কালিম্পং-এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং উপেক্ষিত গৌরিপুর হাউস

মানুষের কান্না আমাদের চোখে পড়ে, আচ্ছা পাহাড়ের কান্না আমাদের চোখে পড়ে কি? পাহাড়ের দুঃখে কাঁদার কেউ নেই, কিন্তু পাহাড় কাঁদে, সে কাঁদে নিঃশব্দে। সেই কান্নার আওয়াজ কারো কানে যায়, কারো কানে যায় না। আসলে পাহাড়ও সাথি চায় আর তাই তো আমি বারবার ছুটে যাই পাহাড়ের কাছে, মনের কতো কথা হয়, নিজেদের সুখ দুঃখকে ভাগ করে…

Read More

ঠাকুর পরিবারের ইতিহাস ও বিশ্বকবি

সে বহুকাল আগের কথা। সুন্দরবন অঞ্চলে তখন শাসনকর্তা ছিলেন রাজপুরুষ খাঁ জাহান আলি। তাঁর প্রধান কর্মচারী ছিলেন মহম্মদ তাহের। লোকেরা তাঁকে বলতেন ‘পির-আলি’। কারণ, তিনি ছিলেন ধর্মান্তরিত মুসলমান। তাই তাঁর, নিষ্ঠা, গোঁড়ামি ও আড়ম্বরের আধিক্য ছিল। নিজেকে সাচ্চা মুসলমান প্রমাণ করবার জন্য সর্বস্তরের মুসলমান এমনকি গোঁড়া হিন্দু ব্রাহ্মণদেরও নিজের বাড়ির যে-কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতেন। তখন…

Read More

হাইকু: আম

#১ রৌদ্রের তাপে সবুজ আম কাঁপে পুকুর পাড়ে। #২ বৈশাখী গানে কাঁচা আমের ঘ্রাণ পাখিরা হাসে। #৩ সবুজ আম বাতাসে দোল খায় দুরের দেশে। #৪ ভরদুপুরে রসালো পাকা আম ঝড় উঠেছে। #৫ আম ধরেনি কাঠবাড়ির গাছ উনুনে জ্বলে।

Read More

ধারাবাহিক উপন্যাস ‘উত্তাল’ ১২

।।বারো।। ফোন পেয়ে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন নবীন মাস্টার। আজকাল আবার এ রকম হয় নাকি! আগে এ সব হত। শুধু এ দেশেই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও। এক সময় লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এবং ব্রাজিলে উন্নয়নের নামে এই ভাবেই কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ওই দেশগুলোও ছিল আমাদের এই দেশের মতোই কৃষিপ্রধান দেশ। ফলে পনেরো বছরও লাগেনি, ওই…

Read More

ইতিহাসের বাস্তব এবং লেখকের বাস্তব : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ২

।।দ্বিতীয় পর্ব।। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে যে-দেশ ভাগ হয়ে যায় সেই দেশের একটি নতুনাংশের নাগরিক ওয়ালীউল্লাহ্ এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর উপন্যাসের জনপদ মহব্বতনগরের জনগণকে ফেলে দেন একটা সংশয়গ্রস্ততা ও সংকটের মধ্যে। যদিও উপন্যাসের ভেতরকার সময় আনুমানিক ১৯০০ সাল কিন্তু ১৯৪৮ সালেও সেই সংকটের সুরাহা হয় না। কাজেই ১৯০০ এবং ১৯৪৮- পারস্পরিক পঞ্চাশ বছরের…

Read More

প্রতীক্ষা

এক ফোঁটা মৃত্যুর জন্য আমি নক্সা আঁকা পৃথিবীর ওপর প্রতীক্ষা করছি ঝুলন্ত মেঘের রঙে ভাসছিল আকাশের দুরন্ত সৌন্দর্য মাটির কাছাকাছি কেউ সাজাচ্ছে পালক, কেউ ভরছে লক্ষ্মীর ভাঁড়ার, কেউ বোধের টানে ঘর ছাড়া একতারা হাতে মেঠো পথের সঙ্গী, মাধুকরী সহযাত্রী কিংবা ভাটিয়ালি সুর নদীর স্রোত পায়ে পায়ে ঘুড়ি সহস্র ঘুম বয়ে বেড়াচ্ছে মহেঞ্জোদাড়ো বাতাসে নীল বাতির…

