যে চিহ্ন আমি বসিয়ে দিচ্ছি অসহায় শব্দের গভীরে
তা কেবল হতাশা, ক্লান্ত ক্ষয় কিংবা তোমার অভিশাপ
আমি কোনোদিন সংসারী নই, শিকড় জড়ানো সন্ধ্যের বাঁশিতে
ফুঁ দিতে দিতে ভ্যানগগের রঙে দু ফোটা দুঃখ মিশিয়ে দিয়েছি
রাত্রির দৈর্ঘ্য অনেক কম, অযথা উদ্বিগ্ন হয় তবুও জোৎস্না
অভিযোগের মিছিলের মাঝে প্রধান অপরাধী আমি
অপরাধ আমার উদাসীন নির্জনতার
আমার ফ্রেম ভেঙে যাওয়া চশমার কালো দাঁটি বেয়ে নেমে আসে ঘন মেঘ
আমার আকাশ বলতে কিচ্ছু নেই – আক্ষেপ
আক্রোশে আমি মৌন পাহাড়ের মতো স্থির, জল জমে
বৃষ্টি কিন্তু কান্নারই কোনো রূপ, মৃত্যু কিংবা ধরো অবহেলার, বয়ে যাওয়া অস্থির রাগ সেও চাঁদের
অকারণে কুটু কথা বলে ফেলে অনুশোচনা হয়
আমার আয়নায় নিজেকে আর খুঁজে পাই না সেভাবে অন্ধকার কিংবা রোদে
সমাজ শাসক দু হাত বেঁধে দিতে ছুটে আসে
অনিয়ম ভাঙার অপরাধে আমার ঠিকানা দ্বীপান্তর কিংবা কারাবাস
অথচ সাহস করে ট্রাম লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে পারিনি কখনও অকাল দুর্ঘটনার আশঙ্কায়