কবি ও সম্পাদকের একটি সাক্ষাৎকার

সেদিন এক সম্পাদকের সঙ্গে সাম্প্রতিকের কবিতা বিষয়ক যে কথাবার্তা হয়েছিল, তা হুবহু এখানে তুলে ধরা হলো। কবিতা লিখতে আসা বহু তরুণ প্রজন্মের কবির ও পাঠকের কাছে তা অত্যন্ত জরুরি বিষয় বলেই মনে করি। এখানে সম্পাদকের নাম উহ্য রাখা হলো। কবি: যে কোনও বিষয় উল্লেখ করে দিলে কি তা নিয়ে কবিতা লেখা যায়? সম্পাদক: যায় তো!…

Read More

গীতিকাব্য: নোনা মাটির নোলক (পর্ব- ২)

মাটির গান গাইতে গাইতে নোনাজলে ভেসে বেড়ায় মদন, ছমির মিঞারা। প্রকৃতি কাড়ে তাদের সুখ- স্বপ্ন- আশা- ভরসা। নোনাস্রোতে ভাঙনের সাক্ষী হয় রোজ রোজ। রাত নামলে ছমিরের চোখে ভাসে মেয়ে গোলাপির মুখ। শোনে বিবির অসহায় কান্না।কালক্রমে বাঁজা হারামনি শোনে নারী জীবনের কাঙ্খিত মা ডাক। নোনা জল শোনায় নিখোঁজ হওয়া মানুষের গল্প। আখ্যান জড়িয়ে বাঁচে বিপন্ন লোকসংস্কৃতি,…

Read More

ডাকটিকিটে জীবনানন্দ দাশ

মাটি ও মানুষের কবি জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) যে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন হয়তো বা শালিক শঙ্খচিলের বেশে সে বাংলা, বাংলাদেশ তাকে নিয়ে প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশ করে ২০০০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। ঠিক তার শততম জন্মবার্ষিকীর এক বছর পর প্রকাশিত চার টাকা মূল্যমানের এ ডাকটিকিটের ডিজাইনার ছিলেন আনোয়ার হোসেন, তার আঁকা জীবনানন্দের এ প্রতিকৃতিটি বেশ জীবন্ত। গাজীপুরে…

Read More

বাংলার সন্দেশ ছাঁচ: বন্দেমাতরম থেকে জয়বাংলা

মৃৎশিল্প মানবসভ্যতার অন্যতম প্রাচীন একটি শিল্পকলা। মৃৎপাত্র নির্মাণ থেকেই আদিম মানুষের শৈল্পিক চিন্তাভাবনার প্রকাশ ঘটে। বলা যায়, প্রয়োজনের তাগিদে মাটির দ্বারা মৃৎপাত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে মৃৎশিল্পীরা সূচনা করেন এক সভ্য যুগের। মৃৎপাত্র সৃষ্টির সময়কাল জানা না গেলেও ধারণা করা হয় নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ মৃৎপাত্র নির্মাণ করে। বিশ্বব্যাপী প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের ফলে প্রাপ্ত নিদর্শন মৃৎশিল্পের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ…

Read More

ধারাবাহিক: এ এক অন্য আঁধার (পর্ব- ১১)

শুধু অনুরাগে মন দোলে না, কখনো কখনো অনিশ্চয়তার কারণে তার চেয়ে অনেক বেশি দোলে। মতি চলে গেলেও বিভাস সামন্তের রাগ এতটুকু কমল না। মনের আকাশে কেমন যেন ছন্নছাড়া মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রতি ইঞ্চিতে চরম বিরক্তির প্রকাশ ঘটছে। একজন সামান্য ক্লাব সেক্রেটারি, অন্যায় স্পর্ধা দেখানোর ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে আকাশে উঠে গেছে। রাজনীতির গুরুত্বকেও অস্বীকার করতে…

Read More

অবনত দিন

আপন সুখে তুমি চলে গেছ পূর্ণিমার দিকে আমার অন্ধকারে নিঃশীল বসে থাকা অলস মনোহর জল আমার চোখের জলের কাছে ফিকে আমি জানি এ পৃথিবী শূণ্যের বিরোধী তবু কেন যেন ছুঁড়ে দেয় মধ্যরাত ঢেউয়ের ছলনাও প্রস্তুত দিগন্ত অবধি কাদের যেন হাতে গড়া ছিল একাল ওকাল জোড়া ব্রীজ খোলাস্রোতে আজ তারা মিলিয়ে যায় পরিহাসময় সকাল আসে, নিঃস্ব…

