চেতনা-মগ্ন কবি তৈমুর খান

যে হৃদাকাশে নবীন মেঘের আনাগোনা এত নক্ষত্রের জরি চুমকি সরল বিষুব আবার অনিবার্য উল্কার দাপট সে আকাশে কবিতার বসত অবসম্ভাবি । স্নিগ্ধ হাওয়ার সরল দিগন্ত ভেসে উঠল চেতনা-মগ্ন জলের ছায়ায়।পাহাড়ের ঝর্ণা কিংবা শিশিরের কয়েকটি দানা হয়ে অনায়াসে অন্তর-মর্মে শুনিয়ে যায় অমলভোরের ভৈরবী তান। নিজস্ব অতলের আশ্চর্য শৈল্পিক স্রোত সাড়া জাগায় পাঠক হৃদয়ে ! বিশিষ্ট কবি…

Read More

বাংলার জনজাতি আদিযুগের অন্যতম প্রধান জাতি

বিশ্বে বাংলা ভূখণ্ডের গঠন প্রায় দশ থেকে পঁচিশ লক্ষ বছর পূর্বে প্লাওসিন যুগে বলে গবেষকগণ মতামত দিয়েছেন। এই গঠন ভূতাত্ত্বিক। প্লাওসিন যুগের পরে প্লাইস্টোসিন যুগের উদ্ভব ঘটে। বিশ্বে প্লাওসিন যুগে জীবের বিবর্তনে নরাকারের বিবর্তন, যা প্লাইস্টোসিন যুগে মানুষের আর্বিভাব বলে মনে করা হয়। বাংলায় প্লাইস্টোসিন যুগের নিদর্শন বাঁকুড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়।…

Read More

বন্দিত বৈজ্ঞানিক

অতীতে ডঃ মেঘনাদ সাহা প্রসঙ্গে স্বয়ং আইনস্টাইনের মত বৈজ্ঞানিক বলেছিলেন— “Dr. M. N. Saha has won an honoured name in the whole scientific world.” কিন্তু তখন তাঁকে যাঁরাই দেখেছিলেন, তাঁদের তাঁকে সেই সহজ ও সাধারণ মানুষ বলে মনে হয়েছিল যিনি নিজের জ্ঞান ও গরিমা সম্পর্কে পরম উদাসীন ছিলেন। ডঃ মেঘনাদ সাহা পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়ার জন্য…

Read More

টেলিপ্যাথি

তোমাকে বলেছি তো ভালোবাসতে হলে কাছে আসা কিংবা দূরে যাওয়াটা জরুরি নয়,  ভালোবাসা আসলে টেলিপ্যাথি। মনে মনে হেঁটে গেলে ঠিক গন্তব্যে যাওয়া যায়। তোমাকে বলেছি না ভালোবাসতে হলে চাঁদ দেখতে হবে তেমনটাও নয়,  অন্ধকারে ডুব দিয়েও আকাশ পাবে, পাবে এক ঝাঁক প্রেমিক প্রেমিকা নক্ষত্র, অজান্তা গুহাঘর। তোমাকে বলেছি তো অনুভূতি একটা নির্জন বৃষ্টির নাম তোমার…

Read More

বিবর্তনের পথে ভাষা

ভাষা হল সংকেতময় চিহ্ন৷ আর তার সঙ্গে গণিতের নিবিড় সম্পর্ক৷ বাংলাভাষার উৎসের কাল থেকেই গণিতের সম্পর্ক বিরাজমান৷ এবং বাংলাভাষার সঙ্গে লোকগণিতেরও অতি নিকট সম্পর্ক৷ এ বিষয়ে দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের ঐক্যমত লক্ষ করা যায়৷ লোকগণিতের আলোচনা প্রসঙ্গে প্লেটোর বিশেষ মনোভাবের কথা স্মরণে রাখতে হয় প্লেটো গাণিতিক নিয়ম ও জ্যামিতির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতেন৷ তিনি আরো…

Read More

আমাকে যেতে হবে

চোখে শুকনো অশ্রু নিয়ে এসেছি কলামন্দিরের পাশে তুমি দাঁড়িয়ে আছ তোমার মাথায় নেমেছে বিকেল এখনও আমি বৈরাগ্যকে খুঁজছি কেউ চিৎকার করে ডাকেনি আমাকে অপেক্ষার দিনরাত পার হয়ে একটি নিজস্ব আয়নায় এসে দাঁড়িয়েছি তুমি কলামন্দিরের পাশেই রূপক ডানে বামে ঘাড় ঘোরাচ্ছ অতীত ও ভবিষ্যৎ মাঝখানে স্বর্ণময়ী রোদ তোমার মুখের আলো তীব্র নিয়ন্ত্রণের ভেতর ছুটে যাচ্ছে ট্রেন…

