মহীবুল আজিজ

কথাসাহিত্যিক মহীবুল আজিজ এর জন্ম: ১৯ এপ্রিল ১৯৬২ সালে। পড়াশোনা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশা: শিক্ষকতা উপন্যাস: বাড়ব, যোদ্ধাজোড়, গল্পগ্রন্থ: গ্রাম উন্নয়ন কমপ্লেক্স ও নবিতুনের ভাগ্যচাঁদ, মৎস্যপুরাণ, আয়নাপড়া, বুশম্যানের খোঁজে, নীলা মা হতে চেয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের গল্প। কাব্যগ্রন্থ : সান্তিয়াগো’র মাছ, রৌদ্রছায়ায় প্রবাস, হরপ্পার চাকা, পৃথিবীর সমস্ত সকাল, নিরানন্দপুর, বৈশ্য বিশ্বে এক শূদ্র, এই নাও দিলাম সনদ, আমার যেরকম প্রস্তুতি, আমরা যারা স্যানটরিয়মে, দৃশ্য ছেড়ে যাই, পালাবার কবিতা, ট্যারানটেলা, কাব্যসমগ্র, ওগো বরফের মেয়ে। প্রবন্ধগ্রন্থ: কথাসাহিত্য ও অন্যান্য, সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিত, সৃজনশীলতার সংকট ও অন্যান্য বিবেচনা, সাহিত্য ইলিয়াস ও অন্যান্য নক্ষত্র, অস্তিত্বের সমস্যা ও লেখালেখি, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ও অন্যান্য প্রবন্ধ, সার্ত্র সোলঝেনিৎসিন ও অন্যান্য। গবেষণাগ্রন্থ: হাসান আজিজুল হক: রাঢ়বঙ্গের উত্তরাধিকার, বাংলাদেশের উপন্যাসে গ্রামীণ নিম্নবর্গ, ঔপনিবেশিক যুগের শিক্ষা-সাহিত্য।  

ইতিহাসের বাস্তব এবং লেখকের বাস্তব: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ৩

।।তৃতীয় পর্ব।। ১৯৪৮-এর দ্বিবিধ সম্প্রসারণ ঘটে- বাস্তবে এবং ওয়ালীউল্লাহ্’র উপন্যাসে। ১৯৪৯-এ গঠিত হয় সরকারি ভাষা-সংস্কার কমিটি। এটির কাজ হয় বাংলা ভাষাকে যথাসম্ভব ইসলামি ভাবধারাপুষ্ট করে তোলা। পাকিস্তান সরকারের একটা বদ্ধমূল ধারণা ছিল, বাংলা ভাষা ‘হিন্দুয়ানি’ প্রভাবযুক্ত। কাজেই সেটি পাকিস্তানি তমদ্দুন-সংস্কৃতির পরিপন্থী। ফলে, নিত্যদিনের এবং নানা উদ্দেশ্যে বই-পুস্তক-পত্রপত্রিকায় ব্যবহৃত বাংলা ভাষাকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামানুসারী করে…

Read More

ইতিহাসের বাস্তব এবং লেখকের বাস্তব : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ২

।।দ্বিতীয় পর্ব।। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে যে-দেশ ভাগ হয়ে যায় সেই দেশের একটি নতুনাংশের নাগরিক ওয়ালীউল্লাহ্ এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর উপন্যাসের জনপদ মহব্বতনগরের জনগণকে ফেলে দেন একটা সংশয়গ্রস্ততা ও সংকটের মধ্যে। যদিও উপন্যাসের ভেতরকার সময় আনুমানিক ১৯০০ সাল কিন্তু ১৯৪৮ সালেও সেই সংকটের সুরাহা হয় না। কাজেই ১৯০০ এবং ১৯৪৮- পারস্পরিক পঞ্চাশ বছরের…

Read More

ইতিহাসের বাস্তব এবং লেখকের বাস্তব: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ১

।।এক।। ইংরেজি ভাষা-সাহিত্যে এম.এ. পিতার অর্থনীতিতে গ্র্যাজুয়েট পুত্রের জোড় সূরিত্ব ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে এশিয়া অস্ট্রেলিয়া হয়ে শেষে চূড়ান্ত পরিব্যাপ্তি নেয় ইউরোপে গিয়ে। ছিলেন সামাজিক ও পেশাগত অবস্থানের শীর্ষে- পিতা-পুত্র দু’জনেই। এরকম পরম্পরাগত উচ্চাবস্থানে আসীন থেকে লেখালেখির মতন মজদুরিকে বেছে নেওয়াটা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। তা-ও আবার, তাঁর সেই লেখালেখিতে তাঁরই সমাজের একেবারে নিম্নতল মানুষজনের প্রাধান্য। এমনকি, তিনি…

Read More

প্রথম ইঙ্গভারতীয় কবি কাশীপ্রসাদ ঘোষ

বর্তমানে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ইংরেজিতে সাহিত্যচর্চা তেমন কোনো ব্যতিক্রমী বিষয় নয়। বলা যায় বিশ্বসাহিত্যের অনিবার্য লেখকে পরিণত হয়ে তাঁরা ভারতীয় দিগন্তের বহুতর সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন। কিন্তু কোম্পানি আমলে কিংবা এমনকি ব্রিটিশ-শাসনকালে ভারতীয়দের ইংরেজিতে সাহিত্যচর্চা ছিল নানাবিধ আকর্ষণ ও কৌতূহলের বিষয়। ভারতীয়দের মধ্যে আবার যাঁরা ইংরেজিতে সাহিত্য রচনা করেন তাঁদের মধ্যে বাঙালি সাহিত্যিকদের অবস্থান যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!