Read More

কবিতার সঙ্গে কবি

একথা আমরা জানি যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যের সমস্ত শাখায় বিচরণ করেছেন। জীবনকে তিনি সঁপে দিয়েছেন সাহিত্যের সেবায়। এছাড়া তিনি সংগীত ও চিত্রকলার জগতেও সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। বাঙালি হিসাবে গর্ববোধ করি এই বাংলার বুকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তিনি বাংলা ভাষাতেই সাহিত্য রচনা করেছেন। এবং তারজন্য তিনি নোবেল প্রাইজও পেয়েছেন। হৃদয়ের ভাব উদ্রেক করা…

Read More

কিছু তেতো সত্য

মাত্র ১০০০০ বছর আগে কোনো ধর্মই ছিল না, ছিল না কোন ধর্মীয় শাস্ত্র। ধর্ম-ধর্ম করে মানুষের সাথে মানুষের বিভেদ ছিল না। ধর্ম কোনো কাজেই আসে না, শুধু যুদ্ধ বাধায়, রক্ত ঝরায়,মানুষকে মানুষের থেকে আলাদা করে দেয়। প্রতিটি ধর্মই সমান খারাপ। মানুষের সর্বনাশ করেছে, করছে এবং করবে এই ধর্ম। আজ এই করোনা সঙ্কটে কোন ধর্ম কোন…

Read More

লেখকের মৃত্যু

শহীদ গিন্নীর সর্বদা অভিযোগ, “কি ছাই-পাশ লেখো, ”এই লেখালেখি করে এক পয়সা কামাই করতে পারছোনা, শুধু শুধু সময়ের অপচয় করছো। তার চেয়ে বরং কোথাও কোনো পার্ট-টাইম কাজ করো, অতিরিক্ত সংসার খরচের একটা বিহিত হবে। আমাকে তোমার এই কেরানীগিরির বেতনে সংসার চালাতে গিয়ে কি যে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তা একমাত্র আমিই জানি। এই সমস্ত আজগুবি শখ…

Read More

গীতিকাব্য: নোনা মাটির নোলক (পর্ব- ১)

মাটির গান গাইতে গাইতে নোনাজলে ভেসে বেড়ায় মদন, ছমির মিঞারা। প্রকৃতি কাড়ে তাদের সুখ-স্বপ্ন-আশা-ভরসা। নোনাস্রোতে ভাঙনের সাক্ষী হয় রোজ রোজ। রাত নামলে ছমিরের চোখে ভাসে মেয়ে গোলাপির মুখ। শোনে বিবির অসহায় কান্না।কালক্রমে বাঁজা হারামনি শোনে নারী জীবনের কাঙ্খিত মা ডাক। নোনা জল শোনায় নিখোঁজ হওয়া মানুষের গল্প। আখ্যান জড়িয়ে বাঁচে বিপন্ন লোকসংস্কৃতি, অলৌকিক বিশ্বাস, গ্রাম্য…

Read More

রক্তকুসুম

আগে এতবার এখানে এলেও এদিকটায় কখনও আসা হয়নি সমুদ্রকে পাশে রেখে একটু এগোলেই সামনে এক বিশাল চর চরের বুকে রূপোলি পাতের মতন শুয়ে আছে বুড়িবালাম সাগর পাড় থেকে ছুটে আসা হু হু বাতাস ঝাউবনে আছড়ে টলমল করছে লাখ লাখ লাল কাঁকড়া যেন ফুল হয়ে ফুটে ওঠে বালির বুকে পায়ে পায়ে এগোলেই বালিতে মিলিয়ে যায় আবার…

Read More

কবিতার প্রেমিক, সময় ও ব্যক্তিজীবনের স্বরলিপি

কোনো কবিই সময়কে অস্বীকার করেন না, সময়ের ভেতর দিয়েই তিনি মহাসময়ে পৌঁছান। ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহল ভরে’ একথা যিনি বলেছিলেন তিনি জানতেন একশো বছর পরও তাঁর কবিতাখানি পড়া হবে। আসলে সময় ও সৃষ্টি— সন্তান ও মাতৃত্বের সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকে। কোনো সন্তানের আয়ু ক্ষীণ, কোনো সন্তানের আয়ু দীর্ঘ…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!