বিংশ শতাব্দীর জটিল ও দুর্বোধ্য কবি টি. এস. এলিয়ট

বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জটিল ও দুর্বোধ্য কবি হিসেবে খ্যাত টমাস স্টানস্ এলিয়ট। জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৮৮ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর আমেরিকার সেইন্ট লুইয়ে। খুব ছোটবেলা থেকেই এলিয়ট ল্যাটিন ও গ্রীকভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। তারপর ফরাসী ও জার্মান ভাষায়ও জ্ঞান লাভ করেন। সেক্সপীয়রের নাটক তাঁর বিশেষ ভালো না লাগলেও শেলী, কীটস, সুইনবার্ন প্রমুখ কবিদের রচনা পাঠে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। এঁদের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন কবিতা রচনার প্রেরণা। অন্যদিকে এলিয়টের মাও ছিলেন কবি। সুতরাং মায়ের কাছ থেকেও উৎসাহের অভাব ছিল না।

টি. এস. এলিয়ট ছিলেন রোমান্টিক বিরোধী কবি। তাঁর প্রথম জীবনে হার্ভার্ড অ্যাডভোকেট পত্রিকায় কয়েকটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। সেইসব কবিতায় ছিল লাফোর্গের প্রভাব। এই প্রভাব কাটিয়ে তিনি জন ডান, দান্তে, বদলেয়ারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হলেন। ১৯১০ সালে লিখনের প্রেলিউট্স, দি পোর্ট্রেইট অফ এ লেডি, এবং দি লাভ্ সং অফ জে, আলফ্রেড প্রুফক। এইসব কবিতাগুলি ছিল অনেক পরিণত এবং স্বাতন্ত্রের পরিচায়ক। ১৯১৭ সালে প্রুফক গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখনও এলিয়ট কবি হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। ১৯১৪ সালে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধের ক্ষয়-ক্ষতি হাহাকার এক নিরাশার অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয় পৃথিবীকে। কবির মনেও নিঃসঙ্গ দেখা দিয়েছে। জেগে উঠেছে ক্ষোভ, জ্বালা। ব্যক্তিগত জীবনেও সুখহীন দাম্পত্য। সেইসময় অর্থাৎ ১৯২০ সালে তিনি লিখলেন দি ওয়েস্ট ল্যান্ড। এই কাব্যটিই তাঁকে বিখ্যাত করে তুলল। পরে ইংল্যান্ডে কাব্যটি প্রকাশিত হল ১৯২৩ সালে। কিন্তু কবির ভাব-ভাষা সে যুগের পাঠকেরা বুঝতে পারেনি। কিছু পণ্ডিত তথা সমালোচক প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। এবং এঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আই. এ. রিচার্ডস এবং এফ. আর. লীভিস। পরবর্তী কাব্যটির নাম ছিল ‘দি হলোমেন’। এখানে জীবনের অনিঃশেষ অন্ধকারকেই দেখতে পেলেন। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে চারিদিকে ভয়ঙ্কর পরিবেশ সৃষ্টি হল। জীবনের অনিশ্চয়তা অনুভব করলেন। মৃত্যুর মিছিল দেখে রাতের ঘুম ছেড়ে গেল। এলিয়ট বললেন, ‘We can not afford to defer our constructive thinking to the conclusion of hostilities.’ এলিয়ট চুপ থাকতে পারলেন না। এই সময়েই লিখলেন ফোর কোয়ার্টেটস্। ১৯৫৭ সালে এলিয়টের বিখ্যাত প্রবন্ধ সংকলন On Poetry and Poets প্রকাশিত হয়। এটিতেই আছে The three voice of poetry, poetry and drama, music of poetry ইত্যাদি বিখ্যাত প্রবন্ধগুলি।

১৯৬৫ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ইংল্যান্ডে এলিয়ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ‘প্রুফকের প্রেম সংগীত’ এলিয়টের প্রথম দিকের রচনা। বাল্যে সেইন্ট লুই শহরে বসবাসের সময়ে এলিয়ট একজন ফার্ণিচার বিক্রেতাকে দেখে কবিতাটি লেখার অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এক প্রৌঢ় কুমার একজন বিধবা তরুণীর প্রণয়প্রার্থী কিন্তু সামাজিকভাবে কোনও দিনই তা স্বীকৃত হবে না। তাই ভীরু প্রুফক তার প্রেমের মুকুলকে ফোটাবার সাধনা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার গ্লানি বহন করেই সে নিজেকে বুঝিয়েছে, I am old.

