শিশিরে সিক্ত পদ্ম যেমন বোহেমিয়ান
ইনহিবিশন খুলে রাখে একে একে নির্বিকার
শিউলি কখন ঝরে পড়ে উতল হাওয়ায়
রোমাঞ্চ লাগে সেই নদীটির সুমোহনায়
কাঁপতে কাঁপতে শীতের পরশ খুইয়ে দিয়ে
উষ্ণ রচনা লেখে ঠোঁটে ঠোঁটে আদর ওমে
ভাসতে ভাসতে বারদরিয়ায় সমর্পণে
সুখের মধ্যে সুখ ডুবে যায় যেমন করে
এই কুয়াশায় জীবন আভাস মৃত্যুহিম
সমূহ পেরিয়ে আগুনে সেঁকার পদ্ধতিতে
তুমিই শেখাও গাইতে অমল গানের সুর
ছায়ার মতন পিছু নিয়ে আলো জ্বালাও আলো
শরৎ কখন আসর জমায় সেই সুযোগে
অকাল বোধন তীরন্দাজের পদ্মচোখে
ফসল জোয়ার বইতে থাকার আকর্ষণে
শেষ শিখরের সমান্তরালে নামতে থাকে
এই তো আমার ভুবন, জীবন, এই বিদ্যা
শরৎ নামায় উঠোনে আমার চিরকালীন
পদ্মপাতায় জল সুস্থির জাদুর চোখে
শিউলি ঝরানো সেই সকালের দ্রাঘিমাংশে




