শাড়ির পাড় ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের তর্জনীতে দ্রৌপদীর বেঁধে দেওয়াটাই ছিল রাখি বন্ধনের সূচনা

মহাভারতে কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণ যখন সুদর্শনচক্র দিয়ে শিশুপালকে বধ করেছিলেন তখন তাঁর তর্জনীতে চোট লেগে রক্তপাত হয়েছিল। সেই সময় দ্রৌপদী নিজের শাড়ির পাড় ছিঁড়ে প্রিয় সখার আঙুলে বেঁধে দিয়েছিলেন। এতে কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বহু বছর পরে, পাশাখেলায় শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাঁচ ভাইয়ের একমাত্র স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি রেখে পাণ্ডবরা যখন হেরে যান, তখন কৌরবরা দ্রৌপদীকে লাঞ্ছিত করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে গেলে, এই শ্রীকৃষ্ণই দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে সেই প্রতিদান দেন। দ্রৌপদী যে দিন নিজের শাড়ির পাড় ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের তর্জনীতে বেঁধে দিয়েছিলেন, সেই দিনটি ছিল শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমার দিন। তাই এই দিনটিকেই পুরাণে রাখীবন্ধন হিসেবে গণ্য করা হয়।

রাখিপূর্ণিমা ভারতের একটি উৎসব হিন্দু, জৈন ও শিখরা এই উৎসব পালন করে। এই দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে রাখি নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। এই রাখিই ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালবাসা এবং অবশ্যই নিরাপত্তার ঢাল। এই রাখি পরাবার সময় বোনেরা তাদের ভাইদের দীর্ঘায়ু, সাফল্য ও সমৃদ্ধির কামনা করেন। মঙ্গলকামনা তো বটেই। এই একই সঙ্গে এটা দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার ভাই বা দাদার শপথের প্রতীকও।

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। রাখী বন্ধন শুরু হওয়ার পিছনে শ্রীকৃষ্ণ‌ এবং দ্রৌপদীর কাহিনির পাশাপাশি আরও অনেক গল্প প্রচলিত আছে। ভগবত পুরাণের একটি গল্পে রয়েছে, স্বর্গে তখন দাপটের সঙ্গে রাজত্ব চালাচ্ছে অসুররাজ বলি। অসুরদের দাপটে ভীত ইন্দ্র একদিন ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। তখন বিষ্ণু বামন অবতার সেজে রাজা বলির কাছে ভিক্ষে চান তিন পা জমি।

রাজা বলি সেই জমি দিতে রাজি হলে বামন অবতার বিশাল চেহারা ধারণ করে এক পায়ে স্বর্গ আর এক পায়ে মর্ত্য অধিকার করে নেন। তৃতীয় পা রাখার আর জায়গা নেই। অথচ বলি কথা দিয়েছেন, তিনি তিন পা জমি দেবেন। তাই তিনি তৃতীয় পা রাখার জন্য নিজের মাথা পেতে দেন।
বলির এই কাজে খুশি হয়ে বিষ্ণু তাঁকে বর দিতে চান। অসুররাজ বলি তখন ভগবান বিষ্ণুর কাছে বর চান, তাঁর সঙ্গে পাতালে গিয়ে বসবাস করার। যেহেতু বিষ্ণু বর দিতে চেয়েছেন এবং বালি ওই বর চেয়েছেন তাই ভগবান বিষ্ণু পাতালে গিয়ে থাকতে শুরু করেন।

বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী তাঁর স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য এক অতি সাধারণ মেয়ের ছদ্মবেশে বলিরাজের কাছে আসেন। তিনি বলিকে বলেন, তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ। যত দিন না তাঁর স্বামী ফিরে আসছেন, তত দিন যেন বলি তাঁকে আশ্রয় দেন।