আমরা জানি প্রুফক অপরাধী নয়, কিন্তু কোনও সৎকাজ ও করেনি। শুধু নিষ্ক্রিয় থেকেছে। ‘প্রেম সংগীত’ নামটিতে ব্যঙ্গের আভাস পাওয়া যায়। প্রেমিকের যে ব্যক্তিত্ব, যে দীপ্তি তা প্রুফকের নেই। প্রেমিকার কাছে পৌঁছনোর সাহসও তার হয়নি। প্রকৃতির সঙ্গে প্রুফকের মনের ও দারুণ মিল। সন্ধ্যার বিষণ্ণতা ঘেরা হলুদ কুয়াশা তার মনেরই তো অস্পষ্ট, জোশহীন অবস্থা। ক্ষত-বিক্ষত হতে হতে এক দার্শনিক ভাবনা তার মনে উদয় হয়েছে। আয়োজন বা চিন্তা বৃহৎ হলেও প্রাপ্তির ভাঁড়ার একেবারে শূন্য। এইটুকু বোঝানোর জন্য কবি লিখেছেন—I have measured out my life with coffee spoons, কফির চামচে জীবনকে মাপা এর বেশি কিছু নয়। একদিকে হারিয়ে যাওয়া যৌবনকে ফিরে পাওয়ার আকুলতা, অন্যদিকে নারীদের পোশাকের গন্ধের মাদকতা প্রুফককে বেদনাক্রান্ত করেছে। তবু তার ট্রাজেডি হ্যামলেটের মতো নয়। দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সে স্বীকার করেছে We have lingered.

কবিতাটি রোমান্টিক ভাবনাকে নস্যাৎ করে রূপক, ব্যঙ্গ, শ্লেষ এবং কথ্যভাষা ব্যবহারে এক নতুন পথের দিশারী। আত্মবিশ্লেষণ এবং আত্মসমালোচনার মধ্যে দিয়ে প্রুফক নামক চরিত্রের অন্তঃসারশূন্য ভড়ং পৌরষত্বের রূপটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির সুরম্য বর্ণনায় কবিতার গতানুগতিক পদ্ধতিটি এখানে মানা হয়নি। এলিয়ট বুঝিয়ে দিয়েছেন এযুগের সব মানুষই প্রুফক। কেউই ভালোবাসতে জানে না। মেটাফিজিক্যাল উপমায় কবিতাটি আগাগোড়া আমাদের অস্তিত্বসঞ্চারী Ironic-এর চাবুক হানে।
‘দি ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কাব্যটি সম্পর্কে কবি নিজেই বলেছেন, “I wrote the waste land the relieve my own feeling”. একথা সত্য হলেও অন্যান্য সমালোচকেরা এই কাব্যটিকে সেই যুগের নিখুঁত ছবি হিসেবে মনে করেন। এজরা পাউন্ড বলেছেন, “Eliot’s waste land is I think the justification of the movement, of our modern experiment, since 1900, It should be published this year.” সুতরাং নবকাব্য আন্দোলনের প্রতীক হিসেবেও একে দেখা হল। প্রাচীন থেকে আধুনিক সমস্ত সাহিত্য এবং উপনিষদ পর্যন্ত এই কাব্যটির উপর প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধোত্তর সময়ের মানুষের মনের অবস্থা, যৌনতত্ব, ফ্রায়েডীয় ভাবনা ইত্যাদি সব কিছুই কাব্যটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এলিয়টের নোটস্ থেকে পাওয়া যায় যৌন অক্ষমতা বর্তমান যুগের আধ্যাত্মিক অবক্ষয়ের প্রতীক। কুমারী ওয়েস্টন হোলি গ্রেইল-এর কাহিনি উল্লেখ করেছেন। সুমেরীয়-ব্যবিলনীয় কাহিনিতে থামুজ, অসিরিস, অ্যাডনিস এবং অ্যাটিস প্রমুখ দেবতাদের উল্লেখ দেখা যায়। তাঁরা সবাই মাটির ঊর্বরতার সঙ্গে যুক্ত। ফিসার কিং ইংল্যান্ডের রাজা। তিনি যৌবন শক্তিতে অক্ষম। তাই তাঁর রাজ্যে দুর্ভিক্ষ, অজন্ম, খরা, দারিদ্র্য। সেই রাজ্যের নামই ওয়েস্ট ল্যান্ড বা পোড়ামাটির দেশ। রাজা আশা করেন একদিন কোনও পবিত্র নাইট অর্থ্যাৎ স্যার পার্সিফাল যিশুর মৃত্যুর আগের রাতের পানপাত্র ফিরে পাবে। এই নাইটরা হল—ফিসার কিং, সিবিল, পার্সিফাল এবং একজন তরুণী। পানপাত্র ফিরে পেয়ে রাজার দেহ ধুয়ে দিলে আবার হারানো স্বাস্থ্য ফিরে পাবেন রাজা। অনুর্বর পৃথিবী ফসলে ভরে উঠবে। পবিত্র পাত্র এবং বর্শা (যার দ্বারা যিশুর হত্যা করা হয়) নারীর এবং পুরুষের যৌনাঙ্গের প্রতীক। এই দুটির মিলনেই সরস ও সুন্দর ধরণী ফিরে আসবে।

