বাঁচবার আশ্বাস
ঝলসানো মুহূর্তের অনাঁচ কানাচ খানাখন্দ ভরিয়ে শুধু তোমাকেই খুঁজি নির্মল বটের ছায়া চোখের আকাশ মাঠে…
পায়ে পায়ে জড়ানো শৃঙ্খল তুমি দেখো তুমি দেখো রক্তচাপে, আঘাতে পড়ে থাকা কামনার উদাল শরীরে পৃথিবীর বিষম বৃষ্টি জ্বলন্ত দাবানল তুমি দেখো আঙুলের মুগ্ধ ঢেউয়ে দুঃসাহসী দৃষ্টি অভিভূত চোখ, অশ্রু পাহাড় ফাটিয়ে ঝর্ণা এবং অবগাহন হে ঈশ্বর আমি দেখি ব্রহ্মাণ্ডের বৃহৎ একক মন সেখানে রহস্যের লাল জল…
(শেষ পর্ব) বহুরূপী (১৩৪৪ বঙ্গাব্দ): বিহারের একটি গ্রামাঞ্চলের পটভূমিতে লেখা বহুরূপীতে প্রেত সম্পর্কে একটি অভিনব তথ্যকে কেন্দ্র করে কাহিনীবৃত্ত গড়ে উঠেছে। শরদিন্দুর অধিকাংশ গল্পেই প্রেতাত্মারা বিদেহী বলে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে যে, একটি অশরীরী আত্মা শুধু যে দেহধারণ করতে পারে তাই নয়, সে ইচ্ছারূপধারীও বটে! আবার কি কৌশলে প্রেতাত্মা দেহধারণ করতে পারে,…
।।শেষ পর্ব।। পোস্টমর্টেম শেষ। পোস্টমর্টেম চলাকালীন আমি আমার দু’হাত দিয়ে চোখ দু’টি ঢেকে মর্গ থেকে অল্প দূরে এক জায়গায় বসেছিলাম। দরজা খোলার শব্দে আমি চোখ দুটো খুললাম। আমি হাত সরিয়ে দেখি, ডাক্তারবাবু মর্গের দরজা খুলে বেরিয়ে গেল। আমি উঠে দাঁড়ালাম। আমার দেহকে কাটাছেঁড়া অবস্থায়, দ্বি-খন্ডিত অবস্থায়, চেরা অবস্থায় দেখতে পারব না বলে আমি আমার দেহের…
আজ মহান মে দিবস। পৃথিবীর সকল শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে জানাই মহান মে দিবসের বিল্পবী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আজ শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম আর সংহতির দিন। আজ পৃথিবীর সকল মেহনতি মানুষের এক হয়ে ব্রত নেবার দিন। বিশ্ব জুড়ে শ্রমিকদের কর্মঘন্টা হ্রাস এবং তাদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনমুখর একটি ঐতিহাসিক দিন। বঞ্চনা থেকে মুক্তির তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিশ্বের শ্রমিকেরা…
প্রতি বছরের মতো আরও একটা মে দিবস এসে উপস্থিত। কারও কারও মতে আরও একটা আপাতদৃষ্টিতে নির্ভেজাল ছুটির দিন। বাস্তবে যা ছিল শ্রমিকদের শ্রমের অধিকার ছিনিয়ে আনার দিন। আট ঘন্টার কাজের অধিকার কার্যকর করার দিন। সম্ভবত আজ সে কথা আমরা বিশেষত নবপ্রন্ম প্রায় জানেই না। কারও কারও মতে তাদের জানতে দেওয়া হয় না। হয়তো তার পেছনে…
বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয় মে দিবস। পালনীয় এই দিনটির জন্ম সমাজতান্ত্রিক দেশ থেকে হলেও, পুঁজিবাদী দেশ, মে দিবসকে হাতিয়ার করেছে শ্রমিকের লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে। মে দিবস গড়ে উঠেছিল কাজের জন্য নিকৃষ্ট পরিবেশ, অল্প বেতন এবং দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রতিবাদে। ১৮৯৩ সালে সার্বিয়ার শ্রমিকরা এক মে দিবস র্যালি বের করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন দ্রুত শিল্প…
