পাথরের নীরবতা

উৎসর্গ: ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে-
যাকে আজ প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে।

একটি হাত উঠেছিল…
ভাঙতে নয়-
চেপে ধরতে।
একটি মুখ থেমে গিয়েছিল…
রাত্রি নামার আগেই।

কোনো এক রাস্তায়,
ঘরে ফেরা মানুষের ছোটাছুটি,
আকাশে গোধূলির হালকা আগুন,
আর মাটিতে লাল ছোপ ছোপ… আলপনা।

কে বলবে-
কে ছিল অপরাধী?
কে-ই বা ছিল সাহসী?
সব মুখেই মুখোশ আঁকা,
আর নীরবতা?
সে তো দিয়েছে সম্মতি-
তালির শব্দে।

চারদিকে অদ্ভুত চাহনি,
তবু কেউ এগোয়নি…
ভয়ের পায়ের ছাপে
সাহস পিছলে পড়ে নির্বাক!

একটি শরীর,
যার কোনো নাম নেই।
শুধু রক্ত ছিল…
একটি ইচ্ছে চূর্ণ হলো পাথরের নিচে।
তবু কেউ শোনেনি
তার ভাঙ্গা কণ্ঠস্বর।

তারপর?

একটি কাগজে লেখা হলো
“দায় নেই। বহিষ্কার করা হয়েছে।”
রাষ্ট্র নির্বিকার ফিরে যায়,
অবিচারের পথে।

তবু…
একটি প্রশ্ন ভেসে বেড়ায় বাতাসে
অদৃশ্য, কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে…
“আর কত পাথর চাই,
মানুষ মারার জন্য?”

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!