কিন্তু মানুষ তো যৌন বিকারের শিকার। তারা প্রেম জানে না। তাই তাদের ইন্দ্রিয় উপভোগের কদর্য বিলাস বড়ো বিভীষিকাময়। রাজার দেহ ক্ষত, ঘৃণ্য যা দ্বারা পূর্ণ, পবিত্র যিশুর রক্তে (বৃষ্টিতে) তা ধুয়ে দিতে হবে। এখানে এলিয়ট শুধু শিল্পী নন, তিনি ধর্ম সংস্কারের ভূমিকাও গ্রহণ করেছেন। রাজার রূপকে সমগ্র পৃথিবীর তথা ইউরোপের কথা বলতে চেয়েছেন। মানুষের মনে শুভ চিন্তার উদ্রেক করে আবার মনুষ্যত্বের মহিমা ফেরাতে চেয়েছেন। তাই উপনিষদের দত্ত,দয়ধ্বম, দাম্যত এই তিনটি বাণী উচ্চারণ করেছেন। কাব্যটি পাঠ করে পাঠকের স্বচ্ছন্দ বোধ হবে না। নানা মিথ ও রূপকের ব্যবহার কাব্যটিকে জটিল ও বহুমাত্রিক করে তোলে। আসলে Waste Land সর্বযুগে সর্বদেশেই আছে। কবি সেই চিরন্তনতার ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

মানুষের আধ্যাত্মিক পতন হলে কীভাবে ঈশ্বরের কোপ পড়ে এবং যুগ সমাজ অন্তঃসারশূন্যতায় পর্যবসিত হয় এবং তখন সভ্যতারও বিনাশ দেখা দেয়। দুটি পংক্তিতে সভ্যতার এই অভিশাপ কত মারাত্মক কবি তা তুলে ধরেছেন—
“I think we are in rat’s alley
Where the dead men lost their bones.”
অস্তিত্বহীন কদর্যতার স্রোতে মানুষ ভেসে চলেছে ধ্বংসমুখী প্রেত ছায়ার দিকে। কবির
বর্ণনায় শোচনীয় অবস্থাটি উঠে এসেছে এভাবে—
“Here is no water but only rock
Rock and no water and the sandy road.”
এই অবস্থায় মানুষের অনুশোচনা জেগে ওঠে। ঋকবেদের সন্ধ্যা বন্দনার মতো মনে আর্তি দেখা দেয়। জলের জন্য প্রার্থনা জানায়। পাপের শুষ্কতা রুক্ষতা মুছে গিয়ে বৃষ্টি এসে শান্ত ও সরস করুক প্রকৃতি। অবশেষে মেঘ ছেয়ে যায়। পাপের পৃথিবীতে বৃষ্টি নেমে আসে। এখানেই আশার বাণী শোনা গেছে। মেঘের কণ্ঠস্বর যেন ঈশ্বরেরই সাড়া দেওয়া। মানুষের প্রায়শ্চিত্ত করার ফল।
“Only a cock stood on the rooftree
Co co rico co rico
In a flash of lighting. Then a damp gust
Bringing rain.”
আশার বাণীতেই এবং ওঁ শান্তি উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে ‘পোড়ামাটি’ কাব্যটি শেষ হয়েছে।

