বিধিসম্মত সতর্কীকরণ: ছোটরা পড়বেন না।
আরও একবার
মা এসে ঠাস ঠাস করে চড় মারল মেয়ের গালে। বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট? যে এই কাজ করছে এক্ষুনি তাকে ডাক।
মেয়ে ফোন করতেই লাফাতে লাফাতে চলে এল ছেলেটি। জিজ্ঞেস করল, আমাকে ডেকেছ কেন?
পর্দা সরিয়ে মেয়ের মা রণমূর্তি ধারণ করে বলল, ও নয়, আমি ডেকেছি। তুমি জানো যে ও প্রেগনেন্ট?
ছেলেটি বলল, জানি তো।
মা বলল, এখন তা হলে কী হবে?
ছেলেটি বলল, দেখুন আমি তো ওকে বিয়ে করতে পারব না। তবে হ্যাঁ, ওর যদি মেয়ে হয় তা হলে মেয়ের নামে পাঁচ কোটি টাকা আর দুটো ফ্যাক্টরি লিখে দেবো। আর যদি ছেলে হয়, তা হলে দু’কোটি টাকা আর পাঁচটা ফ্যাক্টরি লিখে দেবো। কিন্তু কিছুই যদি না হয় তখন কি হবে?
মেয়ের মা ছেলেটির সামনে গিয়ে গদগদ হয়ে বলল, চেষ্টা করলে কি না হয় বাবা? যদি কিছু না হয়, তুমি আর একবার চেষ্টা করে দেখো।
—তখনও যদি না হয়?
—তখন না হয় আরও একবার…
আমার বউ যেটা দেয়
প্রথম দিকে ছোঁক ছোঁক করলেও পাত্তা না পেয়ে অবশেষে শ্যামলীর সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিয়েছিল অনল।
হঠাৎ রাস্তায় দু’জনের দেখা হয়ে যেতেই অনল বলল, চল, চা খাবি চল।
চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে পাশাপাশি বসতেই অনলের ফোন বেজে উঠল। অনল বলল, হ্যাঁ বলো কী হয়েছে? হ্যাঁ হ্যাঁ, তোমার ফর্দ মিলিয়ে বাজার করে আমি রিকশাওয়ালাকে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। ইলেকট্রিক বিল তো? দিয়ে দিয়েছি। তোমার ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্টও হয়ে গেছে। বিকেলে নিয়ে যাব। তোমার পায়ে ব্যথা কমেছে? ভলিনি লাগিয়ে নিও কিন্তু। আর কিছু আনতে হবে? আচ্ছা, ঠিক আছে… বলেই, ফোনের লাইন কেটে দিল অনল।
অনল এতক্ষণ বউয়ের সঙ্গে কথা বলছিল বুঝতে পেরেই শ্যামলী বলল, তোমার বউ যা বলে তুমি সব কাজ করে দাও, না?
অনল বলল, হ্যাঁ।
—তা হলে মাঝেমধ্যে আমারও কিছু কিছু কাজ করে দিও না… কত টাকা নেবে বল?
অনল বলল, আমাকে টাকা দিতে হবে না। আমার বউ যেটা দেয়, তুই শুধু সেটাই দিস।