ইউনুস সাহেব, শুভেচ্ছা জানবেন। সাম্প্রতিক ঘটনাবহুল বাংলাদেশকে দেখে মনে হলো, একেবারে পাকিস্থানিদের মতো পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করলেন ! বাকরুদ্ধ হয়ে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পুড়লেন, ভাস্কর্য ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করলেন। সুফি-মরমি- আউলিয়াদের মাজার পুড়লেন, লাইব্রেরি ও মন্দির পুড়লেন। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নারী অপহরণ ও ধর্ষন করলেন।
শিল্প-কলকারখানা পুড়লেন। শ্রমিক মারলেন। আমরা অসহায়ভাবে দেখলাম, পবিত্র আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীরা মব জাস্টিসের বর্বর শিকার হলেন। হলি আর্টিজানসহ বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িতদের মুক্তি দিলেন। এরপর দেখতে পাচ্ছি, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীর সমাধিও দাউদাউ করে জ্বলছে! এসব পৈশাচিক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করা কি আপনার বৈধ ও নৈতিক অধিকার?
বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে খাক করে দিচ্ছেন! অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে দেখলাম, চোখের জল ফেলে দেখলাম এসব নির্মম নিষ্ঠুরতা- বুকের ক্ষতচিহ্নটা কতযুগ থাকবে কে জানে!
স্থির সংকল্পবদ্ধ হয়ে আসছেন বুঝি এসব করার জন্য? আপনার খায়েশ কল্পনাতীত! অং সান সুচির দিকে তাকান। সেদেশের সেনাবাহিনী বা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তাকে বেশীদিন কদর করেনি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আমেরিকা কারো বন্ধু হলে তার আর শত্রুর দরকার হয় না!
মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছ থেকে নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক ম্যান্ডেট নিয়ে নিয়েছেন আপনি। বাহ্! নতুন শাহেনশাহ বনে গেলেন আপনি! ধরাকে সরা জ্ঞান করতেই হয়তো বেশী ভালোবাসেন। আপনি একদমই মনে রাখছেন না, নিজে শান্তিতে নোবেলজয়ী একজন। অশান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছেন আজ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে। আপনার আসার পূর্বেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি আশংকা সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশ নৈরাজ্যের উন্মত্ততার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশে সংগঠিত সম্প্রতি সকল অনাচার তুলে ধরবো। এই নির্মম-নৃশংসতার বিষয়টি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিগোচর করবো। বাংলাদেশের আপামর জনতার কাছে এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সহ্যসীমার বাইরে চলে গিয়েছে…