প্রতিশ্রুতি
আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি ছিল না, ছিল না গচ্ছিত রাখার মতো অজস্র বেদনাবোধ… আমাদের ভেতর…
ক্ষেতের আইলে হেলান দিয়ে পা গুলোকে ছড়িয়ে, কোমড়ে থাকা সিগারেটটা জ্বালায় রফিক। লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে আবিররাঙা আকাশের দিকে তাকায়। মার্চের ২৬ তারিখের পর দেশের অবস্থা যখন ভয়াবহ, রফিক ফজলুল হক হলের দোতলার ২০১নং রুমটাতে বন্দী। ট্রাংকে রাখা মুড়ি আর পুকুর পাড়ের আমগাছটা সঙ্গী। বন্ধুদের অনেকেই হল ছেড়ে চলে গেছে, কেউবা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে সীমান্তের…
যদিও বৌদ্ধ, জৈন বা ইসলাম ধর্মের মত খৃষ্টধর্মেও তত্ত্বের দিক থেকে জাতিপ্রথার কোন জায়গা নেই, কিন্তু তবুও ভারতীয় খৃষ্টান সমাজের একটা বড় অংশ কিন্তু অতীত থেকে এদেশে প্রচলিত থাকা জাতিপ্রথাকে মেনে চলেন বলে দেখতে পাওয়া যায়। একথার উদাহরণস্বরূপ বলা চলে যে, এদেশের আদি সিরীয় খৃষ্টানদের সাম্প্রদায়িকতা একটা প্রবাদস্বরূপ এবং তাঁরা কোনদিনই নিজেদের সম্প্রদায়ের বাইরে স্বধর্মীদের…
#১ পৌষ পার্বণে রসালো সমীরণে তোমাকে চাই। #২ সাকরাইনে ওড়ে রঙিন ঘুড়ি আকাশ ছুঁয়ে। #৩ চব্বিশে শুনি সাকরাইন মানা অজ্ঞঘোষণা। #৪ চালের গুড়ি শীতে সাজে নক্সায় মায়ের হাতে। #৫ মাটির বাসনে নব চালের ভাত নতুন ঘ্রাণ। #৬ বিহুর সুরে সুখ-দুঃখ গাথা পৌষপার্বণ। #৭ পিঠা পার্বনে ক্যাকটাসের কাঁটা হুল ফোটায়। #৮ পিঠা খাবে না মরুভূমির বোলতা…
বছর বছর পৌষ-পার্বণ আসে ও চলে যায়, কিন্তু অতীতের মত এই পার্বণ-উৎসবে বাঙালীর প্রাণ আর তেমন করে নেচে ওঠে কি? সেই পিঠে-পুলি খাওয়ার আমোদ; সেই পার্বণী গানের লহর; সেই হাসি-ঠাট্টা, ফুলের সাজ, বেশের ঠাঁট আর আছে কি? এখনও আগের মতোই পৌষ-পার্বণের দিনে গঙ্গা-স্নান করবার জন্য ভিড় হয় বটে, এখনও আগের মতোই গঙ্গাসাগরে অত্যধিক যাত্রী সমাগম…
এই সুন্দর আনন্দময় পৃথিবীকে মানুষ তার চিত্র ময়তা দিয়ে যেমন সুন্দরতর করে তুলেছে তেমনি আবার এই মানুষই হয়েছে হন্তারক। মানুষ তার আত্মস্বার্থে একদিকে প্রকৃতিকে করেছে নিধন, অন্যদিকে মানুষের সহজাত অধিকার করেছে হরণ। একদিকে সে শাসক অন্যদিকে সে শোষক। শোষিত মানুষই যুগে যুগে নানা ভাবে শাসকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। এই প্রতিবাদের স্বরূপ ইতিহাসে অল্পবিস্তর পাওয়া গেলেও…
।। শেষ পর্ব।। বামপন্থী নেতারা আন্দাজ করলেন মার্চের প্রথম সপ্তাহেই বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে। তাই ভোটের সময় তাঁদের যাতে কাজের কোনও অসুবিধে না হয়, সে জন্য ঝটপট করে ৩২২১টি নানা ধরনের পদ সৃষ্টি করল রাজ্য সরকার। সে কথা একগাদা সাংবাদিকের সামনে মহাকরণে বসে অকপটে জানালেন রাজ্যের তথ্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী সৌমেন্দ্রনাথ বেরা। অবশ্য…
