
অরণ্য
মানুষের মতোই অরণ্যের অনেকাংশে জল স্হিতিগ্রাহ্য পার্থিবতা শরীরে শরীরে অরণ্য দাঁড়িয়ে থাকে, যে ভাবে কোনো…
বাঙালির পত্র রচনার ইতিহাস কম প্রাচীন নয়। বর্তমানে বিজ্ঞানের অবদানের জন্য চিঠিপত্রের প্রয়োজন অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু এখন থেকে কিছুকাল আগেও বাঙালি চিঠি লিখত, এমনকি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে পত্র-সাহিত্য বলে একটি আলাদা বিভাগও রয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে অতীতের বাঙালির পত্রচর্চার কিছু ইতিহাস তুলে ধরবার চেষ্টা করা হল। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর একটি…
রজনী আসছে আর রজনী যাচ্ছে কিছুই বলতে পারি না ওকে আলো জ্বেলে ডাকতে পারি না অন্ধকারে গন্ধ শুঁকি ওর শুঁকতে শুঁকতে কাটাই নিশি নিশিও আমার দুঃখ বোঝে না কল্পনারা রোজ আসে রোজ রাতে চৌকি বানাই মরমি শব্দের বালিশে ঘুমিয়ে পড়ি ঘুমের ভেতর খুলে রাখি দরজা-জানালা স্বপ্নে আজ রজনী আসুক মনে মনে এই কামনা রোজ রাতে…
বিশ্বের এমন একটি সময় আমরা অতিবাহিত করছি, যখন মানবিক বিপর্যয়, হিংস্রতা, যুদ্ধ, দাঙ্গা সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ, প্রকৃতি, জীবসম্পদ বিনষ্ট হয়ে ভয়াবহ এক বিশ্বের মুখোমুখি হয়ে আছি। এমন সময়ে ক্যাথলিক চার্চ ও ভ্যাটিকান রাজ্যের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের অন্তরালে চিরায়ত হলেন। যিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করেছেন। তাঁর লেখা…
সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত, ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রধান, বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি পর্ষদের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যঋষি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রত্ন নিদর্শন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী হামলা ও নাশকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হবার আহবান জানিয়েছেন। আমাদের প্রতিবাদী হতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে সন্ত্রাসীদের। সংস্কৃতির অঙ্গনে নাশকতা,…
ইশারার নিয়নবাতি বহুরঙা ঈগল উড়ছে সুনীল আকাশে মায়ের কথা মনে হলে মনখারাপের আকাশে তাকিয়ে থাকি কখন সন্ধ্যাতারাটি জ্বলবে! দখিন-পুবের আকাশে আর সন্ধ্যাতারা দেখি না, দেখি বিভিন্ন নিয়নবাতির সংকেত শষ্যক্ষেতের আইলের ছায়াবৃক্ষের ডালে অপেক্ষায় বসে আসে আছে শকুনের ঝাঁক বাঁশ বাগানে সন্ধ্যা নামলে কিচিরমিচির করতো হরেক রকম পাখি ধানক্ষেত ফাঁকা হলে মেলা বসতো অতিথি পাখির আজ…
পঞ্জিকা— ছোট মোটা একটি লাল বই; প্রায় সকল বাঙালির বাড়িতেই এই বইটির খোঁজ পাওয়া যাবে। বাঙালির বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠান, দিনক্ষণ দেখবার জন্য এই বইয়ের খোঁজ পড়ে। এই বইয়ের হিসাব মেনেই বাঙালির বিভিন্ন মাঙ্গলিক, শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানগুলি করা হয়। পঞ্জিকা হিসাব হয় বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ হিসাবে। সচরাচর আমরা কেউই বঙ্গাব্দের দিনের খোঁজ রাখি না। কিন্তু বঙ্গাব্দ…
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ক্ষেত্রে অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের ব্যাপক তৎপরতার মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামকরণ পরিবর্তনের ফলে একটা বিরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। রাজনৈতিক সংকট, সাংস্কৃতিক নৈরাজ্যের মধ্যে যা করা হয়েছে তা অনাহুত, অনাকাঙ্খিত। তবুও সংকট অতিক্রম করার প্রক্রিয়া যাই থাকুক না কেন, পয়লা বোশেখের নববর্ষ উদযাপন উৎসব, মঙ্গল শোভাযাত্রা, আনন্দ শোভাযাত্রা বাঙালির উৎসব, যা বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় উৎসবে…
যে হৃদয়ে কেউ ভালোবেসে আগুন রাখতে পারে না সেই হৃদয় কিভাবে যত্ন করে রাখবে ক্ষত! যে হাত ধরে রাখতে পারে না আঙুলের টান সে হাতের ভাগ্যরেখাতে মেলাবে কিভাবে নক্ষত্রপুঞ্জ, রাশিচক্র! কতক্ষণ আর নিজেকে ধরে রাখবে অস্থির হাওয়া ‘যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব’ মন্ত্র উচ্চারণ কতক্ষণ আর তোমার সিঁথি ভ’রে রাখবে চাঁদের জোৎস্নায় পাতাঝরা গাছ…
কবিতায় যে এত বৈচিত্র্যময়তার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি দিক হল Anti-poetry বা কবিতা বিরোধী আন্দোলন। কবিতা লিখতে হলে ছন্দ জানতে হবে, কবিতার যে ফর্ম আছে তাকে মান্যতা দিতে হবে, অলংকার প্রয়োগ করতে হবে ইত্যাদি বহু বিষয় আমরা বলে থাকি। এক কথায় কবিতার প্রকরণ জানা জরুরি বলে মনে করি। কবিতার সমালোচনা করতে গিয়েও এইসব…
রবিজীবনের গোধূলি পর্যায়ে প্রকাশিত হয় ‘নবজাতক’ কাব্য। ১৩৪৭ সালের বৈশাখ মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়। এবং এই কাব্যে সর্বমোট পয়ত্রিশটি কবিতা রয়েছে। তারমধ্যে ছাব্বিশটি কবিতা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নবজাতকের সূচনায় কবি বলেছেন যে তাঁর “কাব্যের ঋতুপরিবর্তন ঘটেছে বারে বারে। প্রায় সেটা ঘটে নিজের অলক্ষ্যে। কালে কালে ফুলের ফসল বদল হয়ে থাকে।… কাব্যে…
মানুষ দানা ছুঁড়ে দিলেই কি আর পাখি আসে? পাখির ডানায় জল দিও উষ্ণতা দিও দিও ভরসা তুমি মানুষ বড্ড বেশি ফাঁক ও ফাঁদ ফেলার ওস্তাদ। শাড়ি অনেক তো হলো। এবার তবে কুড়িয়ে তুলি বাদামের খোসা।খুচরা আলাপ। আর দু’জনের মাঝে থিতু হয়ে বসে থাকা দীর্ঘ চুপচাপ। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকার মতো করে চোখের আড়ালে,মনের আড়ালে দাঁড়িয়ে তুমি…
তারাবাঈ ছিলেন মহারাষ্ট্র-সূর্য ছত্রপতি শিবাজীর তেজস্বতী পুত্রবধূ; এবং গবেষকদের মতে, মধ্যযুগের মহারাষ্ট্রের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে তাঁর মত অন্য কোন নারীই এত প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। শুধু তাই নয়, তাঁর জীবনের মত বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন সেযুগের খুব কম নারীরই ছিল। শিবাজীর মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র শম্ভাজী মারাঠা-রাজ্যের সিংহাসনের অধিকারী হয়েছিলেন। যদিও তিনি কাপুরুষ ছিলেন না, বরং কখনও কখনও…