আজকের বাংলায় লেখকদের পরিস্থিতি

লন্ডন থেকে প্রকাশিত হতো কবিতা ও সমালোচনার লিটলম্যাগ ‘নাইন’ (‘Nine’) । এ পত্রিকার সম্পাদকরা ছিলেন পিটার রাসেল, জি.এস. ফ্রাসার, ইয়ান ফ্লেচার প্রমুখ। মে ১৯৫০ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যায় ৯৬-১০০ পৃষ্ঠায় কবি বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘দ্য সিচুয়েশন অফ দ্য রাইটার ইন বেঙ্গল টু-ডে’ শিরোনামে এ প্রবন্ধটি ইংরেজিতে ছাপা হয়। পত্রিকাটি আমি সংগ্রহ করে বাংলা…

Read More

এই উত্তরদেশ, এই জোড়া মহিষের দেশ (সপ্তম পর্ব)

১৯. ‘ধওলি রে মোর মাই সুন্দরী মোর মাই দোনো জনে যুক্তি করি চল পলেয়া যাই’ গঙ্গাধরের পাড়ে পাড়ে চরে চরে সেই কত কত যুগ ধরে গোয়ালপাড়ার মেয়েরা এই গান তাদের কণ্ঠে তুলে নিয়ে কি এক হাহাকারের সুরে সুরে তাদের শরীরে নাচ জাগাতে জাগাতে জীবনের আবহমান এক আর্তি ছড়িয়ে দেয়। দূরের মাঠপ্রান্তরে তখন বিকেলশেষের মায়া। মায়ায়…

Read More

ধারাবাহিক উপন্যাস ‘উত্তাল’ ২০

।। পর্ব – কুড়ি ।। কৌশিক সেন, জয়া মিত্র, ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ, সমীর আইচ, জয় গোস্বামী, দোলা সেনদের ধুধু মাঠের ভিতর দিয়ে দোবাঁদি গ্রামে নিয়ে এলেন রাজকুমার ভুল। ও গোপালনগরে থাকলেও ওকে এখানকার সবাই চেনেন। এই গ্রামে এক ঘর বাগদি ছাড়া সবাই বাউরি সম্প্রদায়ের। কারও পদবি পাত্র, মৈত্রী, দাস খামারু, হারারি। কারও কোটাল, বাগাল,…

Read More

পরব ভাঙা হাটের হাটুরে ১

।। পর্ব – এক ।। মঙ্গলবারে বড়হাট আর শুক্রবারে ছোট হাটবার। মঙ্গল-শুক্রবারে হাটের যেমন গুণগত আঁচ লক্ষ্য করা যায় তেমনই শুধু আচরণে নয়— পণ্য আমদানিতেও পরিমাণগত পার্থক্য চোখে পড়ে। মঙ্গলের বড়হাটে বেলা বাড়তে বাড়তে গমগম ডাক ওঠে। মানুষের হল্লা আর নানা শব্দে জীবন জেরবার হয়ে যায়। নিজের ইচ্ছে মতো হাটবার জো নেই। ভীড়ই হাটুরেকে ঠেলে…

Read More

অনুসুয়ার মা

প্রীতির সাথে অনুসুয়া এবং তার পরিবারের সম্পর্কটা যদি কেউ ওদের পারস্পরিক সম্বোধন শুনে বুঝতে চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা তার পক্ষে বেশ কস্টসাধ্য হবে। যেমন প্রীতি অনুসুয়াকে বলে সোনা মেয়ে, আর অনুসুয়া প্রীতিকে বলে সোম্মা। অনুসুয়ার বাবাকে প্রীতি ডাকেন স্টেপ ফাদার বলে, অনুসুয়ার বাবা প্রীতিকে ডাকেন অনুসুয়ার ছোটমা বলে। অনুসুয়ার মাকে প্রীতি ডাকেন আন্টি বলে কিন্তু…

Read More

মধ্যযুগের বাংলা কাব্য: মধ্যযুগের কবিদের চোখে ৪

বাংলা সাহিত্যে প্রথম কাব্যোসমালোচনা বোধহয় বিজয় গুপ্তেরই। মনসামঙ্গলের কাহিনি কবে নারীসমাজের লৌকিক ব্রতকথা থেকে পুরুষ সমাজের উপভোগ্য কাহিনিতে পরিণত হল, তা বলা কঠিন। বোধহয় হরিদত্তই ছিলেন এই ব্রত পাঁচালির প্রাচীন ও আদিতম রূপকার। তাঁর গ্রন্থের উল্লেখ কেবল বিজয় গুপ্তের পুথিতেই মেলে। পরবর্তীকালে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার ময়মনসিংহের দীঘপাইত গ্রাম থেকে একটি ছিন্ন পুথির পাতড়া আবিষ্কার করেন।…