বলিরাজা ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিতে রাজি হন। ওখানে থাকার সময় এক শ্রাবণ পূর্ণিমার উৎসবে বলিরাজার হাতে একটি রাখি বেঁধে দেন লক্ষ্মী। বলিরাজা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে লক্ষ্মী আত্মপরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন। এতে বলিরাজা মুগ্ধ হয়ে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর জন্য বলিরাজা সর্বস্ব ত্যাগ করেন। সেই থেকেই শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিতে ভাইদের হাতে রাখি বাঁধতে শুরু করে বোনেরা।

সংস্কৃত শব্দ ‘রক্ষা বন্ধন’ থেকেই প্রচলিত হয়েছিল রাখি কথাটি। শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে এর তাৎপর্য। রক্ষার বাঁধন। হিন্দু এবং শিখদের মধ্যে এই উৎসব ভাই-বোনেরা পালন করলেও জৈন ধর্মাবলম্বিরা আবার একটু অন্য ভাবে এই উৎসবে শামিল হন। তাঁদের মধ্যে আবার জৈন পুরোহিত ভক্তদের হাতে ধাগা বেঁধে দেন এই দিনে।

রাখি প্রচলনের নেপথ্য কাহিনি নিয়ে অন্য আরেকটি গল্প প্রচলিত আছে। সেখানে রয়েছে— রাখি বন্ধনের দিন গণেশের বোন গণেশের হাতে একটি রাখি বেঁধে দেন। এতে গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের হিংসে হয়। তাদের কোনও বোন ছিল না। তারা বাবার কাছে একটা বোনের জন্য বায়না ধরে।

গণেশ তখন তাঁর দুই ছেলের নাছোড়বান্দা বায়নার জন্য দিব্য আগুন থেকে একটি কন্যার জন্ম দেন। এই কন্যাই হলেন গণেশের মেয়ে সন্তোষী মা। সন্তোষী মা শুভ ও লাভের হাতে রাখি বেঁধে দেন।

তবে রাখি বন্ধন উৎসবের আগে শুক্লযজুর্বেদ মন্ত্র অনুসারে, শ্রাবণ পূর্ণিমার দগিন ব্রহ্মঋষিদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার পরম্পরা চলে আসছে বহু দিন ধরে৷ আর গুরু পরম্পরার এই প্রথা অনুযায়ী ওই দিন সনাতন ধর্মী মানুষজন এবং বৈদিক গুরুরা নিজের শিষ্যদের সঙ্গে সমুদ্র, নদী কিংবা সরোবরের পাশে বসে তাঁর আত্মশুদ্ধি করেন৷ আর সেই সময় তাঁদের হাতে পরিয়ে দেন একটি পবিত্র সুতো৷ সেই সুতোই পরবর্তিকালে সাধারণ লোকের কাছে রাখি হয়ে ওঠে।

শোনা যায়, গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহ চিতোর আক্রমণ করলে চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী অসহায় বোধ করেন এবং তিনি ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনকে নিজের ওড়নার একটু অংশ ছিঁড়ে রাখি হিসেবে পাঠিয়ে তাঁর কাছে সাহায্য চান। কর্ণবতীর পাঠানো রাখি পেয়ে অভিভূত হয়ে যান হুমায়ুন এবং চিতোর রক্ষা করার জন্য তিনি বিপুল সৈন্য পাঠান। রাখি পাঠানোর এই মাহাত্ম্য দেখে এর পর থেকেই এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

কিংবদন্তী আছে, আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করলে আলেকজান্ডারের স্ত্রী রাজা পুরুকে একটি পবিত্র সুতো পাঠিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, আলেকজান্ডারের যাতে কোনও ক্ষতি না করে আলেকজান্ডারের স্ত্রীর সেই অনুরোধ পুরু রেখেছিলেন। মহাভারতের কাহিনি অনুযায়ী, নিজের নাতি অভিমন্যুর রক্ষা কামনা করে রাখি বাঁধেন পঞ্চপাণ্ডবের মা কুন্তী।