আজ পয়লা মে। মহান মে দিবস। খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের রক্তঝরা দিন। আগে শ্রমিকদের প্রতিদিন কাজ করতে হতো একটানা ১২ ঘণ্টা। তারই প্রতিবাদে ১৮৮২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আমেরিকার বিভিন্ন কলকারখানার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে নিউইয়র্ক শহরে প্রথম সমাবেশের মধ্যে দিয়ে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিল, তাতেই সাড়া দিয়ে ১৮৮৬ সালের ১…
অনঙ্গবউ সহমরণ খোঁজে বসন্ত জ্বলে গেছে চাঁচরে সংক্ষেপ ইতিহাস বাঁচিবার অনঙ্গবউ পলাশ তলায় একলা থাকে ঠায় জ্বালন কুড়োয়… মনকেমনের দু এক কলি কখন আসে যায়! অনঙ্গবউ কংসাবতীর জলে ঝিনুক তোলে। অনঙ্গবউ ভাত রাঁধতে বসে জ্বালানি কাঠ উঠোন কোণে জড়ো একলা থাকে সূর্যদীঘল বাড়ি সুখের সঙ্গে আড়ি ভীষণ আড়ি। দিন ফুরোবে, কাজ ফুরোনো দায় দারুণ ব্যস্ততায়…
শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক দিন। শ্রমশোষণের বিরুদ্ধে শ্রমিকের আত্মত্যাগের সংগ্রামের দিন। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও দাবি আদায়ের দিন। মেহনতি মানুষের বিজয়ের দিন, আনন্দ ও সংহতি প্রকাশের দিন। ১৮৮৬ সালের ১ মে দৈনিক ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে শ্রমিকরা ফুঁসে উঠেন। হে মার্কেটের কাছে তাদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে…
আমার প্রিয় শ্রমজীবী ভাই ও বোনেরা, স্বাধীন বাংলার মুক্ত মাটিতে এবারই সর্বপ্রথম ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলার মেহনতী মানুষ শৃঙ্খলমুক্ত পরিবেশে এই দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার অধিকার অর্জন করছে, এজন্য দেশ ও জাতি আজ গর্বিত। মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এক জ্বলন্ত প্রতীক। সারা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত নীপিড়িত মানুষের বিশেষ করে আজকের…
আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি ছিল না, ছিল না গচ্ছিত রাখার মতো অজস্র বেদনাবোধ… আমাদের ভেতর ভাবনাগ্রস্ত মন ছিল— আমাদের চোখে অসংলগ্ন কিছু স্বপ্ন ছিল; তোমার প্রতি আমার অথবা আমার প্রতি তোমার ভালবাসা চিরস্থায়ী ছিল বলে আমি বিশ্বাস করি না! আর তেমন প্রতিশ্রুতিও আমরা কেউ কাউকে দিইনি। কিন্তু আমরা একে অপরের কাছে মিথ্যা বলিনি; কারণ তেমন…
।।এক।। ইংরেজি ভাষা-সাহিত্যে এম.এ. পিতার অর্থনীতিতে গ্র্যাজুয়েট পুত্রের জোড় সূরিত্ব ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে এশিয়া অস্ট্রেলিয়া হয়ে শেষে চূড়ান্ত পরিব্যাপ্তি নেয় ইউরোপে গিয়ে। ছিলেন সামাজিক ও পেশাগত অবস্থানের শীর্ষে- পিতা-পুত্র দু’জনেই। এরকম পরম্পরাগত উচ্চাবস্থানে আসীন থেকে লেখালেখির মতন মজদুরিকে বেছে নেওয়াটা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। তা-ও আবার, তাঁর সেই লেখালেখিতে তাঁরই সমাজের একেবারে নিম্নতল মানুষজনের প্রাধান্য। এমনকি, তিনি…