সমাজ তখন ব্যাভিচার, কুঃসংস্কারে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পরেছে ৷ সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ, কৌলিন্য প্রথার মতন কুঃসংস্কার সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে ৷ অষ্টাদশ এবং উনিশ শতকের মধ্যভাগে ব্যাভিচার সমাজকে এমনভাবে গ্রাস করলো যে সে সময়ের নারী সমাজও এর থেকে রেহাই পেলো না৷ বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রেও আট নয় বছরের মেয়েরা বৃদ্ধ স্বামীর ঘর করতো৷ যখন সেসব মেয়েরা যুবতী…
কাল মনসা ভাসান। শ্রাবণ সংক্রান্তি তিথীতে পুজো। কোথাও একট্টা সমরূপে নেই। গল্পের কাঠামো স্থানের রঙে রঙিন। নানা রূপে পুজিতা। কোথাও ঘট কোথাও পট আবার কোথাও কাঠের কাঠামোতে মনসা মূর্তিমতী—মেলানো সহস্র সাপের ফনার আকার। আবার কোথায় মাটির সরায় তুলির আঁচড়ে শিব পার্বতী ও নালসহ গোলাপী পদ্মের ছড়া।গত শতকের আটের দশকে আমি যখন খালভাঙা গ্রামে যেতাম ভোগাই…
সাম্প্রতিককালে পত্রপত্রিকায় অধিকাংশ কবিরাই যেসব কবিতা লিখছেন, তাতে বহুমুখী কাব্যধারার পরিচয় ফুটে উঠছে। হাংরি বা শ্রুতি আন্দোলন বাংলা কাব্য সাহিত্যের ইতিহাসে অনেকখানি জায়গা দখল করে আছে। কিন্তু তারপরেও বাংলা সাহিত্য থেমে থাকেনি। বাংলা কবিতাকে আমরা অনেকেই বিদেশি সাহিত্যের বা শিল্পের প্রভাবান্বিত বলে থাকি। একথা অস্বীকার করা যায় না। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বীরাঙ্গনা, ব্রজাঙ্গনা, মেঘনাদ বধ…
বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অন্যতম সুহৃদ অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ একবার তাঁর একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন – “আচার্য বসুর বৈজ্ঞানিক দিকটা যদিও বা বাইরে থেকে কিছুটা বোঝা যায়, কিন্তু মানুষ সত্যেন্দ্রনাথকে বোঝা খুব সোজা নয়।” আর তাঁর ছাত্র রবীন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন – “সত্যেন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য আমরা পেয়েছি অনেক পরে – তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে…
১. আমার জন্ম আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের বরিশাল শহরে। তখন আমাদের পরিবার হাটখোলা রোডে ভাড়া বাসায় থাকতো। সে রাস্তায় সপ্তাহে দুবার বসতো হাট। সে হাটের নামানুসারে এলাকাটির নাম হাটখোলা রোড। সেখান থেকে কিছুটা পথ হেঁটে গেলে প্রবাহিত কীর্তনখোলা নদী। আমার যতো প্রথমা বিস্ময় যতো নতুন আবিষ্কার সব ছিলো ঐ হাটকে ঘিরে। আমাদের সময়ে তখনকার…
মাটির গান গাইতে গাইতে নোনাজলে ভেসে বেড়ায় মদন, ছমির মিঞারা। প্রকৃতি কাড়ে তাদের সুখ- স্বপ্ন- আশা- ভরসা। নোনাস্রোতে ভাঙনের সাক্ষী হয় রোজ রোজ। রাত নামলে ছমিরের চোখে ভাসে মেয়ে গোলাপির মুখ। শোনে বিবির অসহায় কান্না।কালক্রমে বাঁজা হারামনি শোনে নারী জীবনের কাঙ্খিত মা ডাক। নোনা জল শোনায় নিখোঁজ হওয়া মানুষের গল্প। আখ্যান জড়িয়ে বাঁচে বিপন্ন লোকসংস্কৃতি,…
এত গান লিখেও সংসার চলছে না! একসময় আক্ষেপ করেছিলেন বীরভূমের লোকশিল্পী রতন কাহার। এবার সেই প্রকৃতযশা লোকসঙ্গীত শিল্পী রতন কাহার পেলেন ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কার। “বড়লোকের বিটি লো” গানের স্রষ্টার এই সম্মানে খুব স্বাভাবিকভাবে খুশি রবি ঠাকুরের লালমাটির জেলার বীরভূমবাসি। ভাদু গান গেয়ে যৌবনকালে গায়কজীবন শুরু করেছিলেন রাজ্যের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে…