Read More

কাঁচা হলদে বাঘটা

আমাদের স্কুলের এক মেয়ে চলে গেল কদিন আগেই৷ মেয়েটা ডাউন সিনড্রোম ৷ গোটা একরাত শ্বাসকষ্টে জ্বালাপোড়া হয়ে ভোর নাগাদ সে গেল৷ পরদিন আরেকজন অভিভাবক এসে যখন মেয়েটির মৃত্যুর খবর দিলেন এবং কীভাবে সে মরেছে সেটা বললেন, তখন খেয়াল করলাম স্কুলের সব থেকে দুষ্টু ছেলে বাঘু হাঁ করে শুনছে ৷ এমনিতে বাঘু সদা আনন্দিত ছেলে ৷…

Read More

বিজন ভট্টাচার্যের নাটকে প্রান্তিক মানুষ ২

 ।।শেষপর্ব।। ‘নবান্ন’র নাট্যধর্ম বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তিযুক্তভাবে এর ত্রিস্তরীয় বিন্যাসের কথা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। এতক্ষণ যে রাজনৈতিক ইতিহাসের ব্যাপ্ত পটভূমির কথা বলা হল, এটা হল এর প্রথম স্তর, যেখানে একটি সুনির্দিষ্ট কালের রাজনৈতিক আবেগের প্রতিফলন ঘটেছে। দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে আমিনপুরের বৃদ্ধ চাষি, প্রধান সমাদ্দারের পরিবার। স্ত্রী পঞ্চাননী ছাড়া দুই ভাইপো কুঞ্জ ও…

Read More

গারো পাহাড়ের চিঠি: পাতিল হাঁটি ও জ্যোতি’র শৈশব

এখনো কি বিক্রি হয় হাঁড়ি, পাতিল, সরা কিংবা লালরঙে কাজ করা মাটির ব্যাংক? পথের পাশে মাটি পসরা দেখেই দাঁড়ালাম। মফস্বলের শেষ বিকালের হাটে পসরা সাজিয়ে বসেছে। আছে হরেক রঙের মাটির পুতুল- পাঁচ আঙুলে গড়ে ওঠা টেপা পুতুল; সালংকারা পুতুল স্থির দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাট বাজার দেখছে। দেখছে স্থানিক হাট বাজার কেবলই পড়তির দিকে। আমাকেও কি তিনি…

Read More

জীবনের দেয়ালা

পায়ে পায়ে জড়ানো শৃঙ্খল তুমি দেখো তুমি দেখো রক্তচাপে, আঘাতে পড়ে থাকা কামনার উদাল শরীরে পৃথিবীর বিষম বৃষ্টি জ্বলন্ত দাবানল তুমি দেখো আঙুলের মুগ্ধ ঢেউয়ে দুঃসাহসী দৃষ্টি অভিভূত চোখ, অশ্রু পাহাড় ফাটিয়ে ঝর্ণা এবং অবগাহন হে ঈশ্বর আমি দেখি ব্রহ্মাণ্ডের বৃহৎ একক মন সেখানে রহস্যের লাল জল…

Read More

প্রেতপুরী থেকে মরণদোল: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর অলৌকিক কাহিনী ২

(শেষ পর্ব) বহুরূপী (১৩৪৪ বঙ্গাব্দ): বিহারের একটি গ্রামাঞ্চলের পটভূমিতে লেখা বহুরূপীতে প্রেত সম্পর্কে একটি অভিনব তথ্যকে কেন্দ্র করে কাহিনীবৃত্ত গড়ে উঠেছে। শরদিন্দুর অধিকাংশ গল্পেই প্রেতাত্মারা বিদেহী বলে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে যে, একটি অশরীরী আত্মা শুধু যে দেহধারণ করতে পারে তাই নয়, সে ইচ্ছারূপধারীও বটে! আবার কি কৌশলে প্রেতাত্মা দেহধারণ করতে পারে,…

Read More

গল্প: শ্রীমতি একটি মেয়ের নাম ৬

।।শেষ পর্ব।। পোস্টমর্টেম শেষ। পোস্টমর্টেম চলাকালীন আমি আমার দু’হাত দিয়ে চোখ দু’টি ঢেকে মর্গ থেকে অল্প দূরে এক জায়গায় বসেছিলাম। দরজা খোলার শব্দে আমি চোখ দুটো খুললাম। আমি হাত সরিয়ে দেখি, ডাক্তারবাবু মর্গের দরজা খুলে বেরিয়ে গেল। আমি উঠে দাঁড়ালাম। আমার দেহকে কাটাছেঁড়া অবস্থায়, দ্বি-খন্ডিত অবস্থায়, চেরা অবস্থায় দেখতে পারব না বলে আমি আমার দেহের…

Read More
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!