দার্জিলিং মানেই এক অন্যরকম ভালোলাগা এবং পাহাড়ের কোলে নিবিষ্ট মনে কিছুটা সময় কাটানো। দার্জিলিং গেলে প্রথমেই যে জায়গাগুলোর জন্য আমরা উতলা হয়ে উঠি তা হল— (১) টাইগার হিল (২) বাতাসিয়া লুপ (৩) দার্জিলিয়ান হিমালয়ান রেলওয়ে (৪) দার্জিলিং চিড়িয়াখানা (৫) হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট (৬) বেঙ্গল ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম (৭) হিমালয়ান মাউন্টেননিয়ারিং ইনস্টিটিউট (৮) প্যাগোডা ও…
শুধু ভয় করে আমার দূর্বাঘাসের বনে শৃগালও শার্দূল হয় মাথার ওপর ধোঁয়ার দৈত্যরা আসে তেড়ে অভিনয় সেরে সব্বাই ফিরে যায় আমার শুধুই নির্বাসন সবার পেছনে আছি পড়ে দূরের কদম বনে ডেকেছিলাম কাকে? ভালবাসা লিখেছিলাম হৃদয়-খাতাতে সে খাতাও ছিঁড়ে গেছে স্বপ্নেরা ধুয়ে গেছে কান্নার জলে কোন্ অভিনন্দনে তবে নন্দিত হব? বিমূর্ত উচ্ছেদের নতুন ইশতাহার মুুুুহুর্মুহ গর্জনে…
ক্রূরতা চরিতার্থ করতে অসংখ্য হাত জড়ো হয় উল্লাসের সীমানায় ক্রুর হাসি হাসে নারদ আজও নরবলী হয় ব্রিজ মজবুত হবে বলে রেস্তরায় মিলে কচি মনুষ্য বাচ্চার স্যুপ এপাড়ায় বেপাড়ায় বসে মধুচক্রের আসর বিদ্রোহীর মিছিলে পুলিশ বেপরোয়া চালায় গুলি নারীর নরম অংশে আঁকে আগুনের উল্কি লৌকিকতার দোহায় দিয়ে তৈরী হয় গোসাঁয়, সতী রতি পতাকা ওড়ে আবেদন নিবেদন…
ইউরোপীয়রা যখন প্রথম ভারতবর্ষে পদার্পন করেছিলেন তখনও ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা কিন্তু ঠিকমতোই চলছিল; এমনকি খৃষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে ভারতবর্ষে, বিশেষতঃ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসিত বাংলায় যখন নবীন শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছিল, তখনও আগের সেই সুপ্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়নি; বরং তখনও এদেশের সর্বত্রই বহু টোল ও চতুষ্পাঠী এবং মক্তব ও মাদ্রাসা ছিল। তখনও বাংলার…
তুমি ছেড়ে গেলে কক্ষপথ পৃথিবী কমিয়ে ফেলে গতি দীর্ঘ পোড়া দিন পাক খেতে খেতে ফেরে, সন্ধের ঘরে চোখে ভাসে চাঁদ, জলের প্রাচীন বসতি রাত জমানো পাতায় খসে অন্ধকার বসে অর্ধচ্ছেদ, বৃষ্টি ভাসান এই চাওয়াকে ঘিরে আমার বুকে গড়ে উঠেছে শ্বেতমহল তুমি হয়তো চাওনি, প্রেমহীন চোখে উচ্চারিত হোক বিষাদ-উষ্ণায়ণ আমার হৃদয় ঘরে দাউ দাউ আগুন এই…
।। পর্ব – ৪০।। মমতা জানেন, মুম্বইয়ের অলটামাউন্ট রোডে দেশের সব থেকে ধনী, যিনি তাঁর বউ নীতার জন্মদিনে গয়নাগাঁটি বা বাড়ি-গাড়ি নয়, কিছু দিন আগে তিনশো কোটিরও বেশি টাকা দিয়ে একটি বিলাসবহুল হেলিকপ্টার কিনে উপহার দিয়েছিলেন এবং সে নিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই মুকেশ অম্বানীর ঝা-চকচকে সাতাশ তলা প্রাসাদোপম বাড়ির নাম– অনথিলা ম্যানসন। সেখানে একটা-দুটো…