কথিত আছে, ভাইফোঁটার মতোই এই রাখি উৎসবেও যম ও যমুনার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। যমুনাও রাখি পরিয়েছিলেন যমের হাতে। বাংলা ক্যালেন্ডার এবং পাঁজি অনুযায়ী প্রতি বছর শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনেই এই উৎসব মহাধুমধাম করে পালিত হয়। শুধু ভারতেই নয়, রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয় নেপাল, পাকিস্তান এবং মরিশাসেও।

রাখি পূর্ণিমা কীভাবে শুরু হয়েছিল সেটা নিয়ে এরকম অজস্র নেপথ্য কাহিনি প্রচলিত আছে। যেগুলো মুখে মুখে প্রচারিত এবং রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণে বা ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে আমি শুধু সেগুলিই বললাম। যাঁর যেটা পছন্দ হবে কিংবা যেটাকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে, তিনি না হয় সেটাই বেছে নেবেন।

এ দিন ভাইয়ের কপালে কুমকুমের ফোঁটা দিয়ে হাতে রাখি বেঁধে দেন বোনেরা। রাখি পরানোর পর প্রদীপ ঘুরিয়ে ভাইয়ের আরতি করেন। তার পরে চলে মিষ্টিমুখের পালা। ভাইয়েরাও তার সাধ্য মতো বোনেদের হাতে তুলে দেয় উপহার।

এ ভাবেই রক্তের সম্পর্ক ও ভালবাসা নিবিড় হয়। দীর্ঘকাল থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে এই প্রথা। তবে বাঙালিদের কাছে রাখি কেবলই ভাই-বোনের মধ্যেই আবদ্ধ নয়, এখন তো বন্ধুরাও বন্ধুদের রাখি পড়ায়। সে ছেলেই হোক কিংবা মেয়ে।

আর এই রাখি বন্ধনের কথায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করতে রাখিকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ওই বছরের ২০ জুলাই ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের কথা ঘোষণা করে। জানানো হয়, এই আইন কার্যকরী হবে ১৯০৫-এরই ১৬ অক্টোবর, বাংলায় ৩০ আশ্বিন। সেই সময়ে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় মানুষ সামিল হয়। ঠিক হয়, ওই দিন বাংলার মানুষ পরস্পরের হাতে বেঁধে দেবেন হলুদ সুতো।

এই কর্মসূচিতে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য তাঁরা আমন্ত্রণপত্র পাঠান। সেই চিঠির বয়ানে লেখা ছিল—

বঙ্গচ্ছেদে রাখী বন্ধন।
আগামী ১৬ই অক্টোবর, ৩০শে আশ্বিন, সোমবার আইন দ্বারা আমাদের বাঙ্গলা দেশ বিভক্ত হইবে। আসুন, ঐ দিনকেই আমাদের সমস্ত বাঙ্গালীর ঐক্যবন্ধনের দিন করি। ঐ দিনে আমরা পরস্পরের হাতে হরিদ্রাবর্ণের সুতার ঘরে ঘরে অথবা প্রকাশ্যস্থলে সম্মিলিত হইয়া, রাখী-বন্ধন করিয়া, আমাদের অখণ্ড ভাতৃভাব সকল বাঙ্গালী মিলিয়া প্রকাশ করি। এই শুভ বন্ধনের দায়িত্ব কামনায় ঐ দিন আমরা সংযম গ্রহণ করিব। ঐ দিন সমস্ত বাঙ্গলা দেশের কোথাও কোন গ্রহে রন্ধন হইবে না। আমরা বাঙ্গালীরা সেদিন উষ্ণ দ্রব্য ভোজন করিব না। বন-ভোজনের পারণের ন্যায় চিড়া মুড়কী, ফলাদি আহার করিয়া থাকিব। কেবল শিশুর জন্য দুগ্ধ জ্বাল দিতে অন্যত্র অগ্নি জ্বালিব চুল্লি জ্বালিব না। ঐ দিনকেই প্রতি বৎসর বাঙ্গালীর রাখী-বন্ধনের দিন করিয়া স্মরণীয় করিয়া রাখিব। আশা করি, বঙ্গের জমিদার-সম্প্রদায় প্রজাগণকে, গ্রামের প্রধানেরা গ্রামবাসীদিককে, বিদ্যালয়ের ছাত্রগণ তাহাদের প্রতিবাসীদিককে এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য্য বুঝাইয়া দিয়া, যাহাতে বঙ্গের প্রত্যেক গ্রামে জাতীয় ঐক্যবন্ধনোৎসব সুচারুরূপে সম্পাদিত হয়, অবিলম্বে তাহার আয়োজন করবেন। 
নিবেদক,

শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শ্রীসুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। 
শ্রীরামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।

শ্রীভূপেন্দ্রনাথ বসু।
শ্রীহীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
শ্রীবিপিনচন্দ্র পাল।

চিঠির মাঝখানে ছিল নিবেদক শব্দটি। বাঁ দিকে ছিল প্রথম তিনটি নাম। বাকি তিনটি নাম ছিল ডান দিকে।

এই আবেদনের মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথই পালটে দিতে চেয়েছিলেন রাখি বাঁধার সংজ্ঞা। তিনিই এই দিনটিকে রাখি পরিয়ে ’মিলন দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্য কলকাতা, ঢাকা ও সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাইবোনেদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বাংলায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বকে ফুটিয়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেন তিনি।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে রাখি বন্ধন উৎসবের সঙ্গে চিরাচরিত শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমার রাখি উৎসবের কিন্তু কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, ওই রাখি বন্ধন উৎসব শ্রাবণ মাসে বা পূর্ণিমায়, কোনওটাতেই হয়নি। ওই রাখির মূল উদ্দেশ্যই ছিল মানবিকতা, সম্প্রীতি এবং প্রত্যেক মানুষের মধ্য একতা।

এই রাখি বন্ধন উৎসব নিয়েই রবীন্দ্রনাথ গান লিখেছিলেন—
বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক পুণ্য হউক
পুণ্য হউক হে ভগবান।

কাজী নজরুলও থেমে থাকেননি। রাখি বন্ধন নিয়ে  তিনিও লিখেছিলেন একটি অসামান্য কবিতা— রাখী বন্ধন
সেই রাখি বন্ধন উৎসব পড়েছে আজ বুধবার, ৩০ আগস্ট‌ এবং আগামিকাল বৃহস্পতিবার, ৩১ অগস্ট। কিন্তু জানেন কি কোন সময়টা রাখি বাঁধার জন্য শুভ সময়? তা হলে জেনে নিন— রাখি উৎসবের শুভ মুহূর্ত।

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি ৩০ আগস্ট, সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হলেও, যেহেতু শাস্ত্র মতে, রাখি উৎসব কখনওই ভদ্রাকালে পালন করা উচিত নয়, এটা খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। কারণ পৌরাণিক মতে, শূর্পণখা ভদ্রাকালেই রাবণকে রাখি বেঁধেছিলেন, যার ফলে রাবণের গোটা বংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেই বিশ্বাসেই ভদ্রাকালে রাখি বাঁধা নিষিদ্ধ।

তাই ভদ্রাকাল ও পঞ্চক সৃষ্টির কারণে, এবার এই উৎসবটি দু’দিন ধরে পালিত হবে। ৩০ আগস্ট, বুধবার রাত ০৯:০১ মিনিটে ভদ্রার ছায়া কেটে যাওয়ার পরেই রাখি বাঁধার শুভ সময় শুরু হবে। মানে সে দিন রাত ৯টা বেজে ২ মিনিটের‌ পর থেকে। চলবে ৩১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫ মিনিট পর্যন্ত।♠

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!