এলিয়টের ‘হলোমেন’-এ পুরোপুরি নৈরাশ্যের সুর ধ্বনিত হয়েছে। কনরাডের উপন্যাস থেকে এর এপিগ্রাফ নেওয়া হয়েছে। হলোমেন-এর দল হল খড় দিয়ে জৈব মূর্তি। তাদের মস্তিষ্ক নেই। বোধ নেই। মাথাও খড়ের। মিহি সুরে তারা কথা বলে। তাদের আকৃতি নেই, বর্ণ নেই, ক্ষমতা নেই। কেবল গতি আছে। দৃষ্টি নেই। কাকাতুয়ার মতো দেখতে।
পোড়া জমি আগলায় এরা। সেখানে তো শস্য নেই। কাঁটা আর আগাছা। দেবতারা পাথর দিয়ে তৈরি। হলোমেন-দের মৃত্যু হলেও তাদের কোনও অভিযোগ নেই। শুধু সামান্য আর্তনাদ করে।
জীবনের বিরাট শূন্যতা, দান্তের Nothing men-এর মতো আজকের মানুষেরা হলোমেন এর অর্ন্তভুক্ত। কাকতাড়ুয়ার মতো তারা বেঁচে থাকে। অবশ্য মরা বাঁচার পার্থক্যও তারা বোঝে না। কবি মানুষের মানসিক মৃত্যুর প্রতিই ইংগিত করেছেন। এইসব মানুষদের রাজ্যও সে রকম—
“This is the dead land/This is the cactus land.”
এই ফাঁপা, ধর্মহীন, মর্মহীন মানুষে পৃথিবী ভরে যাবে। কালোছায়ার দেশে এরাই বাস করবে। বাস্তবতাহীন ছবির জীবের মতো কখনোই তাদের চৈতন্য হবে না—
“This is the way the world ends… Not with a bang but a whimper.”

এলিয়টের ‘দি ফোর কোয়ার্টেটস’ কাব্যটি কতকগুলি দার্শনিক চিন্তাপ্রসূত ফসল। এই কাব্যের চারটি স্থানের নাম হল— বার্নট্ নর্টন, ইস্ট কোকার, দি ড্রাই স্যাভেসেজ এবং লিটিল গিভিং। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে এই কাব্যটি তিনি রচনা করেছিলেন। ফোরকোয়ার্টের্টস, কাব্যে বহুরৈখিক ভাবনার সমাবেশ থাকলেও মূল বিষয় হল ‘কাল’। বার্ন নর্টন, অংশে এলিয়ট লিখেছেন—
“Time past and time future
What might have been and what has been
Point to one end, which is always present.”

এলিয়টের মতে প্রতিটি মুহূর্ত যেন আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত এবং তা বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই, “Words move, music moves/only in time; but that which is only living/can only die.” আর তারপরই আমরা সেই দার্শনিক প্রত্যয়টি অনুভব করি। মৃত্যুই শেষ কথা হতে পারে না। জীর্ণ বসন ত্যাগ করে নতুন বস্ত্র ধারণের মতো, “In my end is my beginning” সুতরাং শেষও শুরু হতে পারে। আমাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে হবে এই পৃথিবীতেই।
এখানেই তার ব্যবস্থা আছে, “The whole earth is our hospital”. The wounded surgeon or The dying nurse আমাদের চিকিৎসা করবে। দুটি অর্থে যিশু এবং চার্চকে কবি বুঝিয়েছেন।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কীভাবে লোভ ও হিংসার পরাক্রমে সভ্যতাকে মৃত্যুভূমিতে পরিণত করেছিল তারই রিরংসার ছায়া দেখে এলিয়ট আতঙ্কিত হয়েছিলেন। তাই করুণাময়ের কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে মুক্তির পথ খুঁজেছিলেন। তখনই আমাদের নবজন্ম সম্ভব, “We are bom with the dead.” জীবনের যেমন নবজন্ম হবে সীমিত কালেরও মুক্তি ঘটবে। কবি লিখেছেন—
“This is the use of memory:
For liberation–not less of love but expanding
Of love beyond desire, and so liberation
From the future as well as the past.

আমাদের ভালোবাসা অফুরন্ত, আমাদের জীবনও অফুরন্ত, আমাদের সময়ও অফুরন্ত। অতীত-ভবিষ্যৎ একই সূত্রে গাঁথা বর্তমানেরই রূপ। এলিয়ট বিস্ময়কর প্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলেন বলেই বিশ্বের সাহিত্যের নতুন মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। আজও তিনি সকলের কাছে নিত্য নতুন রূপে আবিষ্কৃত হন। তাঁর সমুদ্রতুল্য সৃষ্টি ভাবনার বিশ্লেষণ একটি মাত্র প্রবন্ধে কখনোই সম্ভব নয়।#

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!