বিবর্ণ অভিযোজন: পর্ব ২

উপন্যাসিক মুসা আলি’র ‘বিবর্ণ অভিযোজন’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এই উপন্যাসে শিক্ষকের পিতৃত্ব একজন ছাত্রের জীবনকে কত বেশি উদ্বেলিত করে তুলতে পারে, সেই অনুভূতির বিস্তার ঘটেছে এ উপন্যাসের পাতায় পাতায়, পরতে পরতে। পড়তে পড়তে আপনি আপনার প্রিয় শিক্ষককে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন। ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। মাত্র একটা সপ্তাহ দিন ঘন্টা মিনিটে ফিনিস হয়ে গেল।…

Read More

লোকগণিত পরিচয়: চতুর্থ পর্ব

দেশজ গণিত (Indigenous Mathematics): গ্রামীণ মানুষজনের মধ্যে প্রচলিত যে গাণিতিক জ্ঞান বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে আসছে, তা কোনো বিদ্যালয় বা কলেজ থেকে প্রাপ্ত নয়, তাদের নিজস্ব পারিবারিক, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় এবং তা তাদের জীবনের প্রয়োজনও মেটায়; তাই-ই দেশজ গণিত। অধ্যাপক J. Gay এবং M. Cole গণিতশিক্ষা ও গাণিতিক প্রজ্ঞার উপর অসাধারণ কাজ করেছেন। তারা এই…

Read More

ইচ্ছাপ্রবণ

গভীর আঘাত সয়ে উঠে দাঁড়ালো যে মানুষ মর্মমূল থেকে দুঃখ আছড়ে পড়ছে তার শরীরে হাত, পা কাঁপছে কালো ছায়ার মতন নুয়ে পড়ছে শরীর মোমের মূর্তি ভেঙে পড়ছে শরীরে হলুদ হাওয়ায় ভিজে যাচ্ছে সব আরও কিছুটা অবকাশ দরকার পথ্য, একমুঠো ভাত সব অচল হাত কাঁপছে, পা কাঁপছে দুঃখের যন্ত্রনায় কে যেন অবিরল বলে যাচ্ছে সেরে উঠুক,…

Read More

অণুগল্প: শ্মশানে অমাবস্যার রাতে

কথা হচ্ছিল ভূতের ভয় নিয়ে ঠাকুরবাখুলের দাবায়। বঙ্কিম জেঠুই পাড়ল কথাটা, “কেউ যদি অমাবস্যার রাতে শ্মশানের নিমগাছে পেরেক পুঁতে দিয়ে আসতে পারে তবেই বুঝতে পারা যাবে সে সত্যিকারের বাপের ব্যাটা! ভূতের ভয় তার নেই।” এমন কথায় সকলের মুখই শুকনো হয়ে গেল। এমনিতে গ্রামাঞ্চলে ভূতে বিশ্বাস আর ভূতের ভয় অনেকটাই বেশি। তার উপর অমাবস্যার রাত, শ্মশান,…

Read More

মেঘনাদবধ কাব্যের গৌরব

‘আমার জন্মের দ্বি-শতবর্ষ পরে/কে তুমি পড়িছ বসি আমার কাব্যখানি কৌতূহল ভরে’ এমন কথা মাইকেল মধুসূদন দত্ত কখনো লিখে যাননি। শুধু লিখেছিলেন: ‘রেখো, মা, দাসেরে মনে এমিনতি করি পদে/ পুরাতে মনের সাধ/ ঘটে যদি পরমাদ/ মধুহীন করো না গো তব মনঃকোকনদে।’ অর্থাৎ অমরত্বের ইচ্ছা তাঁর মনেও উত্থিত হয়েছিল বলেই মধুহীন না করার আবেদন জানিয়েছিলেন তব মনঃকোকনদে।যে…

Read More

মাইকেল মধুসূদন দত্ত আজও কেন প্রাসঙ্গিক?

১৮৬০ সালে কোচবিহার রাজ্যের ম্যাজিস্ট্রেট পদে চাকরির প্রার্থী হয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোচবিহারের মহারাজার কাছে যে দরখাস্তটি পাঠিয়েছিলেন, সেই দরখাস্তের একপাশে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্বহস্তে মহারাজার উদ্দেশ্যে লিখে দিয়েছিলেন – “একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ পাঠাইলাম, দেখিও যেন ইহা বাতাসে উড়িয়া না যায়।” মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তখনো পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। সমকালীন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বলে যিনি তখন স্বীকৃত…

