এক একুশে

এই বাংলায় হারিয়ে গেছে। তুমি এলে খুঁজতে যাব, আমার মায়ের সোনার নোলক, সবুজ ঘাসের জায়নামাজে সেজদা দেওয়া মাথার দাগটি, উলোটি করা উঠোন বেয়ে গড়িয়ে যাওয়া উজুর পানি, ধানের ফুলের আতর হাতে ইদের পথের পরাগ আবির, বাংলা মায়ের আমলকি সাজ খোঁপার তাজা পলাশ শিমুল, খুঁজতে যাব। খুঁজতে যাব শিশু শ্রেণীর খেয়াল রাখা সেই খালাকে, পুকুর পাড়ে…

Read More

বাংলা ভাষার পাঠক নিরীক্ষণ

নেতাজি, লেনিন, গান্ধিজীর স্ট্যাচুর সামনে দাঁড়িয়ে যতগুলি আন্দোলন হয়েছে, যতগুলি শ্লোগান আমরা খরচ করেছি, সবই যেন এক একটি গড্ডলিকা প্রবাহ। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের শপথ আমরা প্রায় ভুলে গেছি। বরাক উপত্যাকায় ১৯৬১-র ১৯শে মে-র ভাষা-শহিদদের রক্তাক্ত স্মৃতিও ফিকে হয়ে গেছে। আমদের ভবিষ্যৎ রাস্তার বাঁকে বাঁকে বহু ল্যাম্পপোস্টে আলো জ্বলে উঠেছে কিন্তু ততদিনে আমরা…

Read More

হাইকু: মাতৃভাষা দিবস

#১ শব্দের বিশ্বে সাদাকালো শ্লোগান ফাল্গুন দিনে। #২ বাসন্তি খোঁজে গাঁদা রঙা শাড়িতে অ আ ক খ গ #৩ ৮ই ফাল্গুন বিশ্বে আলো ছড়ায় হাজার মুখ। #৪ ভাষার আলো, ফোটায় গাঁদা ফুল সবুজ পত্রে। #৫ হিমের দেশে বর্ণমালা সেজেছে লাল গোলাপে। #৬ ভাষার মেলা হৃদয়ে বাজে সুর একুশ শব্দে। #৭ বসন্ত রাজ্যে ফুলহীন গাছেরা শোকে…

Read More

আফ্রিকার এই দেশটির সমস্ত মানুষ কথা বলেন বাংলায়

বাংলা ভাষা তার সীমানা পেরিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মাইল দূরে আফ্রিকার একটি ছোট্ট অপরিচিত দেশে শুধু পৌঁছেই যায়নি, সবার মুখের ভাষা হয়ে উঠেছে। দেশটির নাম সিয়েরা লিওন। এর উত্তর দিকে রয়েছে গিনি, দক্ষিণ-পূর্বে লাইবেরিয়া আর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। এর মোট আয়তন ৭১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ। এই সিয়েরা লিওনে…

Read More

বিবর্ণ অভিযোজন: পর্ব ৫

উপন্যাসিক মুসা আলি’র ‘বিবর্ণ অভিযোজন’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এই উপন্যাসে শিক্ষকের পিতৃত্ব একজন ছাত্রের জীবনকে কত বেশি উদ্বেলিত করে তুলতে পারে, সেই অনুভূতির বিস্তার ঘটেছে এ উপন্যাসের পাতায় পাতায়, পরতে পরতে। পড়তে পড়তে আপনি আপনার প্রিয় শিক্ষককে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন। ।। পঞ্চম পর্ব ।। রাত আটটা। সম্পাদক সাগর তখনও ঘরে ফেরেন নি। শুভদিন…

Read More

অণুগল্প: জীবনানন্দ সিনড্রোম

মাঝ রাত। কিছুতেই ঘুম আসেনা শুভাশীষের। বিছানা ছেড়ে সে ছাদে চলে আসে। ছাদে তখন যেন আকাশটা নেমে এসেছে। আকাশের উজ্জ্বল তারারা যেন মেলা বসিয়েছে ছাদে। সেই তারাদের সঙ্গে সে খেলা করে। তার গায়ে, হাতে, মুখে, বুকে ছড়িয়ে পড়ে তারারা। হঠাত্‍ তার মনে হয় স্ত্রী নন্দিতাকে ডেকে আনলে খুব ভাল হতো। দৌড়ে গেল সে স্ত্রীর কাছে।…