Read More

বৃটিশ অনুগ্রাহী মির্জা গালিব

‘‘মন্ত্রীর জন্য স্তুতিকাব্য লেখা আমার কাজ নয়। বরং তোমাদের মন্ত্রীকে বোলো, তিনি যেন আমাকে দেখলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। তবেই তাঁর দরবারে যাব আমি।’’ – একদা এই কথাগুলো যিনি বলেছিলেন, তাঁর বয়স তখন মাঝদুপুর পার করেছিল, তাঁর দাড়িতে অল্প পাক ধরেছিল, আর তাঁর শরীরটাও তখন ভেঙে যাচ্ছিল নানা কারণে। তিনি ‘অসদউল্লা খান বেগ’ ওরফে ‘মির্জা…

Read More

ছায়া কাহিনী

চোখ মেললেই দেখি ভাসছে পতন কান পাতলেই শুনি তার আস্ফালন বাতাসে ভাসছে বিনাশ কালের গান বেলা শেষে বন্দী হয়েছে প্রলম্বিত ছায়া মনের সঙ্গে চলে মনামনী বিশ্লেষণের নিবেদনে খুঁজি অপছন্দের অনুভব বিমূঢ ছায়ায় নি.শব্দ রোদ্দুরের চলে রৌদ্র স্নান মুহূর্তে মিলিয়ে যায় নিরুদ্দেশের সংলাপ

Read More

নব্বই দশকের ব্রহ্মশিশিরে স্নান করা কবি তৈমুর খান

নব্বই দশকের বাংলা কবিতাকে তৈমুর খান ভরিয়ে দিয়েছেন প্রাচুর্যে ও সম্পন্নতায়। তাঁকে নিয়ে দু একটি কথা যা বলা অত্যন্ত জরুরি। একান্ত নিজস্ব অন্ধকারে যখন “সব মানুষগুলি গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে” সব মুখগুলি লুকিয়ে পড়েছে মানুষের মুখে সেই সময়েই “কোথায় পা রাখি” এই জিজ্ঞাসার আচ্ছন্নতা থেকে কবি তৈমুর খানের কবিতার যাত্রাপথ শুরু। তারও আগে রয়ে গেছে…

Read More

গল্প: হাত

“উস আওরাত কো পেহেলে ইধার লেকে আও!” মেজর ইয়াকুব খোশ মেজাজে তার দরাজ গলায় হাঁক ছাড়লেন। আজকে গ্রামে গিয়ে দারুণ সুন্দরী এক বাঙালি মেয়েকে ধরে এনেছে মিলিটারি বাহিনী,তাকে নিয়ে কে আগে ফুর্তি করবে সেটার হিসাব চলছে। মেজর ইয়াকুব কথা বলার পরে আর কথা বলা চলে না,মেয়েটাকে আগে সেই খাবে! অগত্যা গজরাতে গজরাতে সুন্দরীকে ইয়াকুবের হাতে…

Read More

বাংলা সাহিত্যের মুক্তিদাতা মধুসূদন

মধুসূদন দত্তের কাছ থেকে ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্য উপহার পাওয়ার পরে তাঁর বাল্যবন্ধু রাজনারায়ণ বসু তাঁকে ১৮৬০ সালের ২৯শে জুন তারিখের একটি পত্রে লিখেছিলেন— “Your reward is very great indeed, immortality.” শুধু রাজনারায়ণ বসুই নন, সমকালের ও পরবর্তীকালের সব সাহিত্য সমালোচকই এককথায় স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মাইকেল মধুসূদন দত্তই আধুনিক বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণযুগের ভাবরাজ্যে বিপ্লবের প্রথম…

Read More

গল্প: জল সইতে

থালা ভরে ফুলফল সাজিয়ে দক্ষিণেশ্বর থেকে নদীপথে বেলুড় মঠ যেতেন আমার ঠাকুরদা অশোক মিত্র৷ ঈশ্বর সম্বন্ধে যদিও আমার নাক কোঁচকানি সেই ছেলেবেলা থেকেই, তবুও কেন যেন ঈশ্বরপ্রাপ্তির পথে আমাকেই বারবার সাথে নিতে চাইতেন ঠাকুরদা অশোক৷ আমিও অবলীলায় বইতাম পুজোর উপকরণ৷ বইতাম আমার অশোকের জন্য৷ ভালোবাসার মানুষটির ভারটুকু বয়ে দিতাম৷ জল কেটে নৌকো এগোত৷ অশোক দেখতেন…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!