Read More

বিবর্ণ অভিযোজন: পর্ব-১

  উপন্যাসিক মুসা আলি’র ‘বিবর্ণ অভিযোজন’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এই উপন্যাসে শিক্ষকের পিতৃত্ব একজন ছাত্রের জীবনকে কত বেশি উদ্বেলিত করে তুলতে পারে, সেই অনুভূতির বিস্তার ঘটেছে এ উপন্যাসের পাতায় পাতায়, পরতে পরতে। পড়তে পড়তে আপনি আপনার প্রিয় শিক্ষককে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন। ।। প্রথম পর্ব ।। দেরিতে বাড়িতে ফিরে লিজার কাছে একমাত্র ছেলের খারাপ…

Read More

গারো পাহাড়ের চিঠি: সনাতন বিশ্বাস ও উৎসব

সনাতন পরিবারের ইচ্ছা আকাঙ্খা বা নানা বিভাবের কল্পগুলো নির্মিত হয় নানা গল্পে নানা আখ্যানে নানা রূপকে নানা প্রতীকে– বিমূর্ত থেকে মূর্তে; নিরাকার থেকে সাকারে। জীবনের সাধর্মই এমন যে সেই কল্পগুলোই চর্চিত হয় নানা রিচুয়ালে নানা ভাবে লোকাচারে কিংবা দেশাচারে। কোথাও একই ফর্মায় তৈরি একরূপে নাই। স্থানে স্থানে নানা লৌকিকতার মোড়কে চির্চত এই গল্প। একেক পরিবারে…

Read More

গীতিকাব্য: নোনা মাটির নোলক (পর্ব- ১১)

মাটির গান গাইতে গাইতে নোনাজলে ভেসে বেড়ায় মদন, ছমির মিঞারা। প্রকৃতি কাড়ে তাদের সুখ- স্বপ্ন- আশা- ভরসা। নোনাস্রোতে ভাঙনের সাক্ষী হয় রোজ রোজ। রাত নামলে ছমিরের চোখে ভাসে মেয়ে গোলাপির মুখ। শোনে বিবির অসহায় কান্না।কালক্রমে বাঁজা হারামনি শোনে নারী জীবনের কাঙ্খিত মা ডাক। নোনা জল শোনায় নিখোঁজ হওয়া মানুষের গল্প। আখ্যান জড়িয়ে বাঁচে বিপন্ন লোকসংস্কৃতি,…

Read More

মহাকালের রথে

সাদা বেনারসির জোড় কপালে চন্দন রেখা পাট করা চাদর গোড়ের মালা. শুভ্র বেশ শুভ্র কেশ মানিয়েছে বেশ ঘুমিয়ে রয়েছেন চিরচঞ্চল আশির তরুণ অক্লান্ত বাউল। ‘দরজা খুলুন খুলে দিন দরজা আমরা দেখতে চাই’ উন্মাদ উদ্রাব পরুষ কন্ঠে জনগর্জনে ডুবে যায় মন্দ্র পবিত্র যন্ত্রণা কপিল গুহার অন্ধকারে হারিয়ে যায় নান্দনিক মনন আমাদের ক্ষীয়মাণ মানসে সুন্দরের গান বিকৃত…

Read More

মধ্যযুগের কবি বৈজয়ন্তী দেবী

মধ্যযুগে সাহিত্যের পথ চলার গতি অনেকটাই মন্থর হয়ে যায়। অর্থের মাপকাঠিতে মানুষের মর্যাদা নিয়ন্ত্রিত হতো। সেসময়কার সাহিত্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যৌন ব্যাভিচার, উৎকোচ গ্রহণ এসবের প্রাধান্যই লক্ষিত হয়। কৌলিন্য প্রথা, বাল্যবিবাহ, সতীদাহ, সতীন নিয়ে ঘর, অকাল বৈধব্য তৎকালীন নারী সমাজকে জর্জরিত করে তুলেছিল। মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনে নিষেধের বেড়াজাল প্রাচীর গড়ে তুলেছিল। যখন নগর পোরে…

Read More

অম্বুবাচী, ইতু, নবান্ন ও পৌষ-পার্বণ: ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা

ঐতিহাসিকদের মতে শিরোনামের চারটি পার্বণই সংশয়বিবহিতভাবে শস্য উৎসব-ভিত্তিক ধর্মধারার সঙ্গে সম্পর্কিত। উর্বরতা-কেন্দ্রিক ধর্মধারার ক্ষেত্রে নারী ও ধরিত্রী সমার্থবোধক বলে গণ্য হওয়ার ফলে, সুদূর অতীতে যেসব সংস্কার সৃষ্টি হয়েছিল, অম্বুবাচী সেগুলির মধ্যে সবিশেষ উল্লেখনীয়। নতুন বর্ষার মুখপাতে পৃথিবী যখন প্রথম সিক্ত হয়ে ওঠে, তখন পৃথিবীকে প্রথম ঋতুমতী নারীরূপে গণ্য করবার আদিম সংস্কারই অম্বুবাচী পার্বণের উৎস। ঋতুর…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!