাতে কি—
মানুষের জন্যে মানুষের পাশেই আছি
বাংলাদেশের এমন কুরুক্ষেত্রে তবু লিখছি
আমার দম বন্ধ হয়ে আসে শিশুদের আর্তচিৎকারে
ধর্ষিতার শবদেহ যখন ভেসে ওঠে পুকুরে
নদীর স্রোতে যখন ভাসে পোড়া মানুষের লাশ
তখন আমি তোমাদের মতো নির্বিকার থাকতে পারি না
সন্তানের রাজনীতি করার অপরাধে মা কাঁদে অঝোর নয়নে
পাষণ্ড পশুরা যখন—
সন্তানকে না পেয়ে জোর করে বৃদ্ধ পিতাকে নিয়ে যায় জেলে
যখন অবুঝ শিশুটিও বাবা’র সঙ্গে জেলে চলে যায়
আমি নির্মোহ থাকতে পারি না—
পারি না শব্দের বিনুনি গেঁথে মালা সাজাতে
যে দেশে পাষণ্ডের কাছে নির্বোধ পশুও নিরাপদ নয়—
আমার হাত নিশপিশ করে, শিল্প আসে না তখন আমার
আমার শব্দাবলি চিৎকার করে—
আওয়াজ তোলে একাত্তরের জয় বাংলার
আমার উচ্চারণ অস্ত্র হয়ে ফিরে আসে বীর মুক্তিযোদ্ধার—
আমি পারি না, আমার রক্তে বীর মুক্তিযোদ্ধার বীর্য বহমান
মগজের তুমুল কোষে তড়িৎপ্রবাহ একাত্তরের কথা বলে
আমি আসলেই পারি না কবিতা লিখতে—শিল্পের সুষমারূপে
আমি বরং নিপাট রাজনীতিটাই লিখি আজ!
শোভন-সুশীল কাব্যমালা তোমরাই লেখো না তবে—




