বহুদিন আনন্দহীন,
বহুদিন বিনোদনবিহীন—
এই ভরা ভাদরে কাশফুল কাঁদে।
আজ শাদা শাদা কাশফুলও খুনরঙা।
বাবু’র গড়া প্রতিমা, সরস্বতীর শাড়ির আঁচল
ভাসে নদীর জলরাশি,
ছুপছুপ রক্তে ভেজা ধুসর কাদামাটির মাঝে।
আশ্বিন এলো, তপ্তরোদের তীব্রতায়,
পুড়ে যায় প্রভাতের কুয়াশা,
ফুলতোলেনা পাড়ার কিশোরী।
একদঙ্গল হায়েনা জ্বালিয়ে দেয় কাশবাগান,
চড়ুইছানা অঝোরে কাঁদে।
তরুণ-তরুণীরা, ধুতি, শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে—
নদীর পাড়ে আর ঘুরে বেড়ায় না।
বড়ো নিঃসঙ্গতায় মাতামুহুরি দু’পাড়,
বড়ো বিপন্ন উশৃঙ্খল সময়—
অসহিষ্ণু আমার সমাজ, রাষ্ট্র।
কোথায় যাবো, কার সঙ্গে যাবো,
চারিদিকে ভয়ের আতঙ্কের উৎসব।
তবুও, আমার মন চায় কাশবাগানে,
বাকখালির চরে চড়ুইভাতি খেতে।