Read More

ধারাবাহিক উপন্যাস: উত্তাল তৃতীয় পর্ব

গোটা পৃথিবী জুড়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জমি নিয়ে যত কেলেঙ্কারি ঘটেছে, তার সালতামামী দিয়ে একটি অসামান্য উপন্যাস ‘উত্তাল… তৃতীয় পর্ব ভিজে কাক হয়ে কাঁপতে কাঁপতে ঘর-লাগোয়া মাটির উঁচু দাওয়ায় উঠে পড়ল তেরো নম্বর। দাওয়াটাও খানিকটা ঘরের মতো। এ পাশে ও পাশে দরমা দিয়ে ঘেরা। যাতায়াতের জন্য মাঝখানে বেশ খানিকটা ফাঁকা। দরজা মতো। কত বছর আগে…

Read More

লাওজু

যখন কোনো উপাসনালয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে যাই আমি তখনো সম্রাজ্ঞী।  পৃথিবীর সকল শস্যভান্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছি যার যতোটুকু প্রয়োজন নিয়ে যাও। নিজের ঘর উন্মুক্ত করে খালি আসমান জমিনে ছড়িয়ে রেখেছি সকল শস্যক্ষেত: কোনো কিছুই কারও একক অধিকারে নেই; সকলের। আমি কোনো স্বৈরশাসক নই! সুগন্ধি আর গোলাপের সুদীর্ঘ-গুপ্তপথ আর একটা জলেশ্বরী আমার জন্য উন্মুক্ত রেখো শুধু,ব্যস!…

Read More

জীবনানন্দের প্রথম তিনটি কাব্যগ্রন্থ

জীবনানন্দ দাশের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হল – ঝরা পালক। এই গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের শিরোনাম পৃষ্ঠায় গ্রন্থটির প্রকাশকাল হিসাবে – ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ – লেখা হয়েছিল। গ্রন্থটির ভিতরে ভূমিকা অংশে জীবনানন্দ ভূমিকা লিখে তারিখ দিয়েছিলেন – ১০ই আশ্বিন ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ। কিন্তু গ্রন্থটির ভূমিকায় আশ্বিন মাসের তারিখ থাকলেও জীবনানন্দ গবেষকদের মতে গ্রন্থটি পৌষ মাসের কোনো এক সময়ে প্রকাশিত…

Read More

জীবনানন্দের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছুঁয়ে

“সমস্ত দিন অন্ধকারে রৌদ্র ঢেলে অই পশ্চিমে নীল হলদে মেঘে সূর্য এখন জ্যোতি ম্লান হয়ে যায়; নদী অবোধ, তবু অনেক দ্যোতনা তার মর্মস্পর্শী ঠিক; পাখিও ঠিক তেমন অবুঝ আন্তরিকতায় এখন তারা শেষ সোনালী রোদের বিচ্ছুরণে কিছুই তেমন বলে নাকো—শুধু বলেঃ ‘অধপতিত মানবতা আজকে, তার আত্মবিচার তবু কি সচেতন? আমরা সবাই পটভূমির ছবির মতো, আধেক বুঝেছি…

Read More

যৌবনের নির্জন একাকিত্বে জীবনানন্দ

জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) কীভাবে আমাকে ডেকে নিলেন যৌবনের অন্ধকারে কোন প্রাগৈতিহাসিক অবসরে আমি বিনীত নিবেদিত হয়ে গেলাম আজ বলার কোনও অর্থ নেই তার। ‘রূপসীবাংলা’র কবিতায় সেই ধানসিঁড়ি আর শালিক পাখির একাকিত্ব আমার ভেতরেও বিস্তৃত হল। ভেতর ভেতর এক একটি গানের জন্ম হল। নরম জলের দিকে ছিপ ধরে বসে থাকি। শুনতে পাই সরপুঁটি-চিতলের উদ্ভাসিত স্বর মীনকন্যাদের…

Read More

ইতিহাসের দৃষ্টিতে দেবী সরস্বতী

দেবী সরস্বতীই সম্ভবতঃ হিন্দুদের পূজিত দেবদেবীদের মধ্যে একমাত্র দেবী, যাঁর উদ্ভব এবং স্বরূপ সম্বন্ধে এত অজস্র এবং এত পরস্পর-অসম্পৃক্ত তথ্য বেদ-পুরাণ-উপনিষদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন লোকপুরাণ এবং কিংবদন্তীগুলির মধ্যে থরে-থরে ছড়িয়ে রয়েছে, যেগুলো থেকে তাঁর সঠিক ঐতিহাসিক পরিচয় উদ্ধার করা রীতিমত দুরূহ ব্যাপার। প্রাচীন হিন্দু পুরাণবৃত্তান্তের বিভিন্ন পর্যায়ে এমনভাবে এই বিশেষ দেবীকে দেখা যায় যে,…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!