Read More

রথযাত্রার সাংস্কৃতিক উৎস

ঋগ্বেদে যেমন রথারোহী ইন্দ্রের কল্পনা পাওয়া যায়, বৌদ্ধদের সামাজিক উৎসব সংক্রান্ত গ্রন্থগুলিতে তেমনি রথে করে বুদ্ধমূর্তিকে নিয়ে পথ-পরিক্রমার কথা দেখা যায়। কিন্তু অতীত থেকেই উড়িষ্যা এবং বাংলায় যেভাবে রথযাত্রা উৎসব বৈষ্ণবীয় পরিমণ্ডলে অনুষ্ঠিত হয়, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে এই উৎসবের মধ্যে অন্যান্য প্রচলিত পার্বণের মত প্রাগিতিহাসের কাল থেকে সূত্রান্বেষণ করা খুব কঠিন বলেই মনে হয়। তবে ব্যাপারটা…

Read More

বোদল্যার: দুইশো বছর পরে দাঁড়িয়ে ১

।।পর্ব – এক।। সারা পৃথিবীতে বোদল্যারই একমাত্র ব্যতিক্রম যিনি তাঁর বই পড়তে আরম্ভ করবে যে-পাঠক তাঁকেই ‘কপট’ বিশেষণে বিশেষায়িত করতে পারেন। কিন্তু কপট কেবল পাঠকই নন, আগে স্বয়ং কবি এবং তারপর তাঁর কবিতার পাঠক-পাঠকবর্গ। তবে পাঠককে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণই ভেবেছিলেন। একেবারে সূচনায় ‘ও লেকতুঘ’ বা ‘পাঠকের প্রতি’ শিরোনামের চল্লিশ পংক্তির কবিতাটি আমাদের বুঝিয়ে দেয়, পাঠক…

Read More

লাভা

সেদিনের সকালটা ছিল আর পাঁচটা সকালের তুলনায় আলাদা। অসাধারণ তুলতুলে এক আবহাওয়া। মনটা কি যে ভাল লাগছিল। আসলে ঘুরতে যাওয়ার নাম শুনলেই মনটা কেমন হয়ে যায়। মনের সব দুঃখ, কষ্ট ,জ্বালা -যন্ত্রণা এক নিমেষেই উধাও। মনের মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করে যাকে ঠিক ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। বেরিয়ে এলাম আরো একবার ভালোলাগার সেই…

Read More

বৈশালী পাড়ার প্রতিমারা

মফস্বলের ঝিম ধরা বিকেলের চলন্তিকা রোদ, প্রিজম তর্জনীর বর্ণালী ছাড়িয়ে, রাহুরেখা বেয়ে তির্যক ভাবে আলো আঁধারির মায়াজাল বুনেছে পাড়াটায়। আদুর গায়ের ছায়া শরীর আর গলনাঙ্কে ফুটতে চাওয়া তেঁতুল বিচির আঠার রং, যেন কুলহারী বেদব্যাসের স্বমেহ পিন্ডদানের আবহে, খড় –মাটি-রোদ-বৃষ্টির গল্প বলে চলেছে নিরন্তর। গলিটার গা বেয়ে তখন উদলা কাঠামো, নিটোল স্তন আর উর্বীমুখি নিতম্বের সারি।…

Read More

বাংলার দারুশিল্পের নিদর্শন বৈদ্যপুরের ১৪ চূড়া রথ

হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে বৈঁচি রেল স্টেশন। এখান থেকে কালনা-বৈঁচি রুটের বাসে ৯ কিলোমিটার গেলেই এক প্রাচীন জনপদ বৈদ্যপুর। ঐতিহাসিক মতে মনে করা হয় বর্ধিষ্ণু এই জনপদটি প্রায় ৫০০ বছর আগে গড়ে উঠেছিল। এখানে কালনা থেকেও বাস ধরে যাওয়া যায়, তবে কালনার পশ্চিম দিকে বৈদ্যপুর জনপদের দূরত্ব একটু বেশি। প্রায় ১৩ কিলোমিটার। বৈদ্যপুরের প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনো…

Read More

ধারাবাহিক উপন্যাস উত্তাল ১৯

।।পর্ব – উনিশ।। শুভাপ্রসন্ন, চৈতালী ঘোষ, প্রসূন ভৌমিক, দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের পথ দেখিয়ে বেড়াবেড়ির পূর্বপাড়ায় নিয়ে এলেন এই গ্রামেরই দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা হরিচরণ। আসার পথে তাঁর মুখেই ওঁরা শুনলেন, দোবাঁদি বা রুইদাসপাড়ার তুলনায় এই পূর্বপাড়াটা একটু বর্ধিষ্ণু। এখানে একশো পঞ্চান্ন থেকে একশো ষাট ঘর মানুষ বাস করেন। তার মধ্যে এক ঘর কেবল তফসিলি, বাকিরা মাহিষ্য। গ্রামসভার…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!