২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং (Han Kang)। আজ বৃহস্পতিবার সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
হান কাং নিজ সাহিত্যকর্মে ‘ইতিহাসের ট্রমা ও মানবজীবনের ভঙ্গুরতা’কে তীব্র কবিতাময় গদ্যের মাধ্যমে উন্মোচিত করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘তার রচনায়, হান কাং ঐতিহাসিক আঘাত এবং নিয়মের অদৃশ্য দৃশ্যপটের মুখোমুখি হন এবং তার প্রতিটি কাজে মানব জীবনের ভঙ্গুরতা প্রকাশ করেন। দেহ ও আত্মা, জীবিত ও মৃতের মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে তার একটি অনন্য সচেতনতা রয়েছে এবং তার কাব্যিক ও পরীক্ষামূলক শৈলী সমসাময়িক গদ্যের একটি উদ্ভাবক হয়ে উঠেছে।
১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন হাং কাং। নয় বছর বয়সে পরিবারের সাথে তিনি সিউলে চলে যান। তার বাবার একজন ঔপন্যাসিক এবং পরিবারের সকলে সাহিত্যানুরাগী। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি শিল্প ও সঙ্গীত চর্চা করেন।
১৯৯৩ সালে হান কাং প্রথম কবিতা ‘লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়।
১৯৯৫ সালে তার প্রথম গদ্যসংকলন ‘লাভ অব ইয়োসু’ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি একের পর এক উপন্যাস ও ছোটগল্প প্রকাশ করেন। তার উল্লেখযোগ্য একটি উপন্যাস হলো ২০০২ সালে প্রকাশিত ‘ইউর কোল্ড হ্যান্ডস’। সেখানে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও ব্যক্তিত্বের মধ্যে দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে।
২০০৭ সালে হান কাং তার প্রকাশিত উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ এবং ‘হিউম্যান অ্যাক্টস’-এর জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত পান। তার এসব গ্রন্থে ব্যক্তিগত ও ঐতিহাসিক ট্রমা এবং সহিংসতা নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
নোবেলজয়ের জন্য এই লেখক পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে।#