স্ত্রী ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললেন, এই তোমার ফোনটা দাও তো…
স্বামী বলল, কেন?
— আমার ফোনে ব্যালেন্স নেই। মাকে ফোন করব।
স্বামী ফোন দিতেই স্ত্রী হাতে নিয়ে দেখলেন, একটা ফোন ঢুকছে। তাই বললেন, একটা ফোন এসেছে।
স্বামী বললেন, দাও।
স্বামীর চালচলনে যথেষ্ট সন্দেহ করেন তিনি। তাই বললেন, আমি ধরব। বলেই, ফোনটা ধরলেন, হ্যালো… কে বলছেন?
ও প্রান্ত থেকে ভেসে এল একটি মেয়ের গলা, আমি ব্যাঙ্ক থেকে বলছি। এই নম্বরটি যার, তাঁর নামে পাঁচ লাখ টাকার লোন স্যাংশন হয়েছে। ওনার সঙ্গে কি একটু কথা বলা যাবে?
সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী বললেন, এই, নাও নাও, তোমার ফোন। কথা বলো।
স্বামী ফোনটি হাতে নিতেই মেয়েটি বলল, কী ব্যাপার? তুমি কি এখন তোমার ফোনটা বউয়ের কাছে রাখো নাকি?
লোকটা বলল, কেন? কী হয়েছে?
মেয়েটি বলল, তোমার মনে নেই, আজ আমার কাছে আসার কথা?
লোকটা বললেন, যেতে হবে?
ওই মহিলাটি বলল, তার মানে?
লোকটা তখন হাতের তালু দিয়ে ফোনের স্পিকারটি চেপে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, আমাকে যেতে বলছে…
স্ত্রী বললেন, যাও যাও, দেরি করো না। পাঁচ লাখ টাকার ব্যাপার!
স্বামী ফের স্পিকারের কাছে মুখ নিয়ে বললেন, ঠিক আছে আমি যাচ্ছি। শুনেই, ওই মহিলাটি বলল, আসার সময় পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে এসো তো… আমার দরকার আছে।
লোকটা বলল, পাঁচ হাজার টাকা! বলেই, আগের মতোই ফোনের স্পিকারটি হাতের তালু দিয়ে চেপে স্ত্রীকে বললেন, উনি বলছেন পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। না হলে নাকি লোনটা স্যাংশন হবে না…
স্ত্রী বললেল, দিয়ে দাও।
— আমার কাছে তো এখন টাকা নেই!
স্ত্রী বললেন, আমি দিচ্ছি। তুমি তাড়াতাড়ি যাও।
স্বামী ফোনটা ফের কানে নিয়ে বললেন, ঠিক আছে টাকাটা নিয়ে আমি আধ ঘণ্টার মধ্যে আসছি।
স্বামী যখন বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন, গেটের কাছে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে ওপরের দিকে তাকিয়ে স্ত্রী বললেন, দুগ্গা